Ajker Patrika

সেতু না থাকায় কষ্টে চার গ্রামের হাজারো মানুষ

হোসাইন আহাম্মেদ সুলভ, মুক্তাগাছা
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ০৪
সেতু না থাকায় কষ্টে চার গ্রামের হাজারো মানুষ

একটি সেতুর জন্য চার গ্রামের মানুষের অপেক্ষা দীর্ঘদিনের। সেতু না থাকায় গ্রামগুলোর কৃষকেরা আবাদকৃত ফসল ঘরে তুলছেন একটি কাঠের সেতু দিয়ে। তবে ওই সেতুটিও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এরপরও সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।

এমন অবস্থা মুক্তাগাছার কাশিমপুরে বানার নদীর ওপরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতে ভরসা কাঠের সেতুটি। এর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে রয়েছে কংক্রিটের সেতু। সেটি দিয়ে যানবাহন নিয়ে এক পাশ থেকে অন্য পাশে যেতে তিন কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।

মুক্তাগাছা উপজেলা শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে বানার নদী। নদীর নামেই নামকরণ হয়েছে স্থানীয় বানারপাড়। বানারপাড় থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কাশিমপুর গ্রামে নেসার মাস্টারের বাড়িসংলগ্ন বানার নদীর ওপর তৈরি করা হয়েছে কাঠের সেতুটি। এটি পার হলেই হরিনাতলা গ্রাম।

কাশিমপুর গ্রামের মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘কাঠের সেতু দিয়ে চারটি গ্রামের মানুষ আসা-যাওয়া করেন। এটি দিয়েই তাঁদের আবাদ করা ফসল আনতে হয়। এটি অনেক কষ্টের কাজ। ঝুঁকি নিয়েই তাঁদের নদী পারাপার হতে হয়।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কাঠের সেতুটি কাশিমপুর, তাজপুর, পোড়াবাড়ি ও বটতলা গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এ সব গ্রামের অধিকাংশ মানুষের কৃষি আবাদ রয়েছে অপর পাড়ে। তাঁদের ফসল আনা-নেওয়া ও অন্যান্য কাজের জন্য গ্রামবাসীর উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে সেতুটি। প্রতি বছরই সেতুটি মেরামত করতে হয় তাঁদের।

তাঁরা আরও জানিয়েছেন, অনেক সময় কাঠের সেতু দিয়ে পার হওয়ার সময় পা ফসকে গভীর পানিতে পড়ে যান অনেকে। তবে বছরের পর বছর একটি সেতুর দাবি করে আসলেও স্থানীয় প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ গ্রামের বাসিন্দাদের।

এলাকাবাসীর কষ্টের কথা স্বীকার করে স্থানীয় কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার বলেন, ‘এলাকার বাসিন্দাদের একটাই কষ্ট একটি সেতুর। এটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকাবাসী। আবাদকৃত ফসল ঘরে তুলতে কষ্ট করতে হচ্ছে। এখানে সেতুর বিশেষ প্রয়োজন। বিষয়টি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মনসুর বলেন, ‘বানার একটি বড় নদী। এখানে সেতু করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার বিষয় রয়েছে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেতু নির্মাণের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়ানোর সহজ উপায় জানালেন বিজ্ঞানীরা

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত