Ajker Patrika

১২ লাখ টাকায় সরকারি চাকরির নিশ্চয়তা, ভুয়া মেজর ও কর্নেল গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ভুয়া সেনা কর্মকর্তা। ছবি: র‍্যাব
প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ভুয়া সেনা কর্মকর্তা। ছবি: র‍্যাব

ভুয়া সেনা কর্মকর্তা সেজে চাকরি দেওয়া নামে কোটি কোটি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪ এর একটি দল। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা ও সাভারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই প্রতারক চক্রটিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ভুয়া মেজর হলেন সোহেল রানা ওরফে মিলন (৩৩), ভুয়া কর্নেল তৈয়ব ওরফে মোস্তাক (৪৬)। তাঁদের সঙ্গে ধরা পড়া চার সহযোগী হলেন— মো. সজীব মুন্সি (৪৪), (৪) শামীম আহমেদ (৪৫), (৫) মো. মওলাদ আলী খান (৫২) এবং (৬) সোহেল রানা ওরফে জিন্নাহ (৩৭)। এদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেট কার,৭টি সেট মোবাইল ফোন, দুটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং নগদ ৯৫ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক চক্রটি অসংখ্য তরুণকে ফাঁসিয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন নিজেদের সেনাবাহিনীর মেজর ও কর্নেল পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে আসছিল। একই ধরনের অপরাধে এই চক্রের সদস্যরা র‍্যাব-৪ এর হাতে দু’বার গ্রেপ্তারও হয়েছিল। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে আবারও তারা একই কৌশলে প্রতারণা শুরু করে।

র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর সফিপুর আনসার ব্যাটালিয়ন একাডেমিতে সিপাহি পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বাদ পড়েন এক প্রার্থী। এ সময় তার ভাইয়ের কাছে ফোন আসে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির কাছ থেকে। ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগীর কাছে সেনাবাহিনীর কর্নেল পরিচয় করানো হয়। তারা চাকরি দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে ১২ লাখ টাকার দাবি করে। ভুক্তভোগী রাজি হয়ে প্রথমে একটি প্রাইভেট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪ লাখ টাকা জমা দেয়। টাকা নেওয়ার পর চক্রটি একটি ভুয়া নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেয় এবং বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে আরও এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

র‍্যাব জানায়, বাড়িতে এসে ভুক্তভোগী তাঁর ভাইয়ের নিয়োগপত্রটি অন্য একজন প্রকৃত প্রার্থীর নিয়োগপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন। তখনই গরমিল ধরা পড়ে। সন্দেহ হলে দ্রুত তিনি র‍্যাব-৪ এর কাছে অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে র‍্যাব। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা ও সাভারের বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযান চালানো হয়। এতে প্রতারণা চক্রের মূল হোতাসহ ছয় সদস্য ধরা পড়ে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা অভিযোগ স্বীকার করেছে। এদের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বাসায় নিয়ে গায়েব করেন উপদেষ্টা— আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের মেয়রের অভিযোগ

চীনা যুদ্ধবিমান থেকে এলএস-৬ বোমা ফেলে কেন নিজ দেশে ‘হত্যাযজ্ঞ’ চালাল পাকিস্তান

তাহসান তো জিহাদিদের মতোই কথা বললেন: তসলিমা

১৫ শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ইবির এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে

ডাকসুর দুই ভোটকেন্দ্রের ফুটেজ চেয়ে সুর্মী চাকমার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত