Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হবে তুরস্ক, চুক্তি স্বাক্ষর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ১৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত

এবার বেসামরিক খাতে ব্যবহারের জন্য পারমাণবিক শক্তি পাওয়ার পথে হাঁটছে তুরস্ক। আর দেশটির এই যাত্রায় সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সফরেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউস থেকে বের হওয়ার পর তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রী আলপারসালান বাইরাকতার জানান, কৌশলগত বেসামরিক পারমাণবিক জ্বালানি উন্নয়নে সহযোগিতা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক একটি চুক্তি সই করেছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর ‘বড় ধরনের ঘোষণা’ আসছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এই চুক্তি আঙ্কারার জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, এরদোয়ান আগের ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের সময় ওয়াশিংটনে তেমন জনপ্রিয় ছিলেন না।

মিডল ইস্ট আইকে দুই সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা এ সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছিলেন, ট্রাম্প এরদোয়ানের সঙ্গে পারমাণবিক শক্তি ও খনিজ সম্পদ নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনা করেছেন। অবশেষে বিষয়টি বাস্তবে পরিণত হলো। এর মধ্য দিয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।

বাইরাকতার এক্সে লিখেছেন, ‘আমরা এমন একটি নতুন প্রক্রিয়া শুরু করেছি, যা পারমাণবিক জ্বালানির ক্ষেত্রে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের গভীর ও বহুমাত্রিক অংশীদারত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। বৈঠকের পর দুই দেশের নেতাদের উপস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে আমরা কৌশলগত বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেছি।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই চুক্তির আওতায় যে কাজ শুরু হবে, তা আগামী দিনে দুই দেশের জন্যই পারস্পরিক সুফল বয়ে আনবে বলে আমি আশা করি।’ তুরস্কে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত টম বারাক হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চুক্তি হয়ে গেছে।

তবে এটিই একমাত্র ঘোষণা ছিল না। এরদোয়ান ওভাল অফিস ছাড়ার কিছুক্ষণ পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, তারা ইরাক-তুরস্ক পাইপলাইন পুনরায় চালুর ব্যবস্থা করেছে। এর মাধ্যমে কুর্দি তেল রপ্তানি আবার শুরু হবে। গত বছরের মার্চ থেকে ওই তেল প্রবাহ বন্ধ ছিল। কারণ, আয় কোথায় যাবে—ইরাক সরকার নাকি কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিল দুই পক্ষ।

পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইরাক সরকার কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার (কেআরজি) ও আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে—বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই। এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের পারস্পরিক অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে আরও জোরদার করবে, মার্কিন কোম্পানির জন্য ইরাকে একটি স্থিতিশীল বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি করবে, আঞ্চলিক জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়াবে এবং ইরাকের সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত