Ajker Patrika

মামলায় বন্ধ শত বিঘার আবাদ

ঝিকরগাছা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ১৩
মামলায় বন্ধ শত বিঘার আবাদ

যশোর সদরের ছোট মেঘলা ও ঝিকরগাছার মল্লিকপুর মাঠের প্রায় ১০০ বিঘা জমির বোরো আবাদ বন্ধ রয়েছে। গভীর নলকূপ বসানো নিয়ে মামলায় সেখানে সেচ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন। ফলে দুই উপজেলার মধ্যবর্তী ওই এলাকার শতাধিক কৃষক বোরো আবাদ নিয়ে তিন বছর ধরে সমস্যায় রয়েছেন।

ঝিকরগাছার মল্লিকপুর গ্রামের সাইফুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি এই মামলা করেছেন বলে জানা গেছে। কৃষকদের চাপে পড়ে বাদী মামলাটির আপসনামা করেও টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সদরের ছোট মেঘলা ও ঝিকরগাছার মল্লিকপুর মাঠের ১০০ বিঘা জমি কৃষকেরা বোরোধান রোপণের জন্য প্রস্তুত করতে পারছেন না। নতুন নলকূপের লাইসেন্স স্থগিত হওয়ায় তাঁরা ধান রোপণ করতে পারছেন না।

ছোট মেঘলা গ্রামের আব্দুর রহিম ভুট্টো বলেন, ‘এ মাঠের শতাধিক বিঘা জমিতে বোরোধান চাষের জন্য আমরা ২০১৭ সালে একটি গভীর নলকূপ বসানোর আবেদন করি। উপজেলা সেচ কমিটি যাচাই-বাছাই করে ২০১৯ সালে লাইসেন্স প্রদান করে। এ নিয়ে আরেক গভীর নলকূপের মালিক ঝিকরগাছার মল্লিকপুর গ্রামের সাইফুজ্জামান মামলা করেন। ফলে আমাদের নলকূপের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায় এবং সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। অথচ তাঁর নলকূপটি রয়েছে দুই হাজার ফুট দূরে ও নিচু জায়গায়।’

কৃষক ভুট্টো আরও বলেন, ‘প্রচলিত সেচ আইনে বলা হয়েছে, একটি গভীর নলকূপ থেকে অপর নলকূপের দূরত্ব হবে এক হাজার ৯৪১ ফুট। তারপরও সাইফুজ্জামান ওই বছরেই ১৯৮৬-৮৭ সালের সেচ আইন উল্লেখ করে একটি ষড়যন্ত্র মামলা করে আমাদের লাইসেন্সটি স্থগিত করে দেন। সেই থেকে মাঠটিতে বোরোধান চাষ করতে পারছেন না কৃষকেরা।’

এ বিষয়ে সাইফুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মামলার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কল কেটে দেন।

ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বসে একবার মীমাংসা করে দিয়েছি। তাঁরা পরে আবার বিতণ্ডায় জড়ালে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।’

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন ভক্ত বলেন, ‘সমস্যার সমাধানের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি এবং সেচ কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত