Ajker Patrika

একের পর এক ঝড়, হঠাৎ বেসামাল এক পরিবার

সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
একের পর এক ঝড়, হঠাৎ বেসামাল এক পরিবার

বাবা ও দুই ভাই ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে। তাঁদের দেখতে নিজেদের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে যাচ্ছিল কিশোরী। পথে গাড়িতে ছুরি ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ছয়জনের বিরুদ্ধে। ওই কিশোরী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ অবস্থায় কিশোরীর পরিবারের অন্য সদস্যরা মানবেতর দিন পার করছেন।

গতকাল সোমবার ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, উঠোনের এক কোণে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। নিচু স্বরে কী যেন বলছেন? কাছে গেলে বলে ওঠেন, ‘কে বা তোমরা! ক্যানে হামার বাড়ি আসিছেন?’ ভয়ে কেঁদে দেন তিনি। ‘বেটাও জেলে, নাতিও জেলে’ এই বলে মূর্ছা যান তিনি।

গ্রামের আবুল হোসেন জানান, বৃদ্ধার একমাত্র ছেলে ও নাতিরা পৃথক মামলায় কারাগারে আছেন। আরেক নাতি পালিয়ে বেড়াচ্ছে পুলিশের ভয়ে। একমাত্র নাতনি ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন  ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে। উপার্জনক্ষম কোনো ব্যক্তি বাড়িতে না থাকায় খুব কষ্টে আছে পরিবারটি।

ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের অদূরের গোবিন্দনগর এলাকা থেকে হাত ও মুখ বাঁধাসহ অচেতন অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ডাক্তারি পরীক্ষার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কিশোরী জানায়, শুক্রবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী থেকে থ্রি হুইলারে (স্থানীয় যান) করে বাবা-ভাইকে দেখতে ঠাকুরগাঁও শহরের কারাগারে যাচ্ছিল সে। পথে ছয়জন গাড়ির গতিরোধ করে উঠে পড়ে। এ সময় গাড়ির ভেতরে ছুরি দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় তারা। সেখানে নিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। 
কিশোরীর দাবি, ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা ছয়জনের মধ্যে তিনজন তাঁর এলাকার এবং আত্মীয় হন। তাঁদের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছে। অন্য তিনজন মাস্ক পরা থাকায় চিনতে পারেনি সে।

কিশোরীর মা বলেন, ‘সবাই জোট বেঁধেছে আমাদের বিরুদ্ধে। এ যেন দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার।’ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা কিশোরীর এক আত্মীয় বলেন, ‘মেয়েটি আমার ফুপাতো ভাইয়ের মেয়ে। তাঁর বাবার সঙ্গে জমির বিষয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন। এর জেরে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাকিবুল ইসলাম চয়ন বলেন, ‘মেয়েটিকে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’ থানার ওসি খায়রুল আনাম বলেন, ‘এই মামলার বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত