ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মো. কাউছার হামিদ (২৭) নামে এক যুবককে মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে আনেন চার ভাই। এরপর তাঁকে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই চার ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া গ্রামের মুন্সিবাড়ী এলাকার সেকান্দর আলীর (মৃত) ছেলে মো. সাবিকুর রহমান ওরফে শফিক মাস্টার (৩৪), মো. শাহজাহান মিয়া (৩৫), মো. শামীম হাসান (২৬), মো. সাইদুল ইসলাম (২৪)।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর ভুক্তভোগী কাউছার হামিদ প্রতারক চার ভাইকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত চার প্রতারককে আদালতে পাঠায় পুলিশ। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার আবুল কাশেমের ছেলে মো. কাউছার হামিদ সাপ্তাহিক ‘চাকুরির খবর’ নামের একটি পত্রিকায় প্রতিবন্ধীদের কাজ করে এমন একটি সংস্থার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখেন। গত ৪ মে নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত অফিসার ইনচার্জ পদে জীবন বৃত্তান্ত পাঠান। গত ২৮ জুন তাঁর মোবাইল নম্বরে কল আসে। মো. সাবিকুর রহমান ওরফে শফিক মাস্টার তাঁকে জানান, তাঁর চাকরি হয়েছে। পরদিন (২৯ জুন) ময়মনসিংহে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
কথা মতো ২৯ জুন বিকেলে কাউছার হামিদ মহানগরীর শম্ভুগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে আসেন। তখন শফিক মাস্টার ও তাঁর ভাই মো. শাহজাহান মিয়া তাঁকে গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে একটি ঘরে তাঁকে আটকে রেখে প্রথমে কিডনি খুলে রাখার হুমকি দেন। এরপর ৫ লাখ টাকা দাবি করে রাতভর নির্যাতন করেন। কাউছার হামিদ ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হন। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকাশের মাধ্যমে বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা আনিয়ে দেন। ওই দিন রাত ১১টার দিকে কাউছার হামিদকে ছেড়ে দেন তাঁরা।
ওসি বলেন, কাউছার হামিদ সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে ওই চার ভাইকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় প্রতারণার মামলা করেন। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী কাউছার হামিদ বলেন, ‘চাকরির দরকার ছিল। তাই বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করি। প্রাথমিক পর্যায়ে সিলেক্ট হওয়ায় তারা আমাকে ময়মনসিংহ নিয়ে একটা অন্ধকার রুমে বেঁধে নির্যাতন করে। পরে টাকা দিতে রাজি হওয়ায় নির্যাতন একটু কম করে। ১ লাখ টাকা দিয়ে কৌশলে তাদের কাছ থেকে বেঁচে থানায় গেলে পুলিশ সহযোগিতা করে।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক মো. সাবিকুর রহমান ওরফে শফিক মাস্টার বলেন, ‘এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে প্রতারণার কাজে যুক্ত হই। এর আগে আরও একবার পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছিলাম। তবে এবার ছাড়া পেলে আর করব না।’
ময়মনসিংহে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মো. কাউছার হামিদ (২৭) নামে এক যুবককে মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে আনেন চার ভাই। এরপর তাঁকে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই চার ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া গ্রামের মুন্সিবাড়ী এলাকার সেকান্দর আলীর (মৃত) ছেলে মো. সাবিকুর রহমান ওরফে শফিক মাস্টার (৩৪), মো. শাহজাহান মিয়া (৩৫), মো. শামীম হাসান (২৬), মো. সাইদুল ইসলাম (২৪)।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর ভুক্তভোগী কাউছার হামিদ প্রতারক চার ভাইকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত চার প্রতারককে আদালতে পাঠায় পুলিশ। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার আবুল কাশেমের ছেলে মো. কাউছার হামিদ সাপ্তাহিক ‘চাকুরির খবর’ নামের একটি পত্রিকায় প্রতিবন্ধীদের কাজ করে এমন একটি সংস্থার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখেন। গত ৪ মে নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত অফিসার ইনচার্জ পদে জীবন বৃত্তান্ত পাঠান। গত ২৮ জুন তাঁর মোবাইল নম্বরে কল আসে। মো. সাবিকুর রহমান ওরফে শফিক মাস্টার তাঁকে জানান, তাঁর চাকরি হয়েছে। পরদিন (২৯ জুন) ময়মনসিংহে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
কথা মতো ২৯ জুন বিকেলে কাউছার হামিদ মহানগরীর শম্ভুগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে আসেন। তখন শফিক মাস্টার ও তাঁর ভাই মো. শাহজাহান মিয়া তাঁকে গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে একটি ঘরে তাঁকে আটকে রেখে প্রথমে কিডনি খুলে রাখার হুমকি দেন। এরপর ৫ লাখ টাকা দাবি করে রাতভর নির্যাতন করেন। কাউছার হামিদ ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হন। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকাশের মাধ্যমে বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা আনিয়ে দেন। ওই দিন রাত ১১টার দিকে কাউছার হামিদকে ছেড়ে দেন তাঁরা।
ওসি বলেন, কাউছার হামিদ সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে ওই চার ভাইকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় প্রতারণার মামলা করেন। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী কাউছার হামিদ বলেন, ‘চাকরির দরকার ছিল। তাই বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করি। প্রাথমিক পর্যায়ে সিলেক্ট হওয়ায় তারা আমাকে ময়মনসিংহ নিয়ে একটা অন্ধকার রুমে বেঁধে নির্যাতন করে। পরে টাকা দিতে রাজি হওয়ায় নির্যাতন একটু কম করে। ১ লাখ টাকা দিয়ে কৌশলে তাদের কাছ থেকে বেঁচে থানায় গেলে পুলিশ সহযোগিতা করে।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক মো. সাবিকুর রহমান ওরফে শফিক মাস্টার বলেন, ‘এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে প্রতারণার কাজে যুক্ত হই। এর আগে আরও একবার পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছিলাম। তবে এবার ছাড়া পেলে আর করব না।’
ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
৩ দিন আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৭ দিন আগেআন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
১৮ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫