বিশ্বের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এখন অন্যতম ঋণগ্রস্ত। বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে দশমিক ৫ শতাংশের কম অবদান রেখেও বাংলাদেশকে মাথাপিছু ৭৯ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলারের জলবায়ু ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে। বাংলাদেশের পাওয়া জলবায়ু অর্থায়নে ঋণ ও অনুদানের অনুপাত ২ দশমিক ৭, যা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি)
ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে এক ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু গত বছরই চরম গরমের কারণে দেশের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় শূন্য দশমিক ৪ শতাংশের সমান।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে ক্রমেই বায়ুর তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে। এতে তীব্র গরমে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি অর্থনীতির জন্যও তা মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে তাপজনিত অসুস্থতায় প্রায় ২৫ কোটি কর্মদিবস নষ্ট হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, কেবল গবেষণা প্রতিবেদনে সীমাবদ্ধ না থেকে সুপারিশগুলোকে সময়সীমাবদ্ধ কর্মপরিকল্পনায় রূপ দিতে হবে। প্রতিটি সংস্থাকে নিজ নিজ ভূমিকা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে এবং জাতীয় পর্যায়ের অংশীদারদের দায়িত্ব নিতে হবে, যাতে সুপারিশগুলো কার্যকর পদক্ষেপে পরিণত হয়।