Ajker Patrika

মাদক সেবনের সময় ঝগড়া হত্যা করে লাশ ডোবায়

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মে ২০২২, ১৫: ৩১
মাদক সেবনের সময় ঝগড়া হত্যা করে লাশ ডোবায়

একসঙ্গে মাদক সেবনের সময় কথা-কাটাকাটি হয় সেলুন কর্মচারী শফিকুল ইসলাম ও মাসুদ রানার। একপর্যায়ে মাসুদ এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন শফিকুলকে। তারপর গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিতের পর লাশ ডোবায় ফেলে পালিয়ে যান মাসুদ। পুলিশের কাছে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ২০ বছর বয়সী মাসুদ রানা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার বিকেলে শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।

হত্যার শিকার ৩৮ বছর বয়সী শফিকুল ইসলাম একই উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পেশায় সেলুন কর্মচারী।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাকপালা পশ্চিমপাড়ার একটি ডোবা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী।

আলী হায়দার চৌধুরী জানান, খবর পাওয়ার পর বগুড়া ডিবি, শাজাহানপুর থানা, কৈগাড়ী ফাঁড়ির তিনটি টিম একসঙ্গে কাজ শুরু করে এবং লাশ পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে সন্দেহভাজন আসামি মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাত দুইটার দিকে ডোবার পাশে মাদক সেবনের সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে মাসুদ তাঁর কাছে থাকা চাকু দিয়ে শফিকুলকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। একসময় সে মাটিতে পড়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য চাকু দিয়ে জবাই করেন। পরে পাশে থাকা ডোবায় কচুরিপানার ভেতর লাশ রেখে দেন। এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু জব্দ করেছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, গত সোমবার রাতে সেলুনের দোকানে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন শফিকুল। সাধারণত তিনি রাত দেড়টা-দুইটা পর্যন্ত সেলুনে কাজ করে থাকেন।

ওই দিন তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। এক দিন পর ডোবা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। শফিকুলের স্ত্রীর দায়ের করা হত্যা মামলায় শফিকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত