মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ছোট-বড় ৩ ডজন খামারে প্রায় শত কোটি টাকার পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন গো-খামারিরা। কিন্তু হঠাৎ গো-খাদ্যের বাজারমূল্য আকাশচুম্বী হওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে খামারিদের। আসন্ন কোরবানির ঈদ ঘিরে খামারিদের গরু হৃষ্টপুষ্ট করতে ব্যয় বেড়েছে অনেক।
এদিকে গো-খাদ্যের অধিকাংশ উপকরণের বাজারমূল্য আকাশচুম্বী হওয়ায় বিনিয়োগ করা খামারিরা এখন উভয়সংকটে পড়েছেন। না পারছেন গরুর চাহিদানুযায়ী খাবার দিতে আবার না পারছেন চড়া দামে খাবার কিনতে। বড় ও মাঝারি গো-খামার ছাড়াও উপজেলার অন্তত ৫০০ প্রান্তিক কৃষক পরিবারে ২ থেকে ৪টি করে দেশি গরু মোটাতাজা করা হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও খামারি সূত্রে জানা গেছে, করোনা-পূর্ববর্তী সময়ে উপজেলায় বড় ও মাঝারি গো-খামার ছিল অর্ধশত। করোনার ধকলে অনেকে পুঁজি হারিয়ে তা ৩০ থেকে ৩২টিতে নেমে এসেছে। এরই মধ্যে আবার বাজারে গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি।
গত বছর এ সময়ে ৩৫ কেজি ওজনের পাতা ভুসির বস্তার মূল্য ছিল ৯০০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১ হাজার ৮০০ টাকা। ৫০ কেজি ওজনের সয়াবিনের খইলের বস্তা ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা। যা বর্তমানে ৩ হাজার ২০০ টাকা। ৪৮ কেজি ওজনের ভুট্টার গুঁড়ার বস্তা ছিল ৭৫০ টাকা। বর্তমানে তা ১ হাজার ৫০০ টাকা।
উপজেলার সবচেয়ে বড় এ কে এগ্রো ডেইরি ফার্মে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজস্ব উৎপাদিত সাইলিজ খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ কেজি ওজনের ৬৫ থেকে ৭০টি ষাঁড়। এসব গরু লাইফওয়েট (জীবন্ত ওজন) পদ্ধতিতে কেজি ৪৮০ টাকায় বিক্রির সুযোগ রাখা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কথা হয় ম্যানেজার মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, করোনার ধকলে নিঃস্ব খামারিরা ব্যাংক ঋণ নিয়ে হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার আশায় এ বছর গো-খামারে স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে বাজারে গো-খাদ্যের মূল্য বেড়েছে। গড়ে ২ থেকে ৩ গুণ খাবারমূল্য বেড়ে যাওয়ায় স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তিনটহরী গুচ্ছগ্রাম-সংলগ্ন এলাকার মাঝারি খামারি মো. জুয়েল বলেন, ‘আমার খামারে মাঝারি আকারে ২৩টি ষাঁড় ও বলদ সম্পূর্ণ নির্ভেজাল খাবারে মোটাতাজা করেছি। প্রতিটি গরুর পেছনে এখন পর্যন্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা। গত ২ থেকে ৩ সপ্তাহ ধরে গরু বাজারের হাল তেমন ভালো দেখছি না। পুঁজির পরিমাণ দাম কেউ হাঁকবে বলে মনে হচ্ছে না। বাজারে গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে আমরা (খামারিরা) হতাশ।’
তিনটহরী বাজার এলাকার ক্ষুদ্র খামারি সবু মিয়া বলেন, ‘আমি ছোট পরিসরে ১০-১২টি বলদ গরু মোটাতাজা করেছি। গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে আমি আশাহত। লাইফওয়েটে কেজি ৫০০-৫৫০ টাকা বিক্রি করতে না পারলে নিশ্চিত পুঁজি হারাতে হবে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সূচয়ণ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনা-পূর্ববর্তী উপজেলায় গো-খামারে পুঁজি বিনিয়োগে এক ধরনের প্রতিযোগিতা পরিলক্ষিত হয়েছিল। বৈশ্বিক মহামারি করোনার ধকলে সব কেড়ে নিয়েছে। সমতলের গো-খামারিরা ওই সময় প্রণোদনা পেলেও পাহাড়ে তা জোটেনি। ফলে ব্যাংকঋণনির্ভর মাঝারি ও বড় ৩০-৩২টি খামারিসহ ক্ষুদ্র খামারিরা হারানো পুঁজি উদ্ধারে গরু মোটাতাজায় এসে গো-খাদ্যের চড়া বাজারমূল্যে তাঁদের স্বপ্ন, দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এভাবে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে গো-খাদ্যের দাম বাড়তে থাকলে সম্ভাবনাময় ডেইরিশিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে খামারিরা।
করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ছোট-বড় ৩ ডজন খামারে প্রায় শত কোটি টাকার পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন গো-খামারিরা। কিন্তু হঠাৎ গো-খাদ্যের বাজারমূল্য আকাশচুম্বী হওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে খামারিদের। আসন্ন কোরবানির ঈদ ঘিরে খামারিদের গরু হৃষ্টপুষ্ট করতে ব্যয় বেড়েছে অনেক।
এদিকে গো-খাদ্যের অধিকাংশ উপকরণের বাজারমূল্য আকাশচুম্বী হওয়ায় বিনিয়োগ করা খামারিরা এখন উভয়সংকটে পড়েছেন। না পারছেন গরুর চাহিদানুযায়ী খাবার দিতে আবার না পারছেন চড়া দামে খাবার কিনতে। বড় ও মাঝারি গো-খামার ছাড়াও উপজেলার অন্তত ৫০০ প্রান্তিক কৃষক পরিবারে ২ থেকে ৪টি করে দেশি গরু মোটাতাজা করা হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও খামারি সূত্রে জানা গেছে, করোনা-পূর্ববর্তী সময়ে উপজেলায় বড় ও মাঝারি গো-খামার ছিল অর্ধশত। করোনার ধকলে অনেকে পুঁজি হারিয়ে তা ৩০ থেকে ৩২টিতে নেমে এসেছে। এরই মধ্যে আবার বাজারে গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি।
গত বছর এ সময়ে ৩৫ কেজি ওজনের পাতা ভুসির বস্তার মূল্য ছিল ৯০০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১ হাজার ৮০০ টাকা। ৫০ কেজি ওজনের সয়াবিনের খইলের বস্তা ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা। যা বর্তমানে ৩ হাজার ২০০ টাকা। ৪৮ কেজি ওজনের ভুট্টার গুঁড়ার বস্তা ছিল ৭৫০ টাকা। বর্তমানে তা ১ হাজার ৫০০ টাকা।
উপজেলার সবচেয়ে বড় এ কে এগ্রো ডেইরি ফার্মে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজস্ব উৎপাদিত সাইলিজ খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ কেজি ওজনের ৬৫ থেকে ৭০টি ষাঁড়। এসব গরু লাইফওয়েট (জীবন্ত ওজন) পদ্ধতিতে কেজি ৪৮০ টাকায় বিক্রির সুযোগ রাখা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কথা হয় ম্যানেজার মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, করোনার ধকলে নিঃস্ব খামারিরা ব্যাংক ঋণ নিয়ে হারানো পুঁজি ফিরে পাওয়ার আশায় এ বছর গো-খামারে স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে বাজারে গো-খাদ্যের মূল্য বেড়েছে। গড়ে ২ থেকে ৩ গুণ খাবারমূল্য বেড়ে যাওয়ায় স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তিনটহরী গুচ্ছগ্রাম-সংলগ্ন এলাকার মাঝারি খামারি মো. জুয়েল বলেন, ‘আমার খামারে মাঝারি আকারে ২৩টি ষাঁড় ও বলদ সম্পূর্ণ নির্ভেজাল খাবারে মোটাতাজা করেছি। প্রতিটি গরুর পেছনে এখন পর্যন্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা। গত ২ থেকে ৩ সপ্তাহ ধরে গরু বাজারের হাল তেমন ভালো দেখছি না। পুঁজির পরিমাণ দাম কেউ হাঁকবে বলে মনে হচ্ছে না। বাজারে গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে আমরা (খামারিরা) হতাশ।’
তিনটহরী বাজার এলাকার ক্ষুদ্র খামারি সবু মিয়া বলেন, ‘আমি ছোট পরিসরে ১০-১২টি বলদ গরু মোটাতাজা করেছি। গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে আমি আশাহত। লাইফওয়েটে কেজি ৫০০-৫৫০ টাকা বিক্রি করতে না পারলে নিশ্চিত পুঁজি হারাতে হবে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সূচয়ণ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনা-পূর্ববর্তী উপজেলায় গো-খামারে পুঁজি বিনিয়োগে এক ধরনের প্রতিযোগিতা পরিলক্ষিত হয়েছিল। বৈশ্বিক মহামারি করোনার ধকলে সব কেড়ে নিয়েছে। সমতলের গো-খামারিরা ওই সময় প্রণোদনা পেলেও পাহাড়ে তা জোটেনি। ফলে ব্যাংকঋণনির্ভর মাঝারি ও বড় ৩০-৩২টি খামারিসহ ক্ষুদ্র খামারিরা হারানো পুঁজি উদ্ধারে গরু মোটাতাজায় এসে গো-খাদ্যের চড়া বাজারমূল্যে তাঁদের স্বপ্ন, দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এভাবে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে গো-খাদ্যের দাম বাড়তে থাকলে সম্ভাবনাময় ডেইরিশিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে খামারিরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪