ঢাবি প্রতিনিধি
ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকাল থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থানের কারণে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করে ছাত্রদলের ডজনখানেক নেতা-কর্মী আজকের পত্রিকাকে এ অভিযোগ জানিয়েছেন।
তাঁরা বলেন, ‘এখন বিভিন্ন বিভাগে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা চলছে। ছাত্রলীগের অনেকেই আমাদের চেনে, তাই আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা নিয়ে শঙ্কায় আছি।’
নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করে এক ছাত্রদল কর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ক্লাস চলছে। এক সপ্তাহ ধরে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। আগামী সপ্তাহে আমার সপ্তম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারব কি না, তা এখনো বুঝতে পারছি না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের আরেক কর্মী বলেন, ‘প্রতিদিন ছাত্রলীগ যদি এভাবে অবস্থান করে, তাহলে আগামী সপ্তাহ থেকে পরীক্ষা দেব কীভাবে? ক্যাম্পাসে এখন একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
ফুয়াদ নামের এক সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না। ক্যাম্পাসে আসতে আমার ভয় কাজ করে। পরিবারের লোকজন আমাকে নিয়ে খুব চিন্তিত।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ যেভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, তাতে শুধু ছাত্রদল নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরাও আতঙ্কে আছে। তারা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। এ দায় সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগকে আশকারা দিয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন আকতার হোসেন।
এদিকে প্রতিদিন সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগের অবস্থানের কারণে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা অনেকেই সাময়িকভাবে অথবা স্থায়ীভাবে হল ছাড়ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার ক্লাস চলাকালে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে যাওয়া লাগে। প্রতিদিন সকালে ৮টা থেকে প্রোগ্রাম শুরু। টানা চার দিন প্রোগ্রাম করার কারণে আমি ক্লান্ত শরীর নিয়ে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হলে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আমি আপাতত আজিমপুরের একটি মেসে উঠেছি।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীর অধিকার। কোনো শিক্ষার্থী লিখিতভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ জানালে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করব।’ তবে কোনো শিক্ষার্থীর হল ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ তাঁর কাছে নেই বলে জানান প্রক্টর।
ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকাল থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অবস্থানের কারণে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করে ছাত্রদলের ডজনখানেক নেতা-কর্মী আজকের পত্রিকাকে এ অভিযোগ জানিয়েছেন।
তাঁরা বলেন, ‘এখন বিভিন্ন বিভাগে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা চলছে। ছাত্রলীগের অনেকেই আমাদের চেনে, তাই আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা নিয়ে শঙ্কায় আছি।’
নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করে এক ছাত্রদল কর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ক্লাস চলছে। এক সপ্তাহ ধরে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছি না। আগামী সপ্তাহে আমার সপ্তম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারব কি না, তা এখনো বুঝতে পারছি না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের আরেক কর্মী বলেন, ‘প্রতিদিন ছাত্রলীগ যদি এভাবে অবস্থান করে, তাহলে আগামী সপ্তাহ থেকে পরীক্ষা দেব কীভাবে? ক্যাম্পাসে এখন একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
ফুয়াদ নামের এক সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না। ক্যাম্পাসে আসতে আমার ভয় কাজ করে। পরিবারের লোকজন আমাকে নিয়ে খুব চিন্তিত।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ যেভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, তাতে শুধু ছাত্রদল নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরাও আতঙ্কে আছে। তারা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। এ দায় সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগকে আশকারা দিয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন আকতার হোসেন।
এদিকে প্রতিদিন সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগের অবস্থানের কারণে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা অনেকেই সাময়িকভাবে অথবা স্থায়ীভাবে হল ছাড়ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার ক্লাস চলাকালে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে যাওয়া লাগে। প্রতিদিন সকালে ৮টা থেকে প্রোগ্রাম শুরু। টানা চার দিন প্রোগ্রাম করার কারণে আমি ক্লান্ত শরীর নিয়ে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হলে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আমি আপাতত আজিমপুরের একটি মেসে উঠেছি।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীর অধিকার। কোনো শিক্ষার্থী লিখিতভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ জানালে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করব।’ তবে কোনো শিক্ষার্থীর হল ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ তাঁর কাছে নেই বলে জানান প্রক্টর।
স্বাধীনতার পর ডাকসু নির্বাচনে যেখানে কখনো কোনো প্যানেল নিয়েই দাঁড়াতে পারেনি, সেখানে এবার পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করে ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয়ী হয়েছে ছাত্রশিবির। এর জন্য প্যানেলে বৈচিত্র্য রাখা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক মাত্রায় প্রচার কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন
২ ঘণ্টা আগেআসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা এবং অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ছুটি পেতে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক ছুটির তালিকা থেকে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে টানা ৯ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত ছুটি থাকছে।
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পাঁচ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দিন খান, পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ ও সদস্য সাবিকুন নাহার তামান্না।
১৪ ঘণ্টা আগে১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। হাজার হাজার প্রার্থী এতে অংশগ্রহণ করলেও খুব অল্পসংখ্যক প্রার্থীই উত্তীর্ণ হন। বিসিএস পরীক্ষার তিনটি ধাপের মধ্যে প্রিলিমিনারি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে প্রথমে প্রিলিতে সফল হতে হয়...
১৮ ঘণ্টা আগে