আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ভোলায় দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জেলায় কৃষকের ১০ হাজার ২৩৮ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, অশনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের আর্থিক মূল্য প্রায় ৭০ কোটি ৩৬ লাখ ১১ হাজার টাকা। এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে ৮৮ হাজার ৭৩১ হেক্টর জমির ফসল। দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি বন্ধ হলে এবং জমি থেকে পানি নেমে গেলে এ ফসল রক্ষা করা সম্ভব বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জানা গেছে, গত দুই দিনে ভোলায় ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর সঙ্গে ঘণ্টায় দু-তিন কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে।
টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ৩৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর বোরো ধান, ১৮ হাজার ২৮৭ হেক্টর মুগ ডাল, ১ হাজার ৭২৩ হেক্টর ফেলন (বিউলি) ডাল, ১১ হাজার ৯৩৯ হেক্টর সয়াবিন, চিনাবাদাম ১১ হাজার ৭৬ হেক্টর এবং সবজিখেত ৪ হাজার ৮৯০ হেক্টর।
কৃষি অফিসের হিসাবে জেলার ৭ উপজেলায় মোট ৪৫ হাজার ২৭৭ মেট্রিক টন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের কৃষক আলী আকবর জানান, এ বছর এক একর জমিতে মুগ ও সবজি আবাদ করেন। অশনির প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে ৮-১০ গণ্ডা জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
কৃষক আশিক বলেন, ‘আমার সাত গণ্ডা জমির বোরো ধান ঘরে তোলার আগেই পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।’
বোরহানউদ্দিন উপজেলার টগবী ইউনিয়নের কৃষক মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘এ বছরে বোরো ধান, মুগ ডাল ও চিনাবাদামের চাষাবাদ করেছি। ফসলে সার-কীটনাশক দেওয়া যে খরচ হয়েছে, তাতে ভালো ফলন হলে লাভবান হওয়া সম্ভব। কিন্তু তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। এতে বাদাম পচে যাবে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
পক্ষিয়া ইউনিয়নের কৃষক নুরুজ্জামান বলেন, ‘৫০ শতাংশ জমিতে চিনাবাদাম ও মরিচ আবাদ করেছি। গত সোমবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সব শেষ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। তবে বৃষ্টি বাড়লে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে।’
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, ‘টানা তিন দিন বৃষ্টি হচ্ছে। এতে খেতে পানি জমে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সর্বদা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় সে বিষয়ে তদারকি করছে। কৃষকদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে টানা বৃষ্টিতে মুগ ডাল, চিনাবাদাম ও মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
ফেলন ২০ হেক্টর, সয়াবিন ৯০, মরিচ ১২০, মুগ ১৮৭ ও চিনাবাদাম ১৭২ হেক্টর ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।
এদিকে দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘চলতি বছরে ১২০ শতাংশ জমিতে সয়াবিন চাষ করেছি। অসময়ে অশনির প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। এতে সয়াবিন নষ্ট যাবে। ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সয়াবিনসহ সবজি চাষ করেছি। এখন ঋণের টাকা শোধ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম।’
দৌলতখান উপজেলার কিষানি রেহানা বেগম ৩০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি আলু, মুগ ডাল, বাদাম ও ফেলন ডাল চাষ করেন। বৃষ্টিতে সে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি। রেহানা বেগম বলেন, ‘ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছি। প্রতি সপ্তাহে সেই ঋণের কিস্তি শোধ করতে হয়। এখন ফসল নষ্ট হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন, ‘ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিতে ভোলায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, যেসব ফসলের খেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। যদি কৃষকদের জন্য কোনো প্রণোদনা বা বরাদ্দ আসে, তাহলে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।’
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ভোলায় দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জেলায় কৃষকের ১০ হাজার ২৩৮ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, অশনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের আর্থিক মূল্য প্রায় ৭০ কোটি ৩৬ লাখ ১১ হাজার টাকা। এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে ৮৮ হাজার ৭৩১ হেক্টর জমির ফসল। দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি বন্ধ হলে এবং জমি থেকে পানি নেমে গেলে এ ফসল রক্ষা করা সম্ভব বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জানা গেছে, গত দুই দিনে ভোলায় ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর সঙ্গে ঘণ্টায় দু-তিন কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে।
টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ৩৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর বোরো ধান, ১৮ হাজার ২৮৭ হেক্টর মুগ ডাল, ১ হাজার ৭২৩ হেক্টর ফেলন (বিউলি) ডাল, ১১ হাজার ৯৩৯ হেক্টর সয়াবিন, চিনাবাদাম ১১ হাজার ৭৬ হেক্টর এবং সবজিখেত ৪ হাজার ৮৯০ হেক্টর।
কৃষি অফিসের হিসাবে জেলার ৭ উপজেলায় মোট ৪৫ হাজার ২৭৭ মেট্রিক টন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের কৃষক আলী আকবর জানান, এ বছর এক একর জমিতে মুগ ও সবজি আবাদ করেন। অশনির প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে ৮-১০ গণ্ডা জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
কৃষক আশিক বলেন, ‘আমার সাত গণ্ডা জমির বোরো ধান ঘরে তোলার আগেই পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।’
বোরহানউদ্দিন উপজেলার টগবী ইউনিয়নের কৃষক মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘এ বছরে বোরো ধান, মুগ ডাল ও চিনাবাদামের চাষাবাদ করেছি। ফসলে সার-কীটনাশক দেওয়া যে খরচ হয়েছে, তাতে ভালো ফলন হলে লাভবান হওয়া সম্ভব। কিন্তু তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। এতে বাদাম পচে যাবে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
পক্ষিয়া ইউনিয়নের কৃষক নুরুজ্জামান বলেন, ‘৫০ শতাংশ জমিতে চিনাবাদাম ও মরিচ আবাদ করেছি। গত সোমবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সব শেষ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। তবে বৃষ্টি বাড়লে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে।’
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, ‘টানা তিন দিন বৃষ্টি হচ্ছে। এতে খেতে পানি জমে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সর্বদা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় সে বিষয়ে তদারকি করছে। কৃষকদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে টানা বৃষ্টিতে মুগ ডাল, চিনাবাদাম ও মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
ফেলন ২০ হেক্টর, সয়াবিন ৯০, মরিচ ১২০, মুগ ১৮৭ ও চিনাবাদাম ১৭২ হেক্টর ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।
এদিকে দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘চলতি বছরে ১২০ শতাংশ জমিতে সয়াবিন চাষ করেছি। অসময়ে অশনির প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। এতে সয়াবিন নষ্ট যাবে। ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সয়াবিনসহ সবজি চাষ করেছি। এখন ঋণের টাকা শোধ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম।’
দৌলতখান উপজেলার কিষানি রেহানা বেগম ৩০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি আলু, মুগ ডাল, বাদাম ও ফেলন ডাল চাষ করেন। বৃষ্টিতে সে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি। রেহানা বেগম বলেন, ‘ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছি। প্রতি সপ্তাহে সেই ঋণের কিস্তি শোধ করতে হয়। এখন ফসল নষ্ট হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন, ‘ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিতে ভোলায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, যেসব ফসলের খেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। যদি কৃষকদের জন্য কোনো প্রণোদনা বা বরাদ্দ আসে, তাহলে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫