আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বজ্রপাত থেকে সাধারণ জনগণকে রক্ষা করার জন্য বজ্রনিরোধক দণ্ড বা লাইটিং অ্যারেস্টার কেনার পূর্ববর্তী সরকারের উদ্যোগ বন্ধ করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল শনিবার বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। এর পরিবর্তে, এখন মানুষকে সচেতন করা এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছানোর ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বজ্রনিরোধক দণ্ডগুলো আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে তেমন কার্যকর নয়। এগুলো মাত্র ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কাজ করে, যা পুরো দেশের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত নয়। এত বিশাল সংখ্যক দণ্ড স্থাপন করা ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর। তাই সরকার মনে করে, বজ্র নিরোধক দণ্ডের চেয়ে মানুষকে সচেতন করা এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আগাম সতর্কতা প্রদান করা অধিক ফলপ্রসূ ও বাস্তবসম্মত।
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানান, মন্ত্রণালয় এখন বজ্রপাত নিয়ে আগাম সতর্ক করার সুযোগকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে এখন দুই ঘণ্টা আগেই জানা যাবে, কোথায় এবং কখন বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের প্রধান লক্ষ্য হলো, কীভাবে স্বল্পতম সময়ে সর্বাধিক মানুষের কাছে এই আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছানো যায়। বিশেষ করে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষের কাছে, যারা কাজের সময় রেডিও-টিভির মতো প্রচলিত গণমাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং দ্রুতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে বজ্রপাতের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এবং এতে মৃত্যুহার বৃদ্ধির কারণে তৎকালীন সরকার ২০১৫ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বজ্রপাতকে ‘দুর্যোগ’ হিসেবে ঘোষণা করে। বজ্রপাত থেকে মানুষ, প্রাণী এবং অবকাঠামোর সুরক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগকে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের ১৫টি জেলাকে বজ্রপাত-প্রবণ বা ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো—নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও দিনাজপুর।
পূর্ববর্তী সরকার ২০২১-২০২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের (টিআর) নীতিমালা সংশোধন করে এই ১৫টি জেলার ১৩৫টি উপজেলায় মোট ৩৩৫টি বজ্র নিরোধক দণ্ড ও যন্ত্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। এই কর্মসূচির জন্য ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দও দেওয়া হয়েছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ববর্তী সরকারের এই উদ্যোগকে বাস্তবতার নিরিখে কার্যকর মনে না করায় তা থেকে সরে এসেছে এবং নতুন কৌশলে কাজ শুরু করেছে।
বজ্রপাত থেকে সাধারণ জনগণকে রক্ষা করার জন্য বজ্রনিরোধক দণ্ড বা লাইটিং অ্যারেস্টার কেনার পূর্ববর্তী সরকারের উদ্যোগ বন্ধ করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল শনিবার বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। এর পরিবর্তে, এখন মানুষকে সচেতন করা এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছানোর ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বজ্রনিরোধক দণ্ডগুলো আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে তেমন কার্যকর নয়। এগুলো মাত্র ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কাজ করে, যা পুরো দেশের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত নয়। এত বিশাল সংখ্যক দণ্ড স্থাপন করা ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর। তাই সরকার মনে করে, বজ্র নিরোধক দণ্ডের চেয়ে মানুষকে সচেতন করা এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আগাম সতর্কতা প্রদান করা অধিক ফলপ্রসূ ও বাস্তবসম্মত।
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানান, মন্ত্রণালয় এখন বজ্রপাত নিয়ে আগাম সতর্ক করার সুযোগকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে এখন দুই ঘণ্টা আগেই জানা যাবে, কোথায় এবং কখন বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের প্রধান লক্ষ্য হলো, কীভাবে স্বল্পতম সময়ে সর্বাধিক মানুষের কাছে এই আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছানো যায়। বিশেষ করে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষের কাছে, যারা কাজের সময় রেডিও-টিভির মতো প্রচলিত গণমাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং দ্রুতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে বজ্রপাতের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এবং এতে মৃত্যুহার বৃদ্ধির কারণে তৎকালীন সরকার ২০১৫ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বজ্রপাতকে ‘দুর্যোগ’ হিসেবে ঘোষণা করে। বজ্রপাত থেকে মানুষ, প্রাণী এবং অবকাঠামোর সুরক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগকে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের ১৫টি জেলাকে বজ্রপাত-প্রবণ বা ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো—নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও দিনাজপুর।
পূর্ববর্তী সরকার ২০২১-২০২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের (টিআর) নীতিমালা সংশোধন করে এই ১৫টি জেলার ১৩৫টি উপজেলায় মোট ৩৩৫টি বজ্র নিরোধক দণ্ড ও যন্ত্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। এই কর্মসূচির জন্য ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দও দেওয়া হয়েছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ববর্তী সরকারের এই উদ্যোগকে বাস্তবতার নিরিখে কার্যকর মনে না করায় তা থেকে সরে এসেছে এবং নতুন কৌশলে কাজ শুরু করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ মহড়া দুই দেশের বিমানবাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়, আন্তকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সহযোগিতা জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
৩ মিনিট আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে সভায় যুক্ত হন তিনি।
১৭ মিনিট আগেগণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার দৃশ্যমান কোনো অ্যাকশন না নেওয়ায় ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি। এ সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে তারা।
১ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা বেলা ৩টায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে উপস্থিত হবেন। সেখানে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাঁর অবস্থান করার কথা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে