আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আফগানিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৭১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে ১৭ শিশুও। গতকাল মঙ্গলবার প্রাদেশিক সরকারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। অতিরিক্ত গতি ও অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান থেকে সম্প্রতি ফেরত পাঠানো আফগান শরণার্থীদের নিয়ে কাবুলে যাচ্ছিল একটি বাস। পথে একটি ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।
প্রাদেশিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ সাঈদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ইসলাম কালা সীমান্ত থেকে যাত্রীরা বাসে ওঠেন। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদও নিশ্চিত করেছেন যে নিহতরা ইরান থেকে বিতাড়িত হয়ে ফিরছিলেন। এ দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে আছেন কি না, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, বাসের অধিকাংশ যাত্রী নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রাকের দুই যাত্রী আর মোটরসাইকেলের দুই আরোহীও নিহত হয়েছেন।
আফগানিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনা নতুন নয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ভাঙাচোরা সড়ক, হাইওয়েতে বেপরোয়া গাড়ি চালনা এবং কার্যকর নিয়ন্ত্রণের অভাব এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। গত ডিসেম্বরেও মধ্য আফগানিস্তানে দুটি পৃথক বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছিলেন।
দুর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটল এমন সময়ে, যখন ইরান থেকে বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। মাত্র এক দিন আগে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকান্দার মোমেনি ঘোষণা দেন, আগামী মার্চের মধ্যে আরও ৮ লাখ আফগানকে দেশ ছাড়তে হবে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৪ লাখেরও বেশি আফগান নাগরিক ‘নিজ ইচ্ছায় বা জোরপূর্বক’ আফগানিস্তানে ফিরে এসেছেন।
বিশেষ করে ইরান থেকে আফগানদের ফেরার সংখ্যা হঠাৎ করে অনেক বেড়ে গেছে। ইরানের দেওয়া এক নির্দেশনার কারণে আনুমানিক ৪০ লাখ অনিবন্ধিত আফগান নাগরিক প্রভাবিত হতে পারেন। তেহরানের দাবি, দেশটিতে প্রায় ৬০ লাখ আফগান নাগরিক বসবাস করছেন।
গত জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে আফগানিস্তানে প্রবেশ করা মানুষের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। কোনো কোনো দিন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমের এক মুখপাত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১ জুন থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ২১৫ জন আফগান ইরান থেকে ফিরেছেন। এর ফলে ২০২৪ সালে মোট প্রত্যাবর্তনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৬ হাজার ৩২৬।
জাতিসংঘের হিসাবে, চলতি বছরেই ইতিমধ্যে প্রায় ১৪ লাখ আফগান নিজ দেশে ফিরেছেন বা জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইরানের সাম্প্রতিক নির্দেশনা প্রায় ৪০ লাখ অনথিভুক্ত আফগান নাগরিককে প্রভাবিত করতে পারে, যাদের বেশির ভাগই শ্রমজীবী শ্রেণির। তারা মূলত ইরানের বড় শহরগুলোতে নির্মাণ খাতে কম মজুরিতে কাজ করেন।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তান তীব্র অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব ও মানবিক সংকটে ভুগছে। এর মধ্যে পাকিস্তান ও ইরান থেকে লাখো আফগানকে ফেরত আসতে হওয়ায় দেশটি এখন তাদের সামলানো ও একীভূত করার বড় চাপের মুখে পড়েছে। দীর্ঘ যুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পর এই প্রত্যাবর্তনের ঢল দেশটির মানবিক সংকটকে আরও গভীর করে তুলছে।
আফগানিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৭১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে ১৭ শিশুও। গতকাল মঙ্গলবার প্রাদেশিক সরকারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। অতিরিক্ত গতি ও অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান থেকে সম্প্রতি ফেরত পাঠানো আফগান শরণার্থীদের নিয়ে কাবুলে যাচ্ছিল একটি বাস। পথে একটি ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।
প্রাদেশিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ সাঈদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ইসলাম কালা সীমান্ত থেকে যাত্রীরা বাসে ওঠেন। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদও নিশ্চিত করেছেন যে নিহতরা ইরান থেকে বিতাড়িত হয়ে ফিরছিলেন। এ দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে আছেন কি না, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, বাসের অধিকাংশ যাত্রী নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রাকের দুই যাত্রী আর মোটরসাইকেলের দুই আরোহীও নিহত হয়েছেন।
আফগানিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনা নতুন নয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ভাঙাচোরা সড়ক, হাইওয়েতে বেপরোয়া গাড়ি চালনা এবং কার্যকর নিয়ন্ত্রণের অভাব এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। গত ডিসেম্বরেও মধ্য আফগানিস্তানে দুটি পৃথক বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছিলেন।
দুর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটল এমন সময়ে, যখন ইরান থেকে বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। মাত্র এক দিন আগে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকান্দার মোমেনি ঘোষণা দেন, আগামী মার্চের মধ্যে আরও ৮ লাখ আফগানকে দেশ ছাড়তে হবে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৪ লাখেরও বেশি আফগান নাগরিক ‘নিজ ইচ্ছায় বা জোরপূর্বক’ আফগানিস্তানে ফিরে এসেছেন।
বিশেষ করে ইরান থেকে আফগানদের ফেরার সংখ্যা হঠাৎ করে অনেক বেড়ে গেছে। ইরানের দেওয়া এক নির্দেশনার কারণে আনুমানিক ৪০ লাখ অনিবন্ধিত আফগান নাগরিক প্রভাবিত হতে পারেন। তেহরানের দাবি, দেশটিতে প্রায় ৬০ লাখ আফগান নাগরিক বসবাস করছেন।
গত জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে আফগানিস্তানে প্রবেশ করা মানুষের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। কোনো কোনো দিন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমের এক মুখপাত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১ জুন থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ২১৫ জন আফগান ইরান থেকে ফিরেছেন। এর ফলে ২০২৪ সালে মোট প্রত্যাবর্তনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৬ হাজার ৩২৬।
জাতিসংঘের হিসাবে, চলতি বছরেই ইতিমধ্যে প্রায় ১৪ লাখ আফগান নিজ দেশে ফিরেছেন বা জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইরানের সাম্প্রতিক নির্দেশনা প্রায় ৪০ লাখ অনথিভুক্ত আফগান নাগরিককে প্রভাবিত করতে পারে, যাদের বেশির ভাগই শ্রমজীবী শ্রেণির। তারা মূলত ইরানের বড় শহরগুলোতে নির্মাণ খাতে কম মজুরিতে কাজ করেন।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তান তীব্র অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব ও মানবিক সংকটে ভুগছে। এর মধ্যে পাকিস্তান ও ইরান থেকে লাখো আফগানকে ফেরত আসতে হওয়ায় দেশটি এখন তাদের সামলানো ও একীভূত করার বড় চাপের মুখে পড়েছে। দীর্ঘ যুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পর এই প্রত্যাবর্তনের ঢল দেশটির মানবিক সংকটকে আরও গভীর করে তুলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সূর্যাংশু নামের ওই যুবককে দুই বছর ধরে চিনতেন হামলার শিকার শিক্ষিকা। তাঁর প্রতি সূর্যাংশুর দুর্বলতা ছিল বলেও জানা গেছে। কিন্তু তাতে কখনোই সায় দেননি তিনি। গত বছর নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপের জন্য স্কুল থেকে ওই ছাত্রকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আবারও স্কুলে
১ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার কাছে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম চোরাচালানের দায়ে এক চীনা নাগরিককে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। ওই চীনা নাগরিকের নাম শেনঘুয়া ওয়েন (৪২)।
১ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে ‘পরিত্যাগ’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে কিম ইয়ো জং বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক কোনো দিনই স্বাভাবিক হবে না। তিনি দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশ্বস্ত কুকুর’ বলেও অভিহিত করেন। বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াই সবচেয়ে ক্ষতিকর। তারা যুক্তরাষ্ট্রের পোষা কুকুর।
১ ঘণ্টা আগে