কলকাতা প্রতিনিধি
হরিয়ানার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াই পুরণ কুমারের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে সারা দেশে আলোড়ন চলছে। গত মঙ্গলবার চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১১-এ নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এই আইপিএস অফিসারের মরদেহ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ একে আত্মহত্যা বললেও তাঁর স্ত্রী আইএএস (ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস) কর্মকর্তা অমনীত পি কুমার স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন—এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে ঘটানো ‘বাধ্যতামূলক আত্মহত্যা’।
তাঁর কথায়, ‘আমার স্বামীকে জাতের কারণে অপমান করা হয়েছে, মানসিকভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে। অফিসে তাঁকে একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। মিথ্যা প্রমাণ তৈরি করে তাঁকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছিল।’ অমনীত কুমার সরাসরি নাম নিয়েছেন রাজ্যের ডিজিপি শতরুজিত সিং কাপুর ও রোহতকের এসপি নরেন্দ্র বিজারনিয়ার। চণ্ডীগড় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে, তাতেও ১৫ জনের নাম রয়েছে।
সেই নোটে ২০০১ ব্যাচের আইপিএস পুরণ কুমার লিখেছেন—‘আমি ক্লান্ত। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমাকে মানসিকভাবে এমন জায়গায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে মৃত্যু ছাড়া মুক্তি নেই।’ সে চিঠির শেষ লাইনটি এখন ভাইরাল—‘আমি লড়েছি, কিন্তু দেয়ালটা খুব শক্ত।’ এই কয়েকটি শব্দ যেন শুধু এক ব্যক্তির নয়, এক ব্যবস্থার আর্তনাদ।
ঘটনাটি সামনে আসতেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক্সে লিখেছেন, ‘বিজেপি ও আরএসএসের ঘৃণা এবং মনুবাদী মানসিকতা সমাজে বিষ ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রান্তিক মানুষদের ওপর অন্যায় আজ চরমে পৌঁছেছে।’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যখন একজন আইপিএস অফিসারকেও তাঁর জাতের কারণে অপমান সহ্য করতে হয়, তখন সাধারণ এক দলিত নাগরিকের অবস্থা কল্পনা করুন।
রাহুলের মতে, এই মৃত্যু কেবল এক অফিসারের ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, বরং সমাজে ছড়িয়ে পড়া সেই গভীর ‘মনুবাদী মানসিকতার’ প্রতিফলন, যা জাতপাতের নামে মানবতাকে চূর্ণ করছে। তিনি আরও দুটি সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ করেন—রায়বেরেলিতে দলিত যুবক হরিওম বাল্মিকীর নির্মম হত্যা ও সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই (যিনি নিজেও দলিত সম্প্রদায়ের) প্রতি জুতা ছোড়ার চেষ্টা।
রাহুল বলেন, যে দেশে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিও এমন অবমাননার শিকার হন, সেখানে একজন দলিত অফিসারের প্রতি এমন আচরণ অবাক করার নয়, কিন্তু অত্যন্ত লজ্জাজনক। রাহুলের এ বক্তব্যে বিজেপি শিবিরে স্পষ্ট অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। দলটির মুখপাত্ররা এটিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দিলেও কংগ্রেস বলছে, রাহুল শুধু একটি ঘটনার কথা বলেননি। তিনি সমাজের কাঠামোগত অন্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন।
পুরণ কুমারের মৃত্যুর পর চণ্ডীগড় পুলিশ ইতিমধ্যে একটি এফআইআর করেছে, যাতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার পাশাপাশি তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৮৯-এর একাধিক ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
এখন তদন্ত চলছে রাজ্যের ডিজিপি কাপুর, রোহতক এসপি বিজারনিয়া ও অন্য কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের নাম কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায়ও পাঠানো হয়েছে।
তবে এ ঘটনার পর রাজ্যে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তীব্র। কংগ্রেসের ভূপিন্দর সিং হুডা বলেছেন, এমন একজন সিনিয়র অফিসারের মৃত্যু শুধু প্রশাসনের ব্যর্থতা নয়, মানবিক অবক্ষয়েরও প্রতীক। রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার ভাষায়, এটি বাধ্যতামূলক আত্মহত্যা। পুরণ কুমারকে এমনভাবে কোণঠাসা করা হয়েছিল যে, তাঁর সামনে মৃত্যু ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না।
এদিকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনি বা বিজেপির কোনো শীর্ষ নেতা এ ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। বিরোধী দলগুলো একযোগে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এ মৃত্যু ভারতের প্রশাসনিক কাঠামোয় বিদ্যমান জাতিগত পক্ষপাতের ওপর নতুন আলো ফেলেছে। ইতিমধ্যে দিল্লি, পাটনা, চণ্ডীগড় ও হরিয়ানার বিভিন্ন শহরে নাগরিক সমাজের ব্যানারে মোমবাতি মিছিল হয়েছে।
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, পুরণ কুমার ছিলেন পরিশ্রমী ও সৎ। তিনি ক্ষমতাবানদের চাপেও মাথা নত করতেন না। গত কয়েক মাস ধরে তাঁকে প্রশাসনিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সভায় ডাকা হতো না, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল তাঁর হাতছাড়া করা হচ্ছিল। তাঁর স্ত্রী অমনীত কুমার বলেছেন, ‘আমার স্বামী বারবার বলতেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়লে একদিন তাঁরা আমাকে শেষ করে দেবে।’ সম্ভবত সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ঘটনা কেবল একটি প্রশাসনিক আত্মহত্যা নয়, বরং জাতভিত্তিক বৈষম্যের গভীর সংকেত। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও সমাজে জাত ও গোত্রের অদৃশ্য শৃঙ্খল এখনো ভাঙেনি। সরকারি চাকরির উচ্চপর্যায়েও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মকর্তারা বঞ্চনার শিকার হন—কখনো প্রকাশ্যে, কখনো নীরবে। এ নীরব অত্যাচারই ধীরে ধীরে মানুষকে ভেতর থেকে ভেঙে দেয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ মৃত্যু রাষ্ট্রব্যবস্থার আত্মসমালোচনার মুহূর্ত তৈরি করেছে। সংবিধান যতই সমতা ও ন্যায়ের কথা বলুক, সমাজের মানসিক কাঠামো কি সত্যিই বদলেছে? যখন আইনরক্ষকই নিরাপদ নন, তখন সাধারণ মানুষ কোথায় আশ্রয় পাবেন? যখন একজন আইপিএস অফিসারও তাঁর জাতের কারণে অপমানিত হন, তখন সংবিধানের ‘সমতা’ শব্দটি কি শুধুই বইয়ের পাতায় থেকে যাচ্ছে? পুরণ কুমারের মৃত্যু তাই এক পরিবারের শোক নয়, এটি রাষ্ট্রের কাছে এক অমোঘ প্রশ্ন—মনুবাদের বিষ থেকে মুক্তি কবে?
হরিয়ানার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াই পুরণ কুমারের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে সারা দেশে আলোড়ন চলছে। গত মঙ্গলবার চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১১-এ নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এই আইপিএস অফিসারের মরদেহ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ একে আত্মহত্যা বললেও তাঁর স্ত্রী আইএএস (ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস) কর্মকর্তা অমনীত পি কুমার স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন—এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে ঘটানো ‘বাধ্যতামূলক আত্মহত্যা’।
তাঁর কথায়, ‘আমার স্বামীকে জাতের কারণে অপমান করা হয়েছে, মানসিকভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে। অফিসে তাঁকে একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। মিথ্যা প্রমাণ তৈরি করে তাঁকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছিল।’ অমনীত কুমার সরাসরি নাম নিয়েছেন রাজ্যের ডিজিপি শতরুজিত সিং কাপুর ও রোহতকের এসপি নরেন্দ্র বিজারনিয়ার। চণ্ডীগড় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে, তাতেও ১৫ জনের নাম রয়েছে।
সেই নোটে ২০০১ ব্যাচের আইপিএস পুরণ কুমার লিখেছেন—‘আমি ক্লান্ত। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমাকে মানসিকভাবে এমন জায়গায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে মৃত্যু ছাড়া মুক্তি নেই।’ সে চিঠির শেষ লাইনটি এখন ভাইরাল—‘আমি লড়েছি, কিন্তু দেয়ালটা খুব শক্ত।’ এই কয়েকটি শব্দ যেন শুধু এক ব্যক্তির নয়, এক ব্যবস্থার আর্তনাদ।
ঘটনাটি সামনে আসতেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক্সে লিখেছেন, ‘বিজেপি ও আরএসএসের ঘৃণা এবং মনুবাদী মানসিকতা সমাজে বিষ ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রান্তিক মানুষদের ওপর অন্যায় আজ চরমে পৌঁছেছে।’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যখন একজন আইপিএস অফিসারকেও তাঁর জাতের কারণে অপমান সহ্য করতে হয়, তখন সাধারণ এক দলিত নাগরিকের অবস্থা কল্পনা করুন।
রাহুলের মতে, এই মৃত্যু কেবল এক অফিসারের ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, বরং সমাজে ছড়িয়ে পড়া সেই গভীর ‘মনুবাদী মানসিকতার’ প্রতিফলন, যা জাতপাতের নামে মানবতাকে চূর্ণ করছে। তিনি আরও দুটি সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ করেন—রায়বেরেলিতে দলিত যুবক হরিওম বাল্মিকীর নির্মম হত্যা ও সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই (যিনি নিজেও দলিত সম্প্রদায়ের) প্রতি জুতা ছোড়ার চেষ্টা।
রাহুল বলেন, যে দেশে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিও এমন অবমাননার শিকার হন, সেখানে একজন দলিত অফিসারের প্রতি এমন আচরণ অবাক করার নয়, কিন্তু অত্যন্ত লজ্জাজনক। রাহুলের এ বক্তব্যে বিজেপি শিবিরে স্পষ্ট অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। দলটির মুখপাত্ররা এটিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দিলেও কংগ্রেস বলছে, রাহুল শুধু একটি ঘটনার কথা বলেননি। তিনি সমাজের কাঠামোগত অন্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছেন।
পুরণ কুমারের মৃত্যুর পর চণ্ডীগড় পুলিশ ইতিমধ্যে একটি এফআইআর করেছে, যাতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার পাশাপাশি তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৮৯-এর একাধিক ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
এখন তদন্ত চলছে রাজ্যের ডিজিপি কাপুর, রোহতক এসপি বিজারনিয়া ও অন্য কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের নাম কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায়ও পাঠানো হয়েছে।
তবে এ ঘটনার পর রাজ্যে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তীব্র। কংগ্রেসের ভূপিন্দর সিং হুডা বলেছেন, এমন একজন সিনিয়র অফিসারের মৃত্যু শুধু প্রশাসনের ব্যর্থতা নয়, মানবিক অবক্ষয়েরও প্রতীক। রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার ভাষায়, এটি বাধ্যতামূলক আত্মহত্যা। পুরণ কুমারকে এমনভাবে কোণঠাসা করা হয়েছিল যে, তাঁর সামনে মৃত্যু ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না।
এদিকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনি বা বিজেপির কোনো শীর্ষ নেতা এ ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। বিরোধী দলগুলো একযোগে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এ মৃত্যু ভারতের প্রশাসনিক কাঠামোয় বিদ্যমান জাতিগত পক্ষপাতের ওপর নতুন আলো ফেলেছে। ইতিমধ্যে দিল্লি, পাটনা, চণ্ডীগড় ও হরিয়ানার বিভিন্ন শহরে নাগরিক সমাজের ব্যানারে মোমবাতি মিছিল হয়েছে।
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, পুরণ কুমার ছিলেন পরিশ্রমী ও সৎ। তিনি ক্ষমতাবানদের চাপেও মাথা নত করতেন না। গত কয়েক মাস ধরে তাঁকে প্রশাসনিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সভায় ডাকা হতো না, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল তাঁর হাতছাড়া করা হচ্ছিল। তাঁর স্ত্রী অমনীত কুমার বলেছেন, ‘আমার স্বামী বারবার বলতেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়লে একদিন তাঁরা আমাকে শেষ করে দেবে।’ সম্ভবত সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ঘটনা কেবল একটি প্রশাসনিক আত্মহত্যা নয়, বরং জাতভিত্তিক বৈষম্যের গভীর সংকেত। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও সমাজে জাত ও গোত্রের অদৃশ্য শৃঙ্খল এখনো ভাঙেনি। সরকারি চাকরির উচ্চপর্যায়েও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মকর্তারা বঞ্চনার শিকার হন—কখনো প্রকাশ্যে, কখনো নীরবে। এ নীরব অত্যাচারই ধীরে ধীরে মানুষকে ভেতর থেকে ভেঙে দেয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ মৃত্যু রাষ্ট্রব্যবস্থার আত্মসমালোচনার মুহূর্ত তৈরি করেছে। সংবিধান যতই সমতা ও ন্যায়ের কথা বলুক, সমাজের মানসিক কাঠামো কি সত্যিই বদলেছে? যখন আইনরক্ষকই নিরাপদ নন, তখন সাধারণ মানুষ কোথায় আশ্রয় পাবেন? যখন একজন আইপিএস অফিসারও তাঁর জাতের কারণে অপমানিত হন, তখন সংবিধানের ‘সমতা’ শব্দটি কি শুধুই বইয়ের পাতায় থেকে যাচ্ছে? পুরণ কুমারের মৃত্যু তাই এক পরিবারের শোক নয়, এটি রাষ্ট্রের কাছে এক অমোঘ প্রশ্ন—মনুবাদের বিষ থেকে মুক্তি কবে?
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের একটি সামরিক বিস্ফোরক তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন নিহত ও নিখোঁজ হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বড় বিস্ফোরণের পর ধারাবাহিকভাবে ছোট ছোট বিস্ফোরণের কারণে উদ্ধারকর্মীরা দীর্ঘ সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেননি..
৮ মিনিট আগেনোবেল শান্তি পুরস্কার জেতার স্বপ্ন আবারও অধরা রইল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এ বছর নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি শান্তি পুরস্কার দিয়েছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে। ফলে বারাক ওবামাকে ছাড়িয়ে যেতে ট্রাম্পের বহু বছরের আকাঙ্ক্ষা আবারও ব্যর্থ হলো।
২৮ মিনিট আগেঅ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের চারপাশজুড়ে থাকা সমুদ্রতলে তাপবর্ধক মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এটি বিজ্ঞানীদের গভীর উদ্বেগে ফেলেছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অঞ্চলটি উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের তলদেশে নতুন নতুন ফাটল তৈরি হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেপশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠল। গতকাল বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির সামনে থেকে বন্দুকসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় (৫১) পেশায় একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। জানা গেছে, তিনি নাকি কিছু নথি জমা দিতে এসেছিলেন মুখ্যমন
৩ ঘণ্টা আগে