অনলাইন ডেস্ক
জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত ২৫টি বই নিষিদ্ধ করেছে ভারত। শুধু ভারতীয় লেখক নয়, বিদেশি লেখকদের লেখা বইও আছে এই তালিকায়। ভারত সরকারের এই পদক্ষেপকে বিভ্রান্তিকর বলছেন ব্রিটিশ লেখিকা ভিক্টোরিয়া শোফিল্ড। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারে এ নিয়ে তাঁর লেখা একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সেখানে তিনি লিখেছেন, বাক্স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হলো গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। আর সাহিত্য তার এক সুপ্রতিষ্ঠিত স্তম্ভ, যা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে একটা কণ্ঠস্বর দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় লেখকদের লেখা ২৫টি বই নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নিয়েছে তা ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার ছয় বছর পরে, সেই জায়গাটির বিষয়ে নতুন নিয়মকানুন ও নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করা হচ্ছে, যা সত্যিই বিভ্রান্তিকর।
তিনি আরও বলেন, গত ছয় বছর ধরে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, পর্যটকেরা ফিরে আসছেন এবং সন্ত্রাসী তৎপরতা কমছে (এই বছরের এপ্রিল মাসে পেহেলগামে হওয়া নির্মম সন্ত্রাসী হামলা বাদে)। রাস্তা এবং রেললাইন নির্মাণের ফলে যোগাযোগ উন্নত হচ্ছে। তাহলে, হঠাৎ করে কেন এই নিষেধাজ্ঞা?—প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নিষিদ্ধ হওয়া ২৫টি বইয়ের মধ্যে রয়েছে ভিক্টোরিয়া শোফিল্ডের লেখা ‘কাশ্মীর ইন কনফ্লিক্ট’। ভারত সরকারের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বেশির ভাগ বই অত্যন্ত সম্মানিত ও উঁচু মানের লেখকদের লেখা। তাঁদের কাজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। ভারত সরকার কেন এখন এই বইগুলোর ব্যাপারে এত বেশি উদ্বিগ্ন? ১৯৯০-এর দশকে কাশ্মীর উপত্যকায় ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের চরম সময়েও এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন এমন কী ঘটেছে যে সরকার নিজেকে এত অনিরাপদ মনে করছে?
মুহাম্মদ ইউসুফ সরাফের ‘কাশ্মীরিজ ফাইট ফর ফ্রিডম’-এর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এটি ১৯৭০-এর দশকে দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম খণ্ডে ১৮১৯-১৯৪৬ সাল পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন রাজা শাসিত অঞ্চলের ঘটনাগুলো বর্ণনা করা হয়েছে এবং এটি জম্মু ও কাশ্মীরের ঐতিহাসিক দলিল অংশ। দ্বিতীয় খণ্ডটি ১৯৪৭-১৯৭৮ সালের ঘটনাগুলোর ওপর আলোকপাত করে। এতে ১৯২৩ সালে বারামুল্লায় জন্ম নেওয়া একজন মুসলিম কাশ্মীরির পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে (যিনি পরে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (পিওকে)-এর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হয়েছিলেন), তবে এই বইটিরও জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে।
প্রয়াত এ.কে. নুরানির লেখা ‘দ্য কাশ্মীর ডিসপিউট ১৯৪৭-২০১০’-এর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন আইনজীবী, একজন নেতৃস্থানীয় সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার ছিলেন। বইটির মূল অংশ হলো ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি যেসব প্রবন্ধ লিখেছিলেন সেগুলোর সংগ্রহ, যেখানে তিনি সমসাময়িক উৎস থেকে সরাসরি উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে পাঠকরা বিতর্কের জটিলতা সম্পর্কে নিজেদের মতামত তৈরি করতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. ক্রিস্টোফার স্নেডেনের লেখা ‘ইন্ডিপেনডেন্ট কাশ্মীর?’ নামের বইটিতে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার ধারণা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বইটিতে কাশ্মীরের ইতিহাস এবং কাশ্মীরিদের দৃঢ় মনোবল ও সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। হয়তো ভারত সরকার বইটির ভাবনাকে পছন্দ নাও করতে পারে, কিন্তু ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় ওই রাজ্য কিছুদিনের জন্য স্বাধীন ছিল—এই গুরুত্বপূর্ণ সত্যটি বোঝা খুবই জরুরি।
তিনি প্রশ্ন করেন, এই ধরনের তথ্য ও ব্যাখ্যা না থাকলে ভবিষ্যতের মানুষেরা কীভাবে বুঝবে যে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত সরকারের সঙ্গে একত্রিত করা কেন এত কঠিন কাজ?
তিনি বলেন, ভারতীয় লেখক অধ্যাপক সুমন্ত্র বসুর বই, ‘কনটেস্টেড ল্যান্ডস’ এবং ‘কাশ্মীর অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: ইনসাইড অ্যা টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি কনফ্লিক্ট’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াও অপ্রত্যাশিত। তিনি সুভাষ চন্দ্র বসুর বংশধর সুমন্ত্র বসু। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সে ২০ বছর অধ্যাপনার পর, বসু বর্তমানে অন্ধ্র প্রদেশের ক্রেয়া ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক এবং তুলনামূলক অধ্যয়নের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। ১৯৯৩ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করছেন তিনি। ভিক্টোরিয়া বলেন, সুমন্ত্র বসু এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞেরা, যারা এই সংঘাত শেষ হতে চান, তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য এসব বইয়ের মাধ্যমে শান্তির পথ দেখানো, যাতে সব ধরনের হিংসা বন্ধ হয়।
সন্ত্রাসবাদকে বীরত্ব হিসেবে দেখানো, ভুক্তভোগী মানসিকতা উসকে দেওয়া এবং অভিযোগের সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে—এসব অভিযোগ তুলে বইগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে ভারতের বিজেপি সরকার। কিন্তু তা সত্য নয় বলে দাবি করছেন ভিক্টোরিয়া। তাঁর ভাষ্য—বইগুলো কেবল এটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে কেন এই ধরনের মানসিকতা তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, আমার নিজের বই ‘কাশ্মীর ইন কনফ্লিক্ট’ (১৯৯৬ সালে প্রথম প্রকাশিত এবং এখন পঞ্চম সংস্করণে এসেছে) সন্ত্রাসবাদের কোনো প্রশংসা করে না। বরং এতে জম্মু ও কাশ্মীরের অসন্তোষের কারণগুলো বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে। বইটি ইতিহাস বিকৃত করে না, বরং বিভিন্ন পক্ষের কথা তুলে ধরে। কেন এই সমস্যা শুরু হলো, কেন এখনো সমাধান হয়নি তা তুলে ধরা হয়েছে। এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য যে সবার মধ্যে আলোচনা জরুরি তা-ই বলা হয়েছে বইটিতে।
ভারতের যেসব লেখকের বই নিষিদ্ধ হয়েছে তাদের ব্যাপারে উদ্বেগও জানিয়েছেন ভিক্টোরিয়া। তিনি বলেন, অনুরাধা ভাসিন ও অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ’ প্রচারের অভিযোগে মামলা হওয়ার ভয় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে বহু দেশে বহুবার বই নিষিদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই বিতর্কিত পন্থা কখনোই তেমন কাজে লাগেনি। বরং কেন এত কড়াকড়ি তা পাঠকের মনে আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দেয়।
জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত ২৫টি বই নিষিদ্ধ করেছে ভারত। শুধু ভারতীয় লেখক নয়, বিদেশি লেখকদের লেখা বইও আছে এই তালিকায়। ভারত সরকারের এই পদক্ষেপকে বিভ্রান্তিকর বলছেন ব্রিটিশ লেখিকা ভিক্টোরিয়া শোফিল্ড। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারে এ নিয়ে তাঁর লেখা একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সেখানে তিনি লিখেছেন, বাক্স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হলো গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। আর সাহিত্য তার এক সুপ্রতিষ্ঠিত স্তম্ভ, যা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে একটা কণ্ঠস্বর দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় লেখকদের লেখা ২৫টি বই নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নিয়েছে তা ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার ছয় বছর পরে, সেই জায়গাটির বিষয়ে নতুন নিয়মকানুন ও নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করা হচ্ছে, যা সত্যিই বিভ্রান্তিকর।
তিনি আরও বলেন, গত ছয় বছর ধরে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, পর্যটকেরা ফিরে আসছেন এবং সন্ত্রাসী তৎপরতা কমছে (এই বছরের এপ্রিল মাসে পেহেলগামে হওয়া নির্মম সন্ত্রাসী হামলা বাদে)। রাস্তা এবং রেললাইন নির্মাণের ফলে যোগাযোগ উন্নত হচ্ছে। তাহলে, হঠাৎ করে কেন এই নিষেধাজ্ঞা?—প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নিষিদ্ধ হওয়া ২৫টি বইয়ের মধ্যে রয়েছে ভিক্টোরিয়া শোফিল্ডের লেখা ‘কাশ্মীর ইন কনফ্লিক্ট’। ভারত সরকারের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বেশির ভাগ বই অত্যন্ত সম্মানিত ও উঁচু মানের লেখকদের লেখা। তাঁদের কাজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। ভারত সরকার কেন এখন এই বইগুলোর ব্যাপারে এত বেশি উদ্বিগ্ন? ১৯৯০-এর দশকে কাশ্মীর উপত্যকায় ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের চরম সময়েও এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন এমন কী ঘটেছে যে সরকার নিজেকে এত অনিরাপদ মনে করছে?
মুহাম্মদ ইউসুফ সরাফের ‘কাশ্মীরিজ ফাইট ফর ফ্রিডম’-এর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এটি ১৯৭০-এর দশকে দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম খণ্ডে ১৮১৯-১৯৪৬ সাল পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন রাজা শাসিত অঞ্চলের ঘটনাগুলো বর্ণনা করা হয়েছে এবং এটি জম্মু ও কাশ্মীরের ঐতিহাসিক দলিল অংশ। দ্বিতীয় খণ্ডটি ১৯৪৭-১৯৭৮ সালের ঘটনাগুলোর ওপর আলোকপাত করে। এতে ১৯২৩ সালে বারামুল্লায় জন্ম নেওয়া একজন মুসলিম কাশ্মীরির পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে (যিনি পরে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (পিওকে)-এর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হয়েছিলেন), তবে এই বইটিরও জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে।
প্রয়াত এ.কে. নুরানির লেখা ‘দ্য কাশ্মীর ডিসপিউট ১৯৪৭-২০১০’-এর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন আইনজীবী, একজন নেতৃস্থানীয় সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার ছিলেন। বইটির মূল অংশ হলো ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি যেসব প্রবন্ধ লিখেছিলেন সেগুলোর সংগ্রহ, যেখানে তিনি সমসাময়িক উৎস থেকে সরাসরি উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে পাঠকরা বিতর্কের জটিলতা সম্পর্কে নিজেদের মতামত তৈরি করতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. ক্রিস্টোফার স্নেডেনের লেখা ‘ইন্ডিপেনডেন্ট কাশ্মীর?’ নামের বইটিতে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার ধারণা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বইটিতে কাশ্মীরের ইতিহাস এবং কাশ্মীরিদের দৃঢ় মনোবল ও সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। হয়তো ভারত সরকার বইটির ভাবনাকে পছন্দ নাও করতে পারে, কিন্তু ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় ওই রাজ্য কিছুদিনের জন্য স্বাধীন ছিল—এই গুরুত্বপূর্ণ সত্যটি বোঝা খুবই জরুরি।
তিনি প্রশ্ন করেন, এই ধরনের তথ্য ও ব্যাখ্যা না থাকলে ভবিষ্যতের মানুষেরা কীভাবে বুঝবে যে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত সরকারের সঙ্গে একত্রিত করা কেন এত কঠিন কাজ?
তিনি বলেন, ভারতীয় লেখক অধ্যাপক সুমন্ত্র বসুর বই, ‘কনটেস্টেড ল্যান্ডস’ এবং ‘কাশ্মীর অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: ইনসাইড অ্যা টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি কনফ্লিক্ট’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াও অপ্রত্যাশিত। তিনি সুভাষ চন্দ্র বসুর বংশধর সুমন্ত্র বসু। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সে ২০ বছর অধ্যাপনার পর, বসু বর্তমানে অন্ধ্র প্রদেশের ক্রেয়া ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক এবং তুলনামূলক অধ্যয়নের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। ১৯৯৩ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করছেন তিনি। ভিক্টোরিয়া বলেন, সুমন্ত্র বসু এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞেরা, যারা এই সংঘাত শেষ হতে চান, তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য এসব বইয়ের মাধ্যমে শান্তির পথ দেখানো, যাতে সব ধরনের হিংসা বন্ধ হয়।
সন্ত্রাসবাদকে বীরত্ব হিসেবে দেখানো, ভুক্তভোগী মানসিকতা উসকে দেওয়া এবং অভিযোগের সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে—এসব অভিযোগ তুলে বইগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে ভারতের বিজেপি সরকার। কিন্তু তা সত্য নয় বলে দাবি করছেন ভিক্টোরিয়া। তাঁর ভাষ্য—বইগুলো কেবল এটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে কেন এই ধরনের মানসিকতা তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, আমার নিজের বই ‘কাশ্মীর ইন কনফ্লিক্ট’ (১৯৯৬ সালে প্রথম প্রকাশিত এবং এখন পঞ্চম সংস্করণে এসেছে) সন্ত্রাসবাদের কোনো প্রশংসা করে না। বরং এতে জম্মু ও কাশ্মীরের অসন্তোষের কারণগুলো বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে। বইটি ইতিহাস বিকৃত করে না, বরং বিভিন্ন পক্ষের কথা তুলে ধরে। কেন এই সমস্যা শুরু হলো, কেন এখনো সমাধান হয়নি তা তুলে ধরা হয়েছে। এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য যে সবার মধ্যে আলোচনা জরুরি তা-ই বলা হয়েছে বইটিতে।
ভারতের যেসব লেখকের বই নিষিদ্ধ হয়েছে তাদের ব্যাপারে উদ্বেগও জানিয়েছেন ভিক্টোরিয়া। তিনি বলেন, অনুরাধা ভাসিন ও অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ’ প্রচারের অভিযোগে মামলা হওয়ার ভয় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে বহু দেশে বহুবার বই নিষিদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই বিতর্কিত পন্থা কখনোই তেমন কাজে লাগেনি। বরং কেন এত কড়াকড়ি তা পাঠকের মনে আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দেয়।
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এমপি ও দলটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেছিন্নমূল মানুষদের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ছাড়তে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শহরের অপরাধ দমন করার অঙ্গীকার পূরণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। গতকাল রোববার এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা আপনাদের থাকার জায়গা দেব, তবে রাজধানী থেকে অনেক দূরে।’
২ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানে জাতিসংঘের নারী কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রোববার আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ এই তথ্য। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর মে মাসে...
৩ ঘণ্টা আগেভারতে রাখি বন্ধন উদ্যাপনের পর বোনকে হত্যা করেছে অরবিন্দ নামের এক যুবক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোনের প্রেমের সম্পর্ক মানতে না পেরে তাকে হত্যা করেছে ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক। উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি জেলার গারউথা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
৪ ঘণ্টা আগে