সীমান্তে ভারতের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। আজ মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোলের (এলওসি) কাছে গুলি করে সেটিকে ভূপাতিত করা হয় বলে দাবি করছে তারা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বড় প্রশ্ন হলো, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেবে কি না? ২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় পুলিশ নিহত হয়। এরপর পেহেলগামের হামলাই ছিল কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এমনকি এটি ১৯৮৯ সালে কাশ্মীরে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানকার
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ২৮–২৯ এপ্রিল রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কুপওয়ারা ও বারামুল্লা জেলার বিপরীত এলাকা এবং আখনুর সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই উসকানির যথাযথ ও কার্যকর জবাব দিয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ বলেন, ‘আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করেছি, কারণ যেকোনো মুহূর্তে একটা কিছু হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্তও নিতে হয়। আমরা ইতিমধ্যে সেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে রিপোর্টিংয়ের জন্য ভারতের সমালোচনার মুখে পড়েছে বিবিসি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবিসি ইন্ডিয়ার প্রধান জ্যাকি মার্টিনের কাছে তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেছে।
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা বাড়ছে। এমনটি টানা চার রাত ধরে দুই পক্ষই সীমান্তে নিয়মিত গুলিবিনিময় করছে। এরই মধ্যে ভারত দেশটির নৌবাহিনীকে আধুনিকায়ন করার জন্য ফ্রান্সের কাছ থেকে ৬৩ হাজার কোটি রুপি মূল্যের যুদ্ধবিমান কিনছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে ভারত। এই চ্যানেলগুলোর মোট সাবস্ক্রাইবার তথা গ্রাহকসংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৩০ লাখের মতো। ভারত সরকারের সূত্র বলছে, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার মতো কনটেন্ট প্রচারের অভিযোগে এ পদক্ষেপ নেওয়া
পাকিস্তানি নাগরিক সারদা বাই ওডিশার বোলাঙ্গিরের বাসিন্দা মহেশ কুকরেজাকে বিয়ে করেছেন। তিন দশক ধরে ভারতে বসবাস করছেন তিনি। দুটি সন্তান আছে মহেশ–সারদা দম্পতির। কিন্তু কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের পর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ভারতে সারদার বসবাস।
দুই দেশের মধ্যকার বিবদমান কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই গোলাগুলির ঘটনায় ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ তুলেছে। দেশটি বলেছে, সীমান্তে বিনা উসকানিতে গুলি চালানোর মাধ্যমে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। তবে পাকিস্তান এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারত সরকারের বয়ান নিয়ে সন্দিহান পাকিস্তান। ফলে এ ঘটনার তদন্তে চীন ও রাশিয়ার মতো শক্তিগুলোকে দেখতে চায় দেশটি। বিদ্যমান উত্তেজনা নিরসনে ইরানের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। অন্যদিকে এ হামলায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদে
ভয়াবহ শিকার কাশ্মীরের পেহেলগামে আবারও ফিরতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। সম্প্রতি গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপভোগ করতে আসা ২৬ জন পর্যটক এই হামলায় প্রাণ হারান। কিন্তু এ ঘটনার পরেও কিছু পর্যটক তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী আবারও সেখানে ঘুরতে এসেছেন। ঘুরতে আসা পর্যটকদের সবার মুখে প্রায় একই কথা শোনা
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাম পর্যটন এলাকায় গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এই হামলায় জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তির স্কেচ ও নাম প্রকাশ করেছে ভারতীয় পুলিশ। তাদের দাবি, এই তিনজনের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক এবং সবাই পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী.
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কাশ্মীর নিয়ে বিবাদ দেড় হাজার বছরের পুরোনো। ভারত ও পাকিস্তানের নেতারা ‘কোনো না কোনোভাবে’ এই সংবেদনশীল অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমিত করার উপায় বের করবেন। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি গ্লোবালের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ৫ দিন পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে এখনো প্রকৃত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অবশ্য ২ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার কথা জানিয়েছে তারা। প্রকৃত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে না পারলেও সন্দেহভাজন বিভিন্ন জনের বাড়ি গুঁড়িয়ে...
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এদিকে, পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যেন কোনো ধরনের সশস্ত্র সংঘাত শুরু না হয়, তা নিশ্চিত করতে দূতিয়ালি করছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
কাশ্মীর উপত্যকা আবার উত্তপ্ত। ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের আনন্তনাগ জেলার পেহেলগাম অঞ্চলে বৈসরান উপত্যকার পর্যটন গাইড ও স্থানীয় বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে চালানো ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যার মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি নাগরিক ছিলেন।
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তাইয়েবার সহযোগী সংগঠন হিসেবে পরিচিত দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। সংগঠনটি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘মিথ্যা, প্রমাণ ছাড়া তড়িঘড়ি করে দায় চাপানো ও কাশ্মীরি প্রতিরোধকে হেয় করার জন্য সাজানো অভিযানের অংশ’ বল