ভোলায় দুগ্ধশিল্পে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো নৌযানে কুলিং ট্যাংকারের মাধ্যমে দুর্গম চরাঞ্চল থেকে দুধ সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যা এই অঞ্চলের খামারিদের মনে আশার আলো জাগিয়েছে। এতে খামারিরা অনেক খুশি। কারণ, তাঁদের জন্য দুগ্ধ পরিবহন এখন সহজ ও নিরাপদ হয়েছে।
ফেনীর সোনাগাজীতে ফেনী নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ চরে জোয়ারের পানিতে ডুবে ও কুকুরের আক্রমণে তিন শতাধিক ভেড়া মারা গেছে। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন খামারি কামাল হোসেন। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে নদীতে হঠাৎ প্রবল জোয়ারের তীব্রতায় বাঁশ ও টিনের তৈরি ভেড়ার টংঘর ভেঙে পড়ে। এতে পানিতে ডুবে মারা যায় বেশির ভাগ ভেড়া।
লাম্পি স্কিন রোগ মানুষের জন্য ক্ষতিকর না হলেও গবাদিপশুর জন্য এটি মারাত্মক সংক্রামক একটি রোগ। এটি ছোঁয়াছে, এটি এক পশু থেকে অন্যপশুতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত পশুর সংখ্যা। প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত গরুদের জ্বর হয়, শরীর ফুলে ওঠে, ত্বকে গুটি দেখা দেয়, মুখ দিয়ে লালা ঝরে এবং ধীরে ধীরে
নোয়াখালীতে প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে চলছে অসহনীয় লোডশেডিং। এতে করে বিপাকে পড়েছেন জেলার মুরগি খামারিরা। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন খামারে কয়েক হাজার মুরগি মারা গেছে। এ ছাড়া ডিম উৎপাদনেও গরমের প্রভাব পড়েছে। ফলে খামারিদের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি মুরগির মাংস ও ডিমের সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিশেষ করে বড় গরু নিয়ে হাটে আসা খামারিরা পড়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়। চাহিদা কম, দাম উঠছে না, অথচ খরচের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার গদগদ চেহারার আড়ালে জমে উঠেছে ক্ষোভ আর হতাশা।
ক্ষুদ্র খামারী মো. কামাল হোসেন বলেন, বড় গরু প্রতিদিন বাজারে তোলা কষ্টকর। টানা ও ভারী বৃষ্টির ফলে বাজারে গরু নেওয়া দুঃসাধ্য। এছাড়া এখন প্রতিদিনই বাজার, প্রতিদিনই বৃষ্টি!
সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সরকারি চাকরিজীবী হতে চায় শুনে আমি বলেছিলাম, আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। সবাই হেসে উঠলেও আমি বলেছিলাম—আমাদের মতো গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগে। আমি সেই হতাশা চাই না। তখন এমপি স্যার আমার কথা সমর্থন করে অন্যদের উদ্যোক্তা হওয়ার উৎসাহ
প্রায় ৩১ বছর আগে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নে স্থাপন করা হয় গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উপকেন্দ্র পশু হাসপাতাল। এর ঠিক তিন থেকে চার বছর পরই বন্ধ হয়ে যায় উপকেন্দ্রটি। এরপর থেকে তিন দশক ধরে এভাবেই পড়ে রয়েছে হাসপাতালটি।
গজারিয়া উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামের খামারি ইউনুস আলী জানান, “আমার খামারে বেড়ে উঠেছে বড় ষাঁড় ‘রাজাবাবু’। দেশীয় প্রক্রিয়ায় লালন-পালন করা এই ষাঁড়ের দৈর্ঘ্য ১২ ফুট, উচ্চতা ৮ ফুট এবং ওজন প্রায় ১৫ মণ (৬০০ কেজি
উপজেলার প্রধান গরুর হাট বেতাগায় প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে গড়ে প্রায় ১০ হাজার গরু আসে। এছাড়া ফকিরহাট অস্থায়ী পশুহাটেও আশপাশের উপজেলা থেকে কোরবানির পশু আসে। তবে বাইরের পশুর চেয়ে স্থানীয়ভাবে লালন-পালিত পশুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে লালিত গরু পছন্দ করছেন ক্রেতারা।
জেলার পাঁচটি উপজেলার ছোট-বড় মিলিয়ে সাড়ে চার হাজার খামারি এবার গবাদিপশু কেনা বেচা করবেন। ইতোমধ্যে অনেক খামারেই পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্রেতাদের সুবিধা প্রদানের জন্য অগ্রিম ক্রয়ের সুবিধা রেখে ঈদের আগে হোম ডেলিভারির সুবিধা দিচ্ছেন খামারিরা। ফলে বিভিন্ন হাটে ঘুরে পশু কেনার ঝামেলা এড়াতে সরাসরি খামার থেকে
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত কয়েক বছরে গো-খাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় এবং ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় খামার খাতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে এবার জেলায় খামারির সংখ্যা ও পশু পালনের পরিমাণ বেড়েছে। তাই এই খাতকে টিকিয়ে রাখতে খামার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও খাদ্যের দাম কমিয়ে ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ডেইরি...
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন খামারিরা। কোরবানির ঈদের আগে গরুর এমন রোগে খামারিরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন। তবে খামারিদের আতঙ্কিত না হয়ে বরং সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।
৭০ শতাংশ প্রাকৃতিক সবুজ ঘাস ও খড়ে আমি ২টি দেশী বলদ ও ১টি শাইওয়াল ষাঁড় মোটাতাজা করছি। বিগত কয়েক বছর ধরে ভেজাল খাদ্য পরিহার এবং চিকিৎসকের পরামর্শে সবুজ ঘাস চাষে গরু লালন-পালনে পরিচিত লাভ করেছি। ফলে কোরবানির গরু বাজারে তুলতে হয় না। আগেভাগে বাড়িতে এসে সমতলের কোরবানিদাতারা নিয়ে যান...
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারে কোরবানির জন্য ৮০ হাজারেরও বেশি দেশীয় গবাদিপশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। জেলার সাতটি উপজেলায় খামারিরা ইতোমধ্যে পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঈদের এখনও প্রায় তিন সপ্তাহ বাকি থাকলেও দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা আসতে শুরু করেছেন।
ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ছোট আলগী গ্রামে ‘ঐকতান এগ্রো’ নামের খামারে দেখা যায়, মালিক মো. ওসমান গনী নিজেই গরুগুলোকে কাঁচা ঘাস খাওয়াচ্ছেন। তিনি প্রায় সাত বছর ধরে চরাঞ্চল থেকে গরু কিনে এনে দেশীয় উপায়ে মোটাতাজাকরণ করে আসছেন। খামারে বর্তমানে রয়েছে ২৬টি গরু, এর মধ্যে ২২টি মাংসের ও ৪টি দুধের গরু...
খামারিদের কাছ থেকে কেনার ক্ষেত্রে প্রতি লিটার দুধের দাম ৫ টাকা কমিয়েছে মিল্ক ভিটা। অন্যদিকে বেড়েছে গোখাদ্যের দাম। এই অবস্থায় গবাদিপশু পালনে আগ্রহ হারাচ্ছেন সিরাজগঞ্জের খামারিরা।