গুমের ঘটনার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জড়িত না, এই দায় ব্যক্তিগতভাবে কর্মকর্তাদের। কারণ, ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন। তাই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের দায়ী করা যায় না।
বিগত সরকারের শাসনব্যবস্থা দীর্ঘায়িত করতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করেছে গুমসংক্রান্ত কমিশন। এমনকি সাধারণ নাগরিকদের বেআইনি পন্থায় বারবার ভারতীয় বাহিনীর হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
প্রতিটি গুমের ঘটনার বিচার হওয়া প্রয়োজন বলে অভিমত দিয়েছেন সফররত জাতিসংঘের গুম বা নিখোঁজবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের (ডব্লিউজিআইডি) সদস্য আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ। গতকাল বুধবার বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘অ্যাড্রেসিং এনফোর্সড ডিজএপিয়ারেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্যানেল আ
গোলাম মুর্তোজা নামের এক ছাত্রনেতাকে ৪৭ দিন গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েলকে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গত ১৫ এপ্রিল।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুমের শিকার ব্যক্তিরা কমিশনে অভিযোগ করেছেন, আদালতে দেওয়া জবানবন্দি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে বলতেন, সেভাবেই তাদের দিতে হতো। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুম করা ব্যক্তিদের জবানবন্দি দিতে বাধ্য করত। এ জন্য তাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও শারীরিক
বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় সত্য ও জবাবদিহির পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের অস্বীকারের সংস্কৃতি। আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে গুমকে অস্বীকার করেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও এই অস্বীকারের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে; কারণ, অনেক অভিযুক্ত এখনো ক্ষমতার কেন্দ্রে।
ডব্লিউজিইআইডির সদস্যদের মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। কমিশন সবগুলো অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে আমাদের ২৩৪ জন শহীদ হয়েছেন। গুম হয়েছেন অন্তত ১ হাজার। অনেক ভাই আজও নিখোঁজ। আমাদের সাতজন ভাই কোথায় আছেন, আমরা জানি না। কেবল একটি অপরাধ—তাঁরা শিবির করতেন। কারও চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে, কারও হাত-পা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে,
দেশে সংঘটিত বেশিরভাগ গুমের পেছনে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) জড়িত ছিল। এমন তথ্য উঠে এসেছে গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে। এতে উল্লেখ করা হয়, গুমের শিকার ব্যক্তি, প্রত্যক্ষ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গুমের ঘটনাগুলো নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, ‘কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের “ভদ্রলোকেরা”, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনেরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের গুম হওয়া এবং পরবর্তীতে ভারতে তাঁর সন্ধান মেলার পর দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে নেতিবাচক কথাও বলেছেন। তিনি কেন গুম নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিচ্ছেন না এ নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। অবশ্য
কেরানীগঞ্জে মফিজুর রহমান ওরফে কবিরাজ মফিজ নামে এক ব্যক্তিকে খুনের পর লাশ গুমের দায়ে এক নারী ও এক পুরুষকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। ওই নারী ও পুরুষ সম্পর্কে দেবর-ভাবী। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নি এই রায় দেন।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক আইন প্রণয়ন মৌলিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করার ঝুঁকি তৈরি করেছে। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংস্কার ও গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার থেকে সরে এসে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার ক্ষমতাচ
ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতের পেছনে একটি নীরব কিন্তু রক্তাক্ত যুদ্ধক্ষেত্র রয়ে গেছে—বেলুচিস্তান। এই প্রদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন, গুম, অর্থনৈতিক শোষণ ও জাতিগত নিপীড়নের বিরুদ্ধে বেলুচ বিদ্রোহীরা আবারও সশস্ত্র প্রতিরোধে নেমেছে। চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে বেলুচিস্তান শুধু একটি আঞ্চলিক
প্রায় এক যুগ আগে গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম ওরফে সুমনের বাসায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে তেজগাঁও থানা-পুলিশ গেলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহিনবাগের ওই বাসায় গিয়ে পুলিশ সদস্যরা পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেছে সাজেদুলের পরিবার।
অস্ট্রেলিয়ার একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া সম্মানসূচক আইন ডিগ্রির বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। অর্থাৎ, তাঁকে দেওয়া ডিগ্রিটি বহাল থাকবে কি থাকবে না সেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছে তারা। হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ওঠার...
গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ রোববার মানববন্ধন করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর সংগঠন ‘মায়ের ডাক’। গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনেরা হাইকোর্ট মাজার গেটের সামনে এই মানববন্ধন করেন।