আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
সময়মতো বৃষ্টিপাত, চাহিদামতো সার কোনোটিই পাননি কৃষক। এর ওপর ডিজেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে দিনমজুরেরও দাম। ফলে আমন আবাদে এবার কৃষককে চতুর্মুখী সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। বীজতলা তৈরি, চারা লাগানো থেকে সবকিছুতেই শুধু প্রতিবন্ধকতা পেয়েছেন তাঁরা। এ অবস্থায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হলেও দিনাজপুরের পরিশ্রমী কৃষকদের কল্যাণে তা শতভাগ ছাড়িয়েছে। শুরুতে সময়মতো বৃষ্টি না হলেও থেমে থেমে হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে সারা দেশেই কম-বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দিনাজপুরে মোট ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বরে স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মেঘলা আকাশ আর বর্ষণ কৃষকের মনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। জমির পরিচর্যা, প্রয়োজনমাফিক সার ছিটানো আর তদারকিতেই সময় কাটছে এ অঞ্চলের আমন চাষিদের। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠলেও খরচ অনুপাতে দাম পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের মনে।
জেলার সদর উপজেলার কৃষান বাজার এলাকার কৃষক আবদুল কাদের বলেন, চলতি মৌসুমে তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। বৃষ্টিপাত দেরিতে হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, ‘দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আমন ধান লাগাইছি। পানি নাই, সার নাই, ডিজেলের দাম বেশি। আবার জিনিসের দাম বেশি বলে কামলাদের মজুরিও বেশি। এত সমস্যা নিয়া ঠিকমতো আবাদ করা যায়? এখন একটু আকাশের পানি হছে। ধানখেতে যায়া দেখিলে মনটা ভালো হই যাছে।’
স্থানীয় কৃষক রানা ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো কৃষি ছাড়া আর কোনো কাম জানি না। কষ্ট হইলেও ধান লাগাইছি। এইবার তো খরচ বেশি। ধানের দাম না পাইলে মরা ছাড়া গতি নাই।’
কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলার আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৬০ হাজার ৮২৪ হেক্টরে আর জেলায় এ বছর রোপণ হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ হেক্টর বেশি। গত বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৩২৫ হেক্টরে, আর আবাদ হয়েছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ বছর হাইব্রিড রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ২২৭ হেক্টরে। রোপণ করা হয়েছে ১১ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে। উফশী রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৫ হেক্টরে আর রোপণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে। ২ হাজার ৪০২ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও লাগানো হয়েছে ১ হাজার ৬ শত ৫ হেক্টর জমিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. খালেদুর রহমান জানান, আমন মৌসুম পুরোটাই প্রকৃতিনির্ভর। এ বছর কম বৃষ্টির ফলে অনেক কৃষক সম্পূরক সেচের মাধ্যমে জমিতে চারা লাগিয়েছেন। স্বভাবতই তাঁদের খরচ কিছুটা বেশি হবে। আশার কথা হলো, জেলায় এ পর্যন্ত শতভাগ জমিতে রোপা আমন লাগানো শেষ হয়েছে।
সময়মতো বৃষ্টিপাত, চাহিদামতো সার কোনোটিই পাননি কৃষক। এর ওপর ডিজেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে দিনমজুরেরও দাম। ফলে আমন আবাদে এবার কৃষককে চতুর্মুখী সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। বীজতলা তৈরি, চারা লাগানো থেকে সবকিছুতেই শুধু প্রতিবন্ধকতা পেয়েছেন তাঁরা। এ অবস্থায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হলেও দিনাজপুরের পরিশ্রমী কৃষকদের কল্যাণে তা শতভাগ ছাড়িয়েছে। শুরুতে সময়মতো বৃষ্টি না হলেও থেমে থেমে হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে সারা দেশেই কম-বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দিনাজপুরে মোট ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বরে স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মেঘলা আকাশ আর বর্ষণ কৃষকের মনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। জমির পরিচর্যা, প্রয়োজনমাফিক সার ছিটানো আর তদারকিতেই সময় কাটছে এ অঞ্চলের আমন চাষিদের। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠলেও খরচ অনুপাতে দাম পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের মনে।
জেলার সদর উপজেলার কৃষান বাজার এলাকার কৃষক আবদুল কাদের বলেন, চলতি মৌসুমে তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। বৃষ্টিপাত দেরিতে হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, ‘দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আমন ধান লাগাইছি। পানি নাই, সার নাই, ডিজেলের দাম বেশি। আবার জিনিসের দাম বেশি বলে কামলাদের মজুরিও বেশি। এত সমস্যা নিয়া ঠিকমতো আবাদ করা যায়? এখন একটু আকাশের পানি হছে। ধানখেতে যায়া দেখিলে মনটা ভালো হই যাছে।’
স্থানীয় কৃষক রানা ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো কৃষি ছাড়া আর কোনো কাম জানি না। কষ্ট হইলেও ধান লাগাইছি। এইবার তো খরচ বেশি। ধানের দাম না পাইলে মরা ছাড়া গতি নাই।’
কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলার আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৬০ হাজার ৮২৪ হেক্টরে আর জেলায় এ বছর রোপণ হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ হেক্টর বেশি। গত বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৩২৫ হেক্টরে, আর আবাদ হয়েছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ বছর হাইব্রিড রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ২২৭ হেক্টরে। রোপণ করা হয়েছে ১১ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে। উফশী রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৫ হেক্টরে আর রোপণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে। ২ হাজার ৪০২ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও লাগানো হয়েছে ১ হাজার ৬ শত ৫ হেক্টর জমিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. খালেদুর রহমান জানান, আমন মৌসুম পুরোটাই প্রকৃতিনির্ভর। এ বছর কম বৃষ্টির ফলে অনেক কৃষক সম্পূরক সেচের মাধ্যমে জমিতে চারা লাগিয়েছেন। স্বভাবতই তাঁদের খরচ কিছুটা বেশি হবে। আশার কথা হলো, জেলায় এ পর্যন্ত শতভাগ জমিতে রোপা আমন লাগানো শেষ হয়েছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১০ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫