বগুড়া প্রতিনিধি
ফুটবল খেলার কথা বলে শিশু বিজয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান পাশের বাড়ির সুজন নামের এক যুবক। এক সঙ্গে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বিজয় দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। বিজয় সুজনের মাকে তুলে গালি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয়ের গলা চেপে ধরে হত্যা করেন সুজন। পরে মরদেহ ফেলে দিয়ে আসেন বাঁশবাগানে। পরে ধরা না পড়ার জন্য কৌশল করে ছুরি দিয়ে গলা, হাত-পায়ের রগ কেটে একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার চুল্লিতে ফেলে দেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের এমনই বর্ণনা দেন শাজাহানপুরের লক্ষ্মীকোলা গ্রামের জাফর সরকারের ছেলে সুজন সরকার (২৮)। আজ বুধবার আদালতে পাঠালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন অভিযুক্ত যুবক।
বুধবার দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী শাজাহানপুরের দুই শিশু হত্যার রহস্য উন্মোচন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত শিশু বুলবুল হোসেন বিজয় (৯) একই গ্রামের সাইদুল ইসলাম সরকারের ছেলে। সে লক্ষ্মীকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে লক্ষ্মীকোলা গ্রামের এসএএম নামে একটি বন্ধ থাকা ইটভাটার চুল্লির (ড্যাম্প) ঢাকনা খুলে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সন্দেহভাজন হিসেবে সুজন সরকারকে আটক করে পুলিশ। বিকেলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
তার দেওয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার রাতেই অভিযান চালিয়ে লক্ষ্মীকোলা গ্রাম থেকে তাঁর ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। পরে আজ বুধবার বিকেলে আদালতেও স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেন তিনি। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন আদালত।
জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর সকালে বাড়ি থেকে বের হয় বিজয়। সকাল ১০টা পর্যন্ত তাকে গ্রামেই ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। এরপর দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেও শিশুটি আর বাড়ি ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি পরিবারের লোকজন।
পরে সোমবার রাত ১১ টার দিকে লক্ষ্মীকোলা গ্রামের এসএএম নামে একটি বন্ধ থাকা ইটভাটার কাছে যেতেই দুর্গন্ধ পান স্থানীয়রা। বিষয়টি সন্দেহ হলে বিজয়ের স্বজনদের ডেকে ইটভাটার দিকে এগিয়ে যান স্থানীয়রা। তারা ইটভাটার চুল্লির (ড্যাম্প) ঢাকনা খুলে ভেতরে টর্চ লাইটের আলোতে বিজয়ের মরদেহ দেখতে পান।
পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। বিজয়ের গলাসহ হাত-পায়ের রগ কাটা ছিল। এ ছাড়াও তার শরীরে আরও অনেক জখম ছিল।
আসামির বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, বিজয় ও আসামি সুজন পূর্ব পরিচিত। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। গত ৫ অক্টোবর বিজয় সুজনের বাড়িতে যায়। তারা বাড়িতে বসে গল্প করার একপর্যায়ে ফুটবল খেলার উদ্দেশ্যে সুজনের বাড়ি থেকে বের হয়। তারা একসঙ্গে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। ওই সময় বিজয় আসামি সুজনের মাকে জড়িয়ে গালি দেয়। এতে সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয়ের গলা চেপে ধরে তাকে হত্যা করে। পরে বিজয়ের মরদেহ লক্ষ্মীকোলা গ্রামের একটি কবরস্থানের পাশের বাঁশবাগানে রেখে এসে নিজ বাড়িতে চলে যান সুজন। ওই দিন দুপুরে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন সুজন। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি থেকে বের হয়ে জানতে পারেন যে, বিজয়কে সবাই খোঁজাখুঁজি করছে। এতে সুজন ভয় পেয়ে যান।
তারপর ওই দিন রাতে বিজয়ের মরদেহ দেখতে ওই বাঁশবাগানে যান সুজন। গিয়ে দেখে বিজয়ের মরদেহ সেখানে আছে। সেখানে থেকে ফিরে এসে বাড়ি থেকে ধারালো চাকু নিয়ে সুজন ওই রাতে আবারও বাঁশবাগানে যান এবং বিজয়ের গলাসহ হাত-পায়ের রগ কেটে দেন। একই সঙ্গে ওই রাতেই বিজয়ের মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে পাশের বন্ধ থাকা এসএএম ইটভাটার চুল্লির ভেতর ফেলে দিয়ে চুল্লির ঢাকনা বন্ধ করে দেন সুজন। বন্ধ ইটভাটার পাশ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
ফুটবল খেলার কথা বলে শিশু বিজয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান পাশের বাড়ির সুজন নামের এক যুবক। এক সঙ্গে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বিজয় দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। বিজয় সুজনের মাকে তুলে গালি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয়ের গলা চেপে ধরে হত্যা করেন সুজন। পরে মরদেহ ফেলে দিয়ে আসেন বাঁশবাগানে। পরে ধরা না পড়ার জন্য কৌশল করে ছুরি দিয়ে গলা, হাত-পায়ের রগ কেটে একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার চুল্লিতে ফেলে দেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের এমনই বর্ণনা দেন শাজাহানপুরের লক্ষ্মীকোলা গ্রামের জাফর সরকারের ছেলে সুজন সরকার (২৮)। আজ বুধবার আদালতে পাঠালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন অভিযুক্ত যুবক।
বুধবার দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী শাজাহানপুরের দুই শিশু হত্যার রহস্য উন্মোচন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত শিশু বুলবুল হোসেন বিজয় (৯) একই গ্রামের সাইদুল ইসলাম সরকারের ছেলে। সে লক্ষ্মীকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে লক্ষ্মীকোলা গ্রামের এসএএম নামে একটি বন্ধ থাকা ইটভাটার চুল্লির (ড্যাম্প) ঢাকনা খুলে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সন্দেহভাজন হিসেবে সুজন সরকারকে আটক করে পুলিশ। বিকেলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
তার দেওয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার রাতেই অভিযান চালিয়ে লক্ষ্মীকোলা গ্রাম থেকে তাঁর ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। পরে আজ বুধবার বিকেলে আদালতেও স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেন তিনি। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন আদালত।
জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর সকালে বাড়ি থেকে বের হয় বিজয়। সকাল ১০টা পর্যন্ত তাকে গ্রামেই ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। এরপর দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেও শিশুটি আর বাড়ি ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি পরিবারের লোকজন।
পরে সোমবার রাত ১১ টার দিকে লক্ষ্মীকোলা গ্রামের এসএএম নামে একটি বন্ধ থাকা ইটভাটার কাছে যেতেই দুর্গন্ধ পান স্থানীয়রা। বিষয়টি সন্দেহ হলে বিজয়ের স্বজনদের ডেকে ইটভাটার দিকে এগিয়ে যান স্থানীয়রা। তারা ইটভাটার চুল্লির (ড্যাম্প) ঢাকনা খুলে ভেতরে টর্চ লাইটের আলোতে বিজয়ের মরদেহ দেখতে পান।
পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। বিজয়ের গলাসহ হাত-পায়ের রগ কাটা ছিল। এ ছাড়াও তার শরীরে আরও অনেক জখম ছিল।
আসামির বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, বিজয় ও আসামি সুজন পূর্ব পরিচিত। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। গত ৫ অক্টোবর বিজয় সুজনের বাড়িতে যায়। তারা বাড়িতে বসে গল্প করার একপর্যায়ে ফুটবল খেলার উদ্দেশ্যে সুজনের বাড়ি থেকে বের হয়। তারা একসঙ্গে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। ওই সময় বিজয় আসামি সুজনের মাকে জড়িয়ে গালি দেয়। এতে সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয়ের গলা চেপে ধরে তাকে হত্যা করে। পরে বিজয়ের মরদেহ লক্ষ্মীকোলা গ্রামের একটি কবরস্থানের পাশের বাঁশবাগানে রেখে এসে নিজ বাড়িতে চলে যান সুজন। ওই দিন দুপুরে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন সুজন। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি থেকে বের হয়ে জানতে পারেন যে, বিজয়কে সবাই খোঁজাখুঁজি করছে। এতে সুজন ভয় পেয়ে যান।
তারপর ওই দিন রাতে বিজয়ের মরদেহ দেখতে ওই বাঁশবাগানে যান সুজন। গিয়ে দেখে বিজয়ের মরদেহ সেখানে আছে। সেখানে থেকে ফিরে এসে বাড়ি থেকে ধারালো চাকু নিয়ে সুজন ওই রাতে আবারও বাঁশবাগানে যান এবং বিজয়ের গলাসহ হাত-পায়ের রগ কেটে দেন। একই সঙ্গে ওই রাতেই বিজয়ের মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে পাশের বন্ধ থাকা এসএএম ইটভাটার চুল্লির ভেতর ফেলে দিয়ে চুল্লির ঢাকনা বন্ধ করে দেন সুজন। বন্ধ ইটভাটার পাশ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
৩ দিন আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৭ দিন আগেআন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
১৮ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫