Ajker Patrika

সপ্তাহের ব্যবধানে তারাগঞ্জে পেঁয়াজের বাজারে আগুন

তারাগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ১২
সপ্তাহের ব্যবধানে তারাগঞ্জে পেঁয়াজের বাজারে আগুন

তারাগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যে পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে তা এখন ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি আড়তে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। এদিকে, দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দরও বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

গত শনিবার সকাল ৮টায় ইকরচালী হাটে বাজার করতে এসেছেন ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, ‘আমরা আবাদ করলে দাম থাকে না, যখন আবাদ করি না তখন হুহু করি দাম বাড়ায়। ৭ দিন আগোত যে পেঁয়াজ ৩৫ টাকাত কিনছি, তাক এ্যালা ৬৫ টাকা চাওছে। পেঁয়াজ কিনতে টাকা শেষ, বাকি খরচ কি দিয়া করিম। মনটা কওচে পেঁয়াজ ছাড়াই তকাই আন্দি খাই।’

পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাটের খুচরা বিক্রেতা দুলু মিয়া বলেন, ‘আমরাও পেঁয়াজ রসুন কিনে এনে বিক্রি করি। পাইকারিতে যে দামে কিনি তার থেকে অল্প লাভে বেচাই। আড়তে দাম বাড়ায় আমরাও দাম একটু বেশি নিচ্ছি। লোকসান করে তো আর বেচতে পারি না।’

হাড়িয়াকুঠি ইউনিয়নের মেনানগর গ্রামের স্কুলশিক্ষক মোস্তফা জামান বলেন, ‘বাজারে প্রশাসনের মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজ মজুত রেখে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভের আশা করছেন। বাজার মনিটরিং হলে শুধু পেঁয়াজ নয়, অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও ঠিক থাকবে।’

চিকলী গ্রামের মিজানুর রহমান পেশায় কৃষি শ্রমিক। গত শনিবার বিকেলে তারাগঞ্জ বাজারে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাম করি দিন শেষে ৩৫০ টাকা পাই। বছর যায় সউগ জিনিসের দাম বাড়ে। কিন্তু হামার কৃষাণের মজুরি বাড়ে না। এক বছরে চারবার তেলের দাম বাড়াইল, চালের দামও বাড়ছে, পেঁয়াজ-মরিচেরও ফের দাম বাড়ছি। বাজার আসলে মাথা ঘোরে, কোনটা থুয়া কোনটা নেই।’

তারাগঞ্জের পাইকারি আড়তদার এন্দা মিয়া বলেন, ‘কাঁচামালের বাজার এমনই। সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়ে। বাজারে এখন পেঁয়াজ কম, তাই দামও বেশি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত