Ajker Patrika

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। লম্বা ছুটিতে শুরু গেছে গেছে ভ্রমণপিপাসুদের ছোটাছুটি। আর এতে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে করোনার কারণে গত দুই বছর মুখ থুবড়ে পড়া পর্যটন খাতের।

করোনা ঠেকাতে বিধিনিষেধের মধ্যেই ‘ঘরবন্দী’ চারটি ঈদ কেটেছে মানুষের। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে অনেক পর্যটন ব্যবসায়ীও ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। তবে দুই বছর পর প্রথমবারের মতোই স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদ উদ্‌যাপন করবে মানুষ। লম্বা ছুটি পেয়ে খাঁচায় বন্দী পাখির মতোই উড়াল দিচ্ছেন ভ্রমণপ্রিয় মানুষেরা। 
দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোও ভ্রমণপ্রেমীদের স্বাগত জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত। পর্যটন ও হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সিলেট, বান্দরবান, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের হোটেল-মোটেলের বেশির ভাগই বুকিং হয়ে গেছে। পিছিয়ে নেই রাজধানীর হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসায়ীরাও। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ব্যস্ত তাঁরা।

লম্বা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। এবারের ঈদেও ব্যতিক্রম ঘটছে না। এরই মধ্যে পর্যটন জোনের ৮০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া হয়ে গেছে। ঈদের ছুটিতে ১০ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভিড়বেন বলে আশা করছেন সেখানকার পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘শহরে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্টে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজারের মতো পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আশা করছি, এবারের ঈদের ছুটিতে পর্যটক ভরপুর হবে।’

একই চিত্র পাহাড়েও। রাঙামাটিতে ইতিমধ্যেই ঈদ-পরবর্তী সাত দিনের জন্য হোটেল-মোটেল ৮০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের রাঙামাটির ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের মোটেলগুলো ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। আমরা পর্যটক বরণে সব প্রস্তুতি রেখেছি।’ 
ঈদ সামনে রেখে নতুন রূপে সেজেছে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা। সেখানে পর্যটনসংশ্লিষ্ট দুই শতাধিক হোটেল-মোটেলে ৮০ শতাংশ কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটক বরণে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ সুবিধাসহ লোভনীয় অফার।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে ৫০ হাজার পর্যটকের আনাগোনা ঘটবে বলে আশা করছি।’ 
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অধিকাংশ হোটেল-মোটেলও বুকিং হয়ে গেছে। সিলেটের বেশির ভাগ পর্যটনকেন্দ্র পড়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলায়। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ‘পর্যটন সপ্তাহ’ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শুধু রাজধানীর বাইরের পর্যটনকেন্দ্রসংশ্লিষ্ট হোটেল-মোটেল নয়, রাজধানীর রিসোর্টসহ প্রায় সব হোটেল-মোটেলেও ব্যাপক হারে আগাম বুকিং হচ্ছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ইতিমধ্যেই ঢাকার নামীদামি হোটেল থেকে শুরু করে ছোট হোটেলগুলোতে কক্ষ বুকিংয়ের জন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। 
ঈদ উপলক্ষে হোটেল লেকশোর বনানীতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩২ শতাংশ কম দামে কক্ষ বুকিং নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে ১ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেওয়া রয়েছে। এ ছাড়া হোটেল রেইন্ট্রিতে ২১ শতাংশ, গোল্ডেন টিউলিপে ১৭ শতাংশসহ অধিকাংশ হোটেলেই একেক রকমের ছাড়ে আগাম বুকিং চলছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত