পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার সুজানগর উপজেলায় প্রতিমণ মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। অথচ গত বছরও এর দাম ছিল ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। আগের বছরগুলোতে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি করে কৃষকেরা লাভবান হলেও এবারের চিত্র উল্টো। বাজারে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় চারা পেঁয়াজ আবাদে বাড়তি খরচের চাপ পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের স্বার্থে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন চাষিরা।
দুর্গাপুর গ্রামের পেঁয়াজচাষি আব্দুর রহিম এ বছর ২৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে প্রায় দেড় হাজার মণ ফলন পেয়েছেন। প্রতি বিঘা জমিতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। আর বিঘাপ্রতি ফলন পেয়েছেন ৭০ মণ। কিন্তু বাজারে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় হতাশ তিনি। তাই পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে কৃষকদের স্বার্থে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কৃষক আব্দুর রহিমের মতো একই অবস্থা পাবনার অন্যান্য পেঁয়াজচাষির। আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম নিয়ে হতাশায় ভুগছেন তাঁরা। চারা পেঁয়াজ বাজারে আসার আগে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ করে গত কয়েক বছর লাভ পেলেও এবার দাম কম হওয়ায় হতাশ দেশের সর্ববৃহৎ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল পাবনার চাষিরা। এই অঞ্চলে এটি ‘মূলকাটা’ পেঁয়াজ হিসেবে পরিচিত।
পেঁয়াজচাষিরা বলেন, প্রতি বিঘায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়। ফলে বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৪২ হাজার টাকার মতো। এই মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রির টাকা দিয়ে তাঁরা চারা পেঁয়াজের আবাদ শুরু করেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় বেশি দামে বীজ ও অন্যান্য সামগ্রী কিনে চারা পেঁয়াজ আবাদ করতে হচ্ছে চাষিদের।
মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম নিয়ে যখন হতাশ পাবনার চাষিরা, তখন চারা পেঁয়াজ আবাদ করতে তাঁদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। হাটখালী গ্রামের পেঁয়াজচাষি তৈয়ব আলী বলেন, গত বছর ঘরে বীজ ছিল। এ বছর বীজ কিনতে হয়েছে। গত বছর এক কেজি বীজ ৫ হাজার টাকার মধ্যে কেনা গেলেও এ বছর স্থানীয় জাতের বীজ কিনতে হচ্ছে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা কেজি। হাইব্রিড পেঁয়াজের বীজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ২০ হাজার টাকার বেশি।
তৈয়ব আলীর মতে, বীজের চড়া দামের পাশাপাশি সেচ, সার, কীটনাশকের দামও বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ চাষের খরচ বিঘাপ্রতি ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা বেশি হচ্ছে। তাই অতিরিক্ত খরচ করে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্য পূরণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন চাষিরা।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ কাটা শুরু হয়েছে। চলবে জানুয়ারি পর্যন্ত। কৃষকের ঘরে প্রায় ১৫ শতাংশ পুরোনো পেঁয়াজ থাকায় বাজারে পুরোনো পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ ঘরে তোলার পাশাপাশি কৃষকেরা চারা পেঁয়াজ চাষ করেছেন।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পাবনায় ৮ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১ দশমিক ৭ লাখ টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর ৪৪ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে ৬ দশমিক ৯০ লাখ টন চারা পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
পাবনার সুজানগর উপজেলায় প্রতিমণ মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। অথচ গত বছরও এর দাম ছিল ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। আগের বছরগুলোতে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি করে কৃষকেরা লাভবান হলেও এবারের চিত্র উল্টো। বাজারে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় চারা পেঁয়াজ আবাদে বাড়তি খরচের চাপ পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের স্বার্থে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন চাষিরা।
দুর্গাপুর গ্রামের পেঁয়াজচাষি আব্দুর রহিম এ বছর ২৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে প্রায় দেড় হাজার মণ ফলন পেয়েছেন। প্রতি বিঘা জমিতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। আর বিঘাপ্রতি ফলন পেয়েছেন ৭০ মণ। কিন্তু বাজারে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় হতাশ তিনি। তাই পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে কৃষকদের স্বার্থে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কৃষক আব্দুর রহিমের মতো একই অবস্থা পাবনার অন্যান্য পেঁয়াজচাষির। আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম নিয়ে হতাশায় ভুগছেন তাঁরা। চারা পেঁয়াজ বাজারে আসার আগে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ করে গত কয়েক বছর লাভ পেলেও এবার দাম কম হওয়ায় হতাশ দেশের সর্ববৃহৎ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল পাবনার চাষিরা। এই অঞ্চলে এটি ‘মূলকাটা’ পেঁয়াজ হিসেবে পরিচিত।
পেঁয়াজচাষিরা বলেন, প্রতি বিঘায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়। ফলে বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৪২ হাজার টাকার মতো। এই মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রির টাকা দিয়ে তাঁরা চারা পেঁয়াজের আবাদ শুরু করেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় বেশি দামে বীজ ও অন্যান্য সামগ্রী কিনে চারা পেঁয়াজ আবাদ করতে হচ্ছে চাষিদের।
মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম নিয়ে যখন হতাশ পাবনার চাষিরা, তখন চারা পেঁয়াজ আবাদ করতে তাঁদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। হাটখালী গ্রামের পেঁয়াজচাষি তৈয়ব আলী বলেন, গত বছর ঘরে বীজ ছিল। এ বছর বীজ কিনতে হয়েছে। গত বছর এক কেজি বীজ ৫ হাজার টাকার মধ্যে কেনা গেলেও এ বছর স্থানীয় জাতের বীজ কিনতে হচ্ছে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা কেজি। হাইব্রিড পেঁয়াজের বীজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ২০ হাজার টাকার বেশি।
তৈয়ব আলীর মতে, বীজের চড়া দামের পাশাপাশি সেচ, সার, কীটনাশকের দামও বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ চাষের খরচ বিঘাপ্রতি ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা বেশি হচ্ছে। তাই অতিরিক্ত খরচ করে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্য পূরণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন চাষিরা।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ কাটা শুরু হয়েছে। চলবে জানুয়ারি পর্যন্ত। কৃষকের ঘরে প্রায় ১৫ শতাংশ পুরোনো পেঁয়াজ থাকায় বাজারে পুরোনো পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ ঘরে তোলার পাশাপাশি কৃষকেরা চারা পেঁয়াজ চাষ করেছেন।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পাবনায় ৮ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১ দশমিক ৭ লাখ টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর ৪৪ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে ৬ দশমিক ৯০ লাখ টন চারা পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫