শিপুল ইসলাম, রংপুর
রংপুরে ফুলের ব্যবসায় ধস নেমেছে। সারা দিনেও ব্যবসায়ীরা ৮০০-৯০০ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারছেন না। এতে খরচ না ওঠায় ফুল ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন অনেকে।
গতকাল রোববার জেলা শহরের পুলিশ লাইন ফুল মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, থরে থরে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। বিক্রেতারা কয়েক মিনিট পরপর ফুলগুলোয় পানি ছিটাচ্ছেন। আটটি দোকান ঘুরে একটিতেও ক্রেতার দেখা মেলেনি। এ সময় কথা হয় রংগন ফুল দোকানের মালিক শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, তিন বছর আগেও যেখানে ব্যবসা ছিল জমজমাট, সেখানে করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যবসায় ধস নেমেছে। তাঁর দোকানে তিনজন কর্মচারী ছিল। আগে দৈনিক ৫ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করলেও এখন সারা দিনেও ১ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করতে পারেন না। এ জন্য তিনি ও একজন কর্মচারী দিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন।
ফুলসজ্জা বিতানের মালিক শাহিন মাহামুদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মানুষ এখন ইচ্ছে থাকলেও ফুল কেনে না, তা ছাড়া ফুলের দামও বেড়েছে। ফুল কেনার টাকা বাঁচিয়ে মানুষ সংসারের টুকিটাকি কাজে লাগাচ্ছে। আয় নেই, ভালোবেসে এই ব্যবসা ধরে রেখেছি।’
আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যবসায়ী সম্প্রতি ফুলের ব্যবসা ছেড়েছেন। তিনি পুলিশ লাইন ফুল মার্কেটে ব্যবসা করতেন। করোনা ও ক্রেতা-সংকটের কারণে এই ব্যবসা ছাড়েন। তিনি বলেন, ‘বিক্রি না হওয়ায় বেশির ভাগ সময় ফুল পচে যায়। লোকসান হতে থাকায় আমি ফুলের ব্যবসা ছেড়ে দিই।’
পুলিশ লাইন ফুল মার্কেটে ফুল কিনতে আসা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম মহসিন মিয়া বলেন, ‘বাড়ি ফেরার সময় প্রতিদিনই সহধর্মিণীর জন্য পছন্দের ফুল কিনতাম। সে খুব খুশি হতো। এখন ফুলের দাম বেড়েছে, সংসার খরচ বেড়েছে। তাই আর নিয়মিত ফুল কেনা হয় না। আজ মান ভাঙাতে তাঁর পছন্দের ফুল কিনতে এসেছি।’
রংপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনিয়া তাঁর বন্ধু হিমেলকে ফুল কিনে দেন। এ সময় মুনিয়া বলেন, ‘যে ফুল আগে ৫ টাকায় কিনেছি এখন তা ১০ টাকায় কিনলাম। আগে সচরাচর ফুল কেনা হলেও এখন আর হয় না। মেস খরচ, পড়ার খরচ বেড়েছে। ইচ্ছে থাকলেও হাতে টাকা না থাকায় ফুল কেনা হয় না।’
রংপুর ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফিরোজ সাহা বলেন, ‘করোনার আগে রংপুরে বছরে প্রায় দুই কোটি টাকার ফুলের ব্যবসা হতো। এখন ৫০ লাখও হয় না। করোনায় এই ব্যবসায় এক দফা ধস নেমেছে। এখন নিত্যপণ্যসহ সব জিনিসের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় ক্রেতার অভাবে আরেক দফা ধস নেমেছে। অনেকে ব্যবসা ছেড়ে গেলেও আমি ভালোবাসার টানে ফুলের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছি।’
রংপুরে ফুলের ব্যবসায় ধস নেমেছে। সারা দিনেও ব্যবসায়ীরা ৮০০-৯০০ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারছেন না। এতে খরচ না ওঠায় ফুল ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন অনেকে।
গতকাল রোববার জেলা শহরের পুলিশ লাইন ফুল মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, থরে থরে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। বিক্রেতারা কয়েক মিনিট পরপর ফুলগুলোয় পানি ছিটাচ্ছেন। আটটি দোকান ঘুরে একটিতেও ক্রেতার দেখা মেলেনি। এ সময় কথা হয় রংগন ফুল দোকানের মালিক শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, তিন বছর আগেও যেখানে ব্যবসা ছিল জমজমাট, সেখানে করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যবসায় ধস নেমেছে। তাঁর দোকানে তিনজন কর্মচারী ছিল। আগে দৈনিক ৫ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করলেও এখন সারা দিনেও ১ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করতে পারেন না। এ জন্য তিনি ও একজন কর্মচারী দিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন।
ফুলসজ্জা বিতানের মালিক শাহিন মাহামুদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মানুষ এখন ইচ্ছে থাকলেও ফুল কেনে না, তা ছাড়া ফুলের দামও বেড়েছে। ফুল কেনার টাকা বাঁচিয়ে মানুষ সংসারের টুকিটাকি কাজে লাগাচ্ছে। আয় নেই, ভালোবেসে এই ব্যবসা ধরে রেখেছি।’
আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যবসায়ী সম্প্রতি ফুলের ব্যবসা ছেড়েছেন। তিনি পুলিশ লাইন ফুল মার্কেটে ব্যবসা করতেন। করোনা ও ক্রেতা-সংকটের কারণে এই ব্যবসা ছাড়েন। তিনি বলেন, ‘বিক্রি না হওয়ায় বেশির ভাগ সময় ফুল পচে যায়। লোকসান হতে থাকায় আমি ফুলের ব্যবসা ছেড়ে দিই।’
পুলিশ লাইন ফুল মার্কেটে ফুল কিনতে আসা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম মহসিন মিয়া বলেন, ‘বাড়ি ফেরার সময় প্রতিদিনই সহধর্মিণীর জন্য পছন্দের ফুল কিনতাম। সে খুব খুশি হতো। এখন ফুলের দাম বেড়েছে, সংসার খরচ বেড়েছে। তাই আর নিয়মিত ফুল কেনা হয় না। আজ মান ভাঙাতে তাঁর পছন্দের ফুল কিনতে এসেছি।’
রংপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনিয়া তাঁর বন্ধু হিমেলকে ফুল কিনে দেন। এ সময় মুনিয়া বলেন, ‘যে ফুল আগে ৫ টাকায় কিনেছি এখন তা ১০ টাকায় কিনলাম। আগে সচরাচর ফুল কেনা হলেও এখন আর হয় না। মেস খরচ, পড়ার খরচ বেড়েছে। ইচ্ছে থাকলেও হাতে টাকা না থাকায় ফুল কেনা হয় না।’
রংপুর ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফিরোজ সাহা বলেন, ‘করোনার আগে রংপুরে বছরে প্রায় দুই কোটি টাকার ফুলের ব্যবসা হতো। এখন ৫০ লাখও হয় না। করোনায় এই ব্যবসায় এক দফা ধস নেমেছে। এখন নিত্যপণ্যসহ সব জিনিসের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় ক্রেতার অভাবে আরেক দফা ধস নেমেছে। অনেকে ব্যবসা ছেড়ে গেলেও আমি ভালোবাসার টানে ফুলের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছি।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫