গাজায় চলমান ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞে প্রায় তিন হাজার শিশু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। চেতনানাশক ছাড়াই অঙ্গচ্ছেদ করাতে বাধ্য হচ্ছে শিশুরা। পুরো একটি প্রজন্ম প্রচণ্ড মানসিক আঘাত নিয়ে বেড়ে উঠছে বলেও জানান গাজার চিকিৎসকেরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
ইসরায়েলি ড্রোনের আঘাতে বিকলাঙ্গ হওয়া গাজার হাজার হাজার শিশুর একজন শাম। তাঁর মা আল জাজিরাকে বলেন, ‘দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল শাম। হঠাৎ একটি শ্র্যাপনেল//// আঘাত করল তার হাতে। আমি দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখি, ওর হাত যেন সুতোয় ঝুলছে।’
প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসাসেবা পাওয়া যেতে পারে এমন কোনো হাসপাতালই এখন আর অবশিষ্ট নেই গাজায়। শামের মাকে তাই তাঁর সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতেও লেগে গেছে কয়েক ঘণ্টা। এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও শামকে বিরল ভাগ্যবানদের একজন বলতে হচ্ছে কারণ, তাঁর অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে অ্যানেসথেসিয়ার মাধ্যমে।
আল-আকসা হাসপাতালের আবাসিক অর্থোপেডিক সার্জন মোহাম্মদ শাহীন বলেছেন, যথেষ্টসংখ্যক আঘাত এবং আহতদের সুস্থ করার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সংস্থানের অভাবে পরিস্থিতি চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
এদিকে, গাজায় শিশুদের ওপর বর্বর হামলার কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার শিশু হতাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈশ্বিক এই সংস্থা।
গত বৃহস্পতিবার মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ অনেকে মারা যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। দখলদারদের বর্বর হামলায় শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়েছে।
জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিন সন্তোষ প্রকাশ করলেও বেজায় চটেছে ইসরায়েল সরকার। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, অনেক আগেই ইসরায়েলকে কালো তালিকায় যুক্ত করা উচিত ছিল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, হামাসকে সমর্থন করে সংস্থাটি নিজেকে ইতিহাসের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে জাতিসংঘের এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
গিলাদ এরদান বলেন, ‘এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সেনাবাহিনী হলো বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী। এক ব্যক্তিই একে কালো তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণা দ্বারা পরিচালিত।’
গাজায় চলমান ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞে প্রায় তিন হাজার শিশু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। চেতনানাশক ছাড়াই অঙ্গচ্ছেদ করাতে বাধ্য হচ্ছে শিশুরা। পুরো একটি প্রজন্ম প্রচণ্ড মানসিক আঘাত নিয়ে বেড়ে উঠছে বলেও জানান গাজার চিকিৎসকেরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
ইসরায়েলি ড্রোনের আঘাতে বিকলাঙ্গ হওয়া গাজার হাজার হাজার শিশুর একজন শাম। তাঁর মা আল জাজিরাকে বলেন, ‘দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল শাম। হঠাৎ একটি শ্র্যাপনেল//// আঘাত করল তার হাতে। আমি দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখি, ওর হাত যেন সুতোয় ঝুলছে।’
প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসাসেবা পাওয়া যেতে পারে এমন কোনো হাসপাতালই এখন আর অবশিষ্ট নেই গাজায়। শামের মাকে তাই তাঁর সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতেও লেগে গেছে কয়েক ঘণ্টা। এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও শামকে বিরল ভাগ্যবানদের একজন বলতে হচ্ছে কারণ, তাঁর অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে অ্যানেসথেসিয়ার মাধ্যমে।
আল-আকসা হাসপাতালের আবাসিক অর্থোপেডিক সার্জন মোহাম্মদ শাহীন বলেছেন, যথেষ্টসংখ্যক আঘাত এবং আহতদের সুস্থ করার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সংস্থানের অভাবে পরিস্থিতি চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
এদিকে, গাজায় শিশুদের ওপর বর্বর হামলার কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার শিশু হতাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈশ্বিক এই সংস্থা।
গত বৃহস্পতিবার মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ অনেকে মারা যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। দখলদারদের বর্বর হামলায় শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়েছে।
জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিন সন্তোষ প্রকাশ করলেও বেজায় চটেছে ইসরায়েল সরকার। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, অনেক আগেই ইসরায়েলকে কালো তালিকায় যুক্ত করা উচিত ছিল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, হামাসকে সমর্থন করে সংস্থাটি নিজেকে ইতিহাসের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে জাতিসংঘের এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
গিলাদ এরদান বলেন, ‘এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সেনাবাহিনী হলো বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী। এক ব্যক্তিই একে কালো তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণা দ্বারা পরিচালিত।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, যুদ্ধ শেষ হবে ইউক্রেনের ভূখণ্ড অদলবদল আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার মাধ্যমে।
১২ মিনিট আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপরই এখন যুদ্ধবিরতি আলোচনার দায়িত্ব বর্তেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার রাতে তিনি জানান, শিগগিরই জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক আয়োজন করা হবে।
২১ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চান, ভবিষ্যতে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ ও শান্তি নিয়ে আলোচনার জন্য তাঁদের সম্ভাব্য বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকুন।
৩১ মিনিট আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এখনো কিছু বিষয়ে সমঝোতা বাকি আছে। তবে বৈঠককে তিনি ফলপ্রসূ বলছেন।
১ ঘণ্টা আগে