সাইফুল মাসুম, ঢাকা
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুর (বাবুবাজার সেতু) নিচের জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে অবৈধ বাজার। এই বাজারে মুদি, মাছ, মাংসের দোকানসহ রয়েছে দুই শতাধিক দোকান। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে বাজারটি। বাজারের দোকানগুলো থেকে প্রতিবছর প্রায় দুই কোটি টাকা ভাড়া ওঠে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারাই তা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। সরকার কোনো রাজস্ব পায় না।
প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজারটি চললেও কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলছেন, তিনি কিছুই জানেন না। স্থানীয়রা জানান, ক্ষমতাসীনদের ইশারায় এসব হচ্ছে, ফলে প্রশাসন দেখেও দেখে না। অথচ রাস্তার মাঝখানে বাজার জমে ওঠায় দুই পাশের সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বুড়িগঙ্গার দ্বিতীয় সেতুর কেরানীগঞ্জ অংশের নিচে বেশ রমরমা বাজার জমেছে। শত শত দোকানি তাঁদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। ক্রেতাদেরও রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। এর মধ্যে আছে একটি ট্রাংক তৈরির কারখানা ও আগানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও।
বাজারের চারপাশে পাকা সীমানাপ্রাচীর তৈরির কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন রাজমিস্ত্রিকে। লোকমান নামের এক মিস্ত্রি জানান, খুশি চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁরা রাস্তার মাঝে দেয়াল তুলছেন।
জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর শাহ (খুশি) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকার চেয়ারম্যান হলেও আমি মুখ খুলতে পারব না। এসবের মধ্যে আমি নাই, আমি হারাম খাই না। এর সঙ্গে ওপরের লেভেলের হাত আছে।’
বাজারে কথা হয় মুদিদোকানি সোহাগের সঙ্গে। তিনি জানান, মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে দোকান চালান তিনি। এর বাইরে আলাদা করে বিদ্যুৎ বিল ও ঝাড়ুদারকে টাকা দিতে হয়।
আরেক ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ তাঁর দোকানে পাঁচমিশালি মসলা বিক্রি করেন। তিনিও মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা ভাড়া দেন বলে জানালেন।সেই হিসাবে ২০০ দোকান থেকে ভাড়া আদায় হয় ১৫ লাখ টাকা। বছরে অঙ্কটি দাঁড়ায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত দুই বছরে বাজার থেকে এভাবেই ভাড়া আদায় হচ্ছে। এর বাইরে এককালীন বরাদ্দের নামে শতাধিক মাছ ও মাংস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে এক থেকে দুই লাখ টাকা করে।
মাছ বিক্রেতা সোহরাব হোসেন জানান, মাছ বিক্রির জন্য ৩৬ ইঞ্চি খোলা জায়গা বরাদ্দ পেয়েছেন তিনি। এ জন্য তাঁকে এককালীন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন আলাদা সার্ভিস চার্জ দিতে হচ্ছে।
বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর আসাদ হোসেন টিটুর নেতৃত্বে এই অবৈধ বাজার পরিচালিত হচ্ছে। টিটুর হয়ে প্রতি মাসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন জাহাঙ্গীর নামের এক চা-দোকানি। এই টাকা কেরানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ক্ষমতাসীনেরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর আসাদ হোসেন টিটু বলেন, ‘বিদ্যুৎমন্ত্রী (প্রতিমন্ত্রী) মহোদয়কে জিজ্ঞেস করেন। এটা তো অবৈধ কিছু নয়। আমরা তো শুধু দোকান করিনি, মানুষের হাঁটার জায়গা করেছি। ফুটবল খেলার মাঠ ও পাবলিক টয়লেট করেছি। মন্ত্রী মহোদয় নিজের অর্থায়নে এসব করে দিয়েছেন।’ দোকানভাড়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসেন, চা খেতে খেতে আলাপ করি।’
সেতুর নিচের অবৈধ বাজারের বিষয়ে জানতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে ফোন করা হয়েছিল। বাজারের বিষয়টি বলার পরই তিনি ফোন কেটে দেন। পরে আবার ফোন করলে তিনি রাগত স্বরে বলেন, ‘সামনাসামনি এসো, কথা বলব।’
দুই বছর ধরে চললেও বাজারটি নজরে আসেনি বলে জানালেন কেরানীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের নিয়ম অনুসারে এটা বাজার হিসেবে ঘোষণা হয়নি। ফলে ইজারা আদায়ের প্রশ্নই আসে না। আমি খবর নিয়ে দেখব, রাস্তার ওপর এমন বাজার হলে ব্যবস্থা নেব।’
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুর (বাবুবাজার সেতু) নিচের জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে অবৈধ বাজার। এই বাজারে মুদি, মাছ, মাংসের দোকানসহ রয়েছে দুই শতাধিক দোকান। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে বাজারটি। বাজারের দোকানগুলো থেকে প্রতিবছর প্রায় দুই কোটি টাকা ভাড়া ওঠে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারাই তা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। সরকার কোনো রাজস্ব পায় না।
প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজারটি চললেও কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলছেন, তিনি কিছুই জানেন না। স্থানীয়রা জানান, ক্ষমতাসীনদের ইশারায় এসব হচ্ছে, ফলে প্রশাসন দেখেও দেখে না। অথচ রাস্তার মাঝখানে বাজার জমে ওঠায় দুই পাশের সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বুড়িগঙ্গার দ্বিতীয় সেতুর কেরানীগঞ্জ অংশের নিচে বেশ রমরমা বাজার জমেছে। শত শত দোকানি তাঁদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। ক্রেতাদেরও রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। এর মধ্যে আছে একটি ট্রাংক তৈরির কারখানা ও আগানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও।
বাজারের চারপাশে পাকা সীমানাপ্রাচীর তৈরির কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন রাজমিস্ত্রিকে। লোকমান নামের এক মিস্ত্রি জানান, খুশি চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁরা রাস্তার মাঝে দেয়াল তুলছেন।
জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর শাহ (খুশি) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকার চেয়ারম্যান হলেও আমি মুখ খুলতে পারব না। এসবের মধ্যে আমি নাই, আমি হারাম খাই না। এর সঙ্গে ওপরের লেভেলের হাত আছে।’
বাজারে কথা হয় মুদিদোকানি সোহাগের সঙ্গে। তিনি জানান, মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে দোকান চালান তিনি। এর বাইরে আলাদা করে বিদ্যুৎ বিল ও ঝাড়ুদারকে টাকা দিতে হয়।
আরেক ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ তাঁর দোকানে পাঁচমিশালি মসলা বিক্রি করেন। তিনিও মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা ভাড়া দেন বলে জানালেন।সেই হিসাবে ২০০ দোকান থেকে ভাড়া আদায় হয় ১৫ লাখ টাকা। বছরে অঙ্কটি দাঁড়ায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত দুই বছরে বাজার থেকে এভাবেই ভাড়া আদায় হচ্ছে। এর বাইরে এককালীন বরাদ্দের নামে শতাধিক মাছ ও মাংস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে এক থেকে দুই লাখ টাকা করে।
মাছ বিক্রেতা সোহরাব হোসেন জানান, মাছ বিক্রির জন্য ৩৬ ইঞ্চি খোলা জায়গা বরাদ্দ পেয়েছেন তিনি। এ জন্য তাঁকে এককালীন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন আলাদা সার্ভিস চার্জ দিতে হচ্ছে।
বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর আসাদ হোসেন টিটুর নেতৃত্বে এই অবৈধ বাজার পরিচালিত হচ্ছে। টিটুর হয়ে প্রতি মাসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন জাহাঙ্গীর নামের এক চা-দোকানি। এই টাকা কেরানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ক্ষমতাসীনেরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর আসাদ হোসেন টিটু বলেন, ‘বিদ্যুৎমন্ত্রী (প্রতিমন্ত্রী) মহোদয়কে জিজ্ঞেস করেন। এটা তো অবৈধ কিছু নয়। আমরা তো শুধু দোকান করিনি, মানুষের হাঁটার জায়গা করেছি। ফুটবল খেলার মাঠ ও পাবলিক টয়লেট করেছি। মন্ত্রী মহোদয় নিজের অর্থায়নে এসব করে দিয়েছেন।’ দোকানভাড়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসেন, চা খেতে খেতে আলাপ করি।’
সেতুর নিচের অবৈধ বাজারের বিষয়ে জানতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে ফোন করা হয়েছিল। বাজারের বিষয়টি বলার পরই তিনি ফোন কেটে দেন। পরে আবার ফোন করলে তিনি রাগত স্বরে বলেন, ‘সামনাসামনি এসো, কথা বলব।’
দুই বছর ধরে চললেও বাজারটি নজরে আসেনি বলে জানালেন কেরানীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের নিয়ম অনুসারে এটা বাজার হিসেবে ঘোষণা হয়নি। ফলে ইজারা আদায়ের প্রশ্নই আসে না। আমি খবর নিয়ে দেখব, রাস্তার ওপর এমন বাজার হলে ব্যবস্থা নেব।’
ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
৩ দিন আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৬ দিন আগেআন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
১৮ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
২৫ দিন আগে