উপসম্পাদকীয়

মানুষ একদিন প্রকৃতি জয়ের নেশায় মত্ত হয়েছিল। প্রকৃতিকে জয় করতে পারলেও অবসান হলো না সেই নেশার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে জলে, স্থলে, অন্তরিক্ষে, মহাশূন্যে আধিপত্য বিস্তার শুরু করল। মানুষের এই বিজয়রথ মানুষকে এক ভয়ংকর গভীর সংকটে ফেলে দিল। এ সংকট বিশেষ কোনো দেশের নয়, নয় বিশেষ কোনো জাতির। এ সংকট এককভাব

রেখে চলে যাচ্ছিলাম বছর দুই আগে। যখন রুজভেল্ট দ্বীপ ছাড়ি স্থায়ীভাবে। মনে হলো যেন শুনতে পেলাম: ‘ফেলেই দিলে?’ ব্যথাতুর ফিসফিসানি যেন। চমকে পেছনে তাকালাম। না, কেউ কোথাও নেই। শুধু পড়ে আছে চেয়ারটি। একটু আগেই ফেলে গেছি আমাদের আবাস ভবনের ছয় তলার বর্জ্য ফেলার জায়গায়। না, আহামরি কোনো চেয়ার নয়। সাধারণ একটি বেত

যত দোর্দণ্ড প্রতাপশালীই হোক না কেন, মানুষকে বেশির ভাগ সময়েই নিজের সঙ্গেই থাকতে হয়। নিজের সঙ্গেই পরামর্শ করতে হয়। নিজের সঙ্গেই কথা বলতে হয়। কখনো কখনো যুক্তি এবং প্রতিযুক্তি দিতে হয়। খণ্ডন করতে হয় প্রতিটি যুক্তি ও প্রতিযুক্তিকে এবং পৌঁছুতে হয় সিদ্ধান্তে। যতই শলাপরামর্শ নিক না কেন, মানুষকে শেষবিচারে নি

আমার একটি ফেবু স্টেটাসের বিষয়ে আমার এক শ্রদ্ধেয় বন্ধু কিছুটা আহত হয়ে বলেছেন: আমাদের সবার ত্রুটি আছে, তাই সেসব ভুলে কীভাবে এগোতে পারব, সে বিষয়ে যেন চিন্তা করি। আমার এই বন্ধুর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা আছে। তাঁর মনোবেদনার জন্য আমি ব্যথিত। আরেক বড়ভাই বলেছেন: মানুষকে একটি ঘটনা দিয়ে চরিত্র বিচার ঠিক নয়; আর

করোনাকালে দ্বিতীয় বাজেট পেশ করা হবে বৃহস্পতিবার, ৩ জুন। জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট পেশ করার আগেই বাজেট নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতিবিদ এবং সচেতন মানুষ নিজেদের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করছেন।

এ সময়টা এলেই আপনারা আমাকে লেবুচিপা করেন! চিপতে চিপতে এক সময় তিতা করে ফেলেন! সারা বছর আমাকে নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা থাকে না। জুন মাসে যখন আপনারা আমাকে নিয়ে যারপরনাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখনই বুঝতে পারি আমার নাম-দাম আছে! আপনাদের শোরগোল দেখে বুঝি যে আমিই বাজেট।

আমার স্কুল-কলেজের বন্ধুরা বেশিরভাগই মেধাবী ছিল। আমি ছাড়া সবাই তুখোড় ছাত্র ছিল। আমরা বেশির ভাগই ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত একসঙ্গে পড়েছি। একমাত্র আমারই শিল্পী হওয়ার ভূত চেপেছিল মাথায়। বাকিরা তাদের মেধা, নিষ্ঠা, সততা, পরিশ্রম দিয়ে আরদ্ধ জায়গায় পৌঁছে গেছে। কেউ সরকারের সচিব, কেউ অধ্যাপক, কেউ খ্যাতিমান নাট্যক

যখন গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের একটি মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল এবং এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহানকে আসামি করা হয়েছিল, তখন আমাদের দেশের গণমাধ্যমের ভূমিকার ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।

আশা এবং আশঙ্কা জীবনের স্বাভাবিক ঘটনা। আশঙ্কাকে ব্যর্থ বা পরাজিত করে আশা নিয়েই মানুষ বাঁচে, বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। জীবন থাকলে জীবনযুদ্ধও থাকবে। করোনাকালে মানুষের জীবনে

আজকের লেখাটি কেবল ছাত্রছাত্রী বয়সীদের জন্য। মাসাধিককাল ধরে আমি রবীন্দ্ররচনা খুব বেশি পড়ছি। কেন পড়ছি তার একটা কারণ অবশ্য আছে—জগৎসংসারের কোনো একটি ঘটনা আমাকে খুব বিচলিত করেছিল। বিধ্বস্ত বললেও অত্যুক্তি হবে না। আমি সারা দিনমান একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়িয়েছি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজ আমাদের গ্রামের সৈয়দাবাদ সরকারি কলেজের ছাত্র ছিল! এই কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা আমার চাচা মরহুম এ বি এম সিদ্দিক, যাঁর

‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান.... ’

একবার নাকি স্টিফেন হকিংকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনি কি মনে করেন, ঈশ্বর নেই?’ জবাবে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘থাকতে পারেন, তবে এই মহাজগতের কোনো কিছুতেই তিনি হস্তক্ষেপ করেন না।’

গত বছর ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস শহরে শ্বাসরুদ্ধ করে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করেছিল এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। এর পরপরই দেশটির বিভিন্ন শহরে বিশাল বিশাল প্রতিবাদ মিছিল হচ্ছিল, ছড়িয়ে পড়েছিল সহিংস দাঙ্গা। তেমনই একটি মিছিলে একটি কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরীর মুখাবরণীর ওপরে দেখেছিলাম লেখা কটি—‘আমরা এখনো নিশ্

জগৎ দুঃখময়৷ এই দুঃখময় জগতের দুঃখ নিবারণের জন্য তিনি এমন এক পূর্ণিমা তিথিতে সংসার ত্যাগ করেছিলেন। বলা হয় তারও আগে আরেক পূর্ণিমা তিথিতে তিনি মনুষ্যজগতে পা রাখেন।

ভয় একটি সংক্রামক ব্যাধি। একজন থেকে ভয় অন্যজনে সংক্রমিত হয়, ধীরে ধীরে গোটা সমাজটাই ভীত হয়ে পড়ে। ছোটবেলা থেকেই আমি অন্ধকার ভয় পাই, একাকীত্ব ভয় পাই, পরীক্ষার হলে যেতে ভয় পাই, মারামারি ভয় পাই, ঝগড়া ভয় পাই, রাস্তায় পথ হারিয়ে ফেলার ভয় পাই, কেঁচো–বিচ্ছু–সাপ ভয় পাই, পাছে লোকে কিছু বলে ভয় পাই, খুনখারাবি ভয় প

টেলিভিশনে আলোচনা হচ্ছিল একজন নারী লেখক প্রসঙ্গে। একজন সাহিত্য সম্পাদকের রক্ষিতা কথাটির ব্যবহার প্রসঙ্গে। টেলিভিশনের সঞ্চালক এবং একজন আলোচক—তাঁরা নারী। আর তাঁদের সঙ্গে দুজন পুরুষ আলোচক—একজন সাংবাদিক এবং অন্যজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। পুরুষ দুই আলোচকের আলোচনা আমাকে বেশ আমোদিত করেছে। আমোদিত করেছে কেন?