Ajker Patrika

বেলাই বিলের সৌন্দর্য টানছে দর্শনার্থীদের, বাড়ছে স্থানীয়দের জীবনমান

মো. রিয়াদ হোসাইন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)
বেলাই বিলের সৌন্দর্য টানছে দর্শনার্থীদের, বাড়ছে স্থানীয়দের জীবনমান

দৃষ্টি যত দূর যায় ততটুকুতে কেবল অথই পানি। কোথাও কোথাও কচুরিপানার ফুল গোধূলির আলোর সঙ্গে মিলে মিশে একাকার। পুরো বছর জুড়ে থাকে পানকৌড়ির আনাগোনা। জীবিকার তাগিদে বের হওয়া জেলেদের নৌকা থেকে ভেসে আসে লোকগানের শ্রুতিমধুর সুর। বর্ষায় এ বিলের রূপ, যৌবন আর লাবণ্য কয়েক হাজার গুন বেড়ে উঠে। এটিই বেলাই বিলের নিত্যদিনের চিত্র।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে অবস্থিত বেলাই বিল প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে এক ভিন্নরূপ ধারণ করে। বিলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া তুমলিয়া মোড়-আওড়াখালি রাস্তাটিকে ঘিরে শুরু হয় পর্যটকদের আনাগোনা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণপিপাসুরা নৌকায় করে  বিল দেখতে চলে আসে। ঢাকা শহরের সন্নিকটে হওয়ায় শহুরের ব্যস্ততাকে পাশ কাটিয়ে একটু বিনোদনের আশায় পুরো পরিবার নিয়ে অনেকেই চলে আসেন এ বিলে। সারা দিন ঘোরাঘুরির পাশাপাশি থাকে বিল থেকে জেলেদের ধরে আনা তাজা সুস্বাদু মাছে দুপুরের ভোজ।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণপিপাসুরা নৌকায় করে বিল দেখতে চলে আসেনশুধু তাই নয়, কালীগঞ্জের সঙ্গে পুবাইলের সীমান্তরেখা টেনে দিয়েছে বেলাই বিল। বর্ষায় অথই পানি ও শুকনো মৌসুমে দিগন্ত জুড়ে থাকে ধানের খেত। এটিই চিরচেনা বিল বেলাইয়ের সৌন্দর্য। বিলটি মাছের অভয়ারণ্য হওয়ায় বর্ষা মৌসুম জুড়ে জেলেদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। একটা নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী এই মাছ আহরণের মাধ্যমে তাঁদের নিজেদের সংসার চালায়। দেশীয় মাছের কদর থাকায় রাজধানী থেকে প্রতিদিন সকালে বহু মানুষ ছুটে আসেন স্থানীয় বাজার এবং বেলাই পাড়ে। জেলেদের তুলে আনা মাছগুলো সতেজ ও সুস্বাদু হওয়ায় উচ্চমূল্যে তা বিক্রিও হয়। 

অপরদিকে, বিলের স্বচ্ছ পানিতে রং ছড়াতে ফুটে থাকে জাতীয় ফুল শাপলা। পুরো বিলের প্রায় সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে শাপলা ফুলে পরিপূর্ণ। বর্ষা মৌসুমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একটা বিশাল অংশ এই শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত বিল থেকে চলে শাপলা সংগ্রহের কাজ। তারপর তা রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে চলে যায় বিক্রির উদ্দেশ্যে। এভাবেই এ অঞ্চলের মানুষ উপকারভোগী হয়ে বেঁচে আছে বিল বেলাইয়ের বুকে। 

শীত মৌসুমে বিল পর্যটক আসেন অতিথি পাখি দেখতে। এ সময় বেলাই বিলে পর্যটকের ঢল নামে। বর্তমানে বেলাই বিলে অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে। অতিথি পাখি দেখতে ঘুরে আসতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি বেলাই বিলে। গোধূলি বেলায় সূর্যের সোনালি আলোয় বিলের পানিতে মিলেমিশে অঙ্কন করে এক দারুণ চিত্র। সারি সারি অতিথি পাখিদের নীড়ে ফেরা, মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ঝাঁক এসব দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন হাজারো মানুষ। 

ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বেরুয়া ব্রিজের নিচে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে নৌকাঢাকার উত্তরা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্ব হওয়ায় বেলাই বিলে প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। উত্তরা পার হয়ে টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে কিছুক্ষণ পর পর বাস, লেগুনা এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে কালীগঞ্জ/নলছাটার উদ্দেশ্যে। নলছাটা নেমে বিল বেলাইয়ের এক অংশ পরিদর্শন করা যায়। তবে পুরোটা দেখতে হলে আরও সামনে গিয়ে তুমলিয় মোড়ে নামতে হবে। সেখান থেকে বেরুয়া ব্রিজে যেতে হবে অটোরিকশায় করে। ব্রিজে নেমে নৌকায় করে বেলাই বিলের ভেতরে ভ্রমণের ব্যবস্থা রয়েছে। 

বেলাই বিলে ঘুরতে আসা পর্যটক মো. আজহার উদ্দিন বলেন, ‘আমি ঢাকার গুলশানে থাকি। ইউটিউবে এ বিলের সৌন্দর্য দেখেছি। সেই থেকে এখানে আসার পরিকল্পনা ছিল। আমি এখানে এসে মুগ্ধ হয়েছি। মোবাইলে যতটা দেখেছি বাস্তবে তা হাজার গুণ বেশি সুন্দর। আমি সকলকে আহ্বান করব যেন সবাই বিলটি দেখতে আসেন।’ 

বিলটি মাছের অভয়ারণ্য হওয়ায় বর্ষা মৌসুম জুড়ে জেলেদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যায়স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মিরাজ মোল্লা বলেন, ‘বেলাই বিল পাড়ে আমার বাড়ি। ছোটবেলায় বাবার কাছেই মাছ ধরা শিখেছি। সেই থেকে এটি পেশা নেশা। আগে মাছ ধরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করলেও তেমন একটা মূল্য পাওয়া যেত না। এখন বাইরে থেকে পর্যটক আসায় দেশি মাছ বেশ ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি। এতে আমার সংসার আগের থেকে বেশ ভালোভাবেই চলছে।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসসাদিকজামান বলেন, বিলটি অত্র অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। এ সৌন্দর্য রক্ষায় স্থানীয়দের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। তাই তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে এই প্রাকৃতিক ভূমি রক্ষা এবং সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করতে হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক, তবে কোথাও হতে পারে বৃষ্টি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শরৎকাল বিদায় নিয়ে চলে এসেছে হেমন্ত। আজ শুক্রবার হেমন্তের প্রথম দিনে সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। নীল আকাশে রয়েছে হালকা সাদা মেঘ। বয়ে চলেছে হালকা মিষ্টি বাতাস।

আজ ঢাকা ও আশপাশ এলাকা আংশিক মেঘলা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, এই অঞ্চলের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

এদিকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার পর থেকে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। দেশের অন্য সব অঞ্চল ছিল বৃষ্টিহীন। সে কারণে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ একই সময় এটি সামান্য বৃষ্টি পেয়ে হয়েছে ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজও দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অস্ট্রেলিয়ার বনগুলো কার্বন শোষণের চেয়ে নিঃসরণ বেশি করছে—বিজ্ঞানীদের সতর্কতা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ০৩
ছবি: বিবিসি
ছবি: বিবিসি

উষ্ণমণ্ডলীয় বনগুলো (রেইনফরেস্ট) বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন শোষণ করে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় দেখা গেল এর বিপরীত চিত্র। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার রেইনফরেস্টগুলো বিশ্বের প্রথম এমন বনাঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যা এখন বায়ুমণ্ডলে কার্বন শোষণের চেয়ে নিঃসরণ বেশি করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই এই বিপর্যয় ঘটছে বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে।

সাধারণত রেইনফরেস্টগুলোকে ‘কার্বন সিঙ্ক’ হিসেবে ধরা হয়—অর্থাৎ এসব বন মৃত গাছের নির্গত কার্বন নতুন গাছের বৃদ্ধির মাধ্যমে শোষণ করে নেয়। কিন্তু ‘নেচার’ বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত তাপমাত্রায় অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের বনাঞ্চলে গাছের মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। এর ফলে ওই বনগুলোতে কার্বন শোষণের চেয়ে নিঃসরণ বেড়ে গেছে।

প্রতিবেদনটি জানায়, অস্ট্রেলিয়ার ওই বনগুলোতে প্রায় ২৫ বছর আগে থেকেই মৃত গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা কার্বন শোষণের পরিবর্তে নির্গমনকারী উৎসে পরিণত হয়েছে। এই গবেষণার প্রধান লেখক ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ড. হান্না কার্ল বলেন, ‘বনভূমি পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধিকে কিছুটা রোধ করে। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখাচ্ছে—এই ভূমিকা এখন হুমকির মুখে।’

কার্ল আরও জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে গাছ মারা যাওয়ার হার বেড়েছে। বিশেষ করে তীব্র তাপমাত্রা, বায়ুমণ্ডলের শুষ্কতা এবং খরার প্রভাবে এই হার বেড়েছে। কুইন্সল্যান্ডের ২০টি বনাঞ্চল থেকে সংগৃহীত ৪৯ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ও তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বনগুলোতে নতুন গাছ জন্মানোও কঠিন হয়ে পড়ছে।

ড. কার্ল বলেন, ‘আমাদের প্রমাণ বলছে—অস্ট্রেলিয়ার স্যাঁতসেঁতে উষ্ণমণ্ডলীয় বনই বিশ্বের প্রথম যা এই পরিবর্তন দেখাচ্ছে।’

গবেষণার সহলেখক অধ্যাপক প্যাট্রিক মেয়ার মত দিয়েছেন, এই ফলাফল অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তিনি জানান, অন্যান্য উষ্ণমণ্ডলীয় বনও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, যদিও নিশ্চিতভাবে জানার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।

অস্ট্রেলিয়া কার্বন নিঃসরণে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি। সম্প্রতি দেশটি ২০০৫ সালের তুলনায় আগামী এক দশকে অন্তত ৬২ শতাংশ নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারপরও এখনো জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল এই দেশের সরকার সম্প্রতি তাদের বৃহত্তম গ্যাস প্রকল্পগুলোর একটি উডসাইডের নর্থ ওয়েস্ট শেলফ আরও ৪০ বছর চালানোর অনুমতি দিয়েছে।

গত মাসে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়ে গেছে এবং দেশটির কোনো অঞ্চলই জলবায়ু বিপর্যয়ের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি থেকে মুক্ত নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর, সর্বোচ্চ দূষণ কিনশাসায়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ১২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকার বাতাসে দূষণ কমছেই না। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। সাধারণত বর্ষাকালে বাতাসের দূষণের মাত্রা কম দেখা যায়। এ ছাড়া অন্যান্য সময়ে, বিশেষ করে শীতকালে বায়ুমানের চরম অবনতি হয়ে থাকে।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫৮। বায়ুদূষণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় আজ ঢাকা রয়েছে সপ্তম স্থানে।

আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর রাজধানী শহর কিনশাসা। শহরটির বায়ুমান আজ ২৮৯। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও কলকাতা এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৮৩, ২৩৮, ১৮০ ও ১৬১।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকা ও আশপাশ এলাকায় আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ০৫
আবহাওয়া অধিপ্তরের কার্যালয়, আগারগাঁও। ছবি: সংগৃহীত
আবহাওয়া অধিপ্তরের কার্যালয়, আগারগাঁও। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার ৩১ আশ্বিন। আগামীকাল শুরু হবে হেমন্তকালের প্রথম মাস কার্তিক। তবে প্রকৃতিতে এরই মধ্যে লেগেছে হেমন্তের ছোঁয়া। আবহাওয়াও হয়ে পড়েছে অনেকটা শুষ্ক। কমে এসেছে বৃষ্টির মাত্রা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি। সে কারণে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। রাজধানী ঢাকায় গতকাল সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ একই সময়ে সেই তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অঞ্চলে আজ দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আজকের সারা দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত