কোরবানির পশুর চামড়া বছর কয়েক ধরে যেন ফেলনা বস্তুতে পরিণত হয়েছে! গত বছর দাম না পেয়ে অনেকে ক্ষোভে চামড়া পুঁতে ফেলেছেন। এ বছর সরকার প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ঠকালে সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির উদ্যোগ নেবে বলে চামড়া সিন্ডিকেটের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
কিন্তু দাম নির্ধারণ এবং চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকারের হুমকি-ধমকির কোনো প্রভাব পড়েনি। গতবারের মতোই এবারও কোরবানির পশুর চামড়ার দাম যৎসামান্য। দিনের শুরুতে কিছুটা দাম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমে এসেছে। ছাগলের চামড়ার ক্রেতাই নেই!
অথচ চামড়াজাত পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এক দশক আগের তুলনায় দেশে অন্তত তিন গুণ বেড়েছে চামড়ার জুতা ও অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসের দাম।
আমাদের বগুড়া প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৌসুমি এবং নিয়মিত ব্যবসায়ীরা গত বছরের দামেই চামড়া কিনছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুর পর্যন্ত অনেক চামড়া অবিক্রীত ছিল। দুপুর ১২টা দিকে গরুর যে চামড়া ৭০০ টাকা দাম বলা হতো, দুপুরের পর সেটি ৫০০ টাকার বেশি দাম বলেনি কেউ। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক বছর বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া কিনে লোকসান হয়েছে। তাই এবার ভেবেচিন্তে কিনছেন।
এর প্রমাণ মিলল শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা গ্রাম ঘুরে চামড়া কিনে তাঁদের কাছে আনেন। কিন্তু বেলা দেড়টা পর্যন্ত সেখানে খুব একটা চামড়া পৌঁছায়নি।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান এলাকা থেকে চামড়া বিক্রি করতে আসা মামুনুর রশিদ নামের এক মৌসুমি ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুরো বাজারের ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে দাম কম দিচ্ছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা আসল টাকাই তুলতে পারবেন না।
চামড়া ব্যবসায়ী জসমত উল্লাহ বলছেন, গত বছরের চেয়ে এবার লবণের দাম বেশি, এ ছাড়া আড়ত থেকে নগদ টাকা পাওয়া যায়নি, এ কারণে বেশি দামে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া ফড়িয়া ডেকে ৫০০ টাকায় গছিয়ে দিতে হয়েছে। আর ছাগলের চামড়া ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকার বেশি কেউ বেচতে পারেননি। গরুর চামড়া ৬০০ টাকার ওপরে কেউ দাম বলে না। ভেড়ার চামড়া বিনা মূল্যেও নিতে চাননি ফড়িয়ারা।
তবে বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আড়তে সরকারনির্ধারিত মূল্যেই চামড়া কেনা হবে। এতে ভালো মানের চামড়ার দাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার কথা।’ তবে নগদ টাকার সংকটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী ঝুঁকি নিচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একই পরিস্থিতি দেশের অন্যান্য জেলায়ও। ফেনীর পরশুরাম উপজেলা প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো আড়াই লাখ টাকার গরুর চামড়া মাত্র দেড় শ টাকায় বিক্রি করেছেন। দেড় লাখ টাকার একটি গরুর চামড়ার দামও দেড় শ টাকার বেশি বলেনি ফড়িয়ারা।
উপজেলা বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল গফুর বলেন, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গরুর চামড়া অনেক দরকষাকষি করে মাত্র দেড় শ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।
এরকম আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেনীতে এক শ–দেড় শ টাকার বেশি দামে কেউ চামড়া বেচতে পারেননি।
পরশুরাম বাজারের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তহিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন আকারের আড়াই শ চামড়া কিনেছেন সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা দরে। বেশির ভাগের দাম পড়েছে ১০০ টাকা।
এদিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় গরুর চামড়া আকারভেদে বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে। আর ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ৩০ টাকায়।
ক্ষুব্ধ কোরবানিদাতারা বলেছেন, এত কম টাকায় চামড়া বিক্রয় করার চেয়ে মাটিতে পুঁতে রাখা ভালো!
মৌসুমি ব্যবসায়ী মোহা. জুয়েল রানা বলেন, ঝুঁকি নিয়ে চামড়া কিনছেন তাঁরা। বিক্রি করতে পারবেন কি না জানেন না। ব্যবসায়ী মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে কিনেছেন।
ময়মনসিংহে বিনা মূল্যেও ছাগলের চামড়া নিচ্ছেন না ফড়িয়ারা। আর লাখ টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা দরে। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামরুজ্জামান দুটি ষাঁড় গরু ও দুটি গাভির চামড়া মোট ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছেন!
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলেন, গরুর চামড়া ৩০০-৬০০ টাকা এবং ছাড়লের চামড়া ২০-৪০ টাকা দরে কিনেছেন তাঁরা। সুদাংশু নামে এক ফড়িয়া ব্যবসায়ী বলেন, একটা খাসির চামড়া ১০ টাকা করে কিনে লবণ লাগাতে হয় ৩০ টাকার। বাজারে সেই চামড়া তুললে ১০ টাকাও দাম বলে না। তাই এবার খাসির চামড়া কিনছেন না।
গত কয়েকবারের মতো এবারও কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ। মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও বিপদে। কারণ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে চাইছেন না। দাম না পাওয়ায় জেলার আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিনা মূল্যে চামড়া দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পৌরসভার জামিয়া দারুল উলুম মূহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মাকসুদুল আলম জানান, বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন, কিন্তু বিক্রি করতে পারছেন না।
গরুর চামড়ার দাম কম, বিনা মূল্যে কেউ নিচ্ছে না ছাগলের চামড়া—এমন পরিস্থিতি ঠাকুরগাঁওয়ে। জেলার বালিয়াডাঙ্গীতে দেড় লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া ৪৩০ টাকায় বিক্রি করেছেন উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের শরীফ উদ্দীন। সহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী ২৫টি ছাগলের চামড়া বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কিনেছেন মোট ৩২০ টাকায়। কিন্তু বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে পারছেন না। রাতের মধ্যে বিক্রি না হলে ফেলে দিয়ে যাবেন।
মৌসুমি ব্যবসায়ী শাহাজাহান আলী বলেন, একটা গরুর চামড়ায় কমপক্ষে ২০০ টাকার লবণ খরচ। যাঁরা লবণ লাগাবেন তাঁদের মজুরি আছে। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, তা তাঁরা জানেন না। প্রতিবার বাইরের ব্যবসায়ীরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এবার কোনো সাড়াশব্দ নেই!
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন বগুড়া, পরশুরাম (ফেনী), গাংনী (মেহেরপুর), ময়মনসিংহ, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ও বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
কোরবানির পশুর চামড়া বছর কয়েক ধরে যেন ফেলনা বস্তুতে পরিণত হয়েছে! গত বছর দাম না পেয়ে অনেকে ক্ষোভে চামড়া পুঁতে ফেলেছেন। এ বছর সরকার প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ঠকালে সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির উদ্যোগ নেবে বলে চামড়া সিন্ডিকেটের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
কিন্তু দাম নির্ধারণ এবং চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকারের হুমকি-ধমকির কোনো প্রভাব পড়েনি। গতবারের মতোই এবারও কোরবানির পশুর চামড়ার দাম যৎসামান্য। দিনের শুরুতে কিছুটা দাম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমে এসেছে। ছাগলের চামড়ার ক্রেতাই নেই!
অথচ চামড়াজাত পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এক দশক আগের তুলনায় দেশে অন্তত তিন গুণ বেড়েছে চামড়ার জুতা ও অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসের দাম।
আমাদের বগুড়া প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৌসুমি এবং নিয়মিত ব্যবসায়ীরা গত বছরের দামেই চামড়া কিনছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুর পর্যন্ত অনেক চামড়া অবিক্রীত ছিল। দুপুর ১২টা দিকে গরুর যে চামড়া ৭০০ টাকা দাম বলা হতো, দুপুরের পর সেটি ৫০০ টাকার বেশি দাম বলেনি কেউ। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক বছর বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া কিনে লোকসান হয়েছে। তাই এবার ভেবেচিন্তে কিনছেন।
এর প্রমাণ মিলল শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা গ্রাম ঘুরে চামড়া কিনে তাঁদের কাছে আনেন। কিন্তু বেলা দেড়টা পর্যন্ত সেখানে খুব একটা চামড়া পৌঁছায়নি।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান এলাকা থেকে চামড়া বিক্রি করতে আসা মামুনুর রশিদ নামের এক মৌসুমি ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুরো বাজারের ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে দাম কম দিচ্ছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা আসল টাকাই তুলতে পারবেন না।
চামড়া ব্যবসায়ী জসমত উল্লাহ বলছেন, গত বছরের চেয়ে এবার লবণের দাম বেশি, এ ছাড়া আড়ত থেকে নগদ টাকা পাওয়া যায়নি, এ কারণে বেশি দামে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া ফড়িয়া ডেকে ৫০০ টাকায় গছিয়ে দিতে হয়েছে। আর ছাগলের চামড়া ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকার বেশি কেউ বেচতে পারেননি। গরুর চামড়া ৬০০ টাকার ওপরে কেউ দাম বলে না। ভেড়ার চামড়া বিনা মূল্যেও নিতে চাননি ফড়িয়ারা।
তবে বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আড়তে সরকারনির্ধারিত মূল্যেই চামড়া কেনা হবে। এতে ভালো মানের চামড়ার দাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার কথা।’ তবে নগদ টাকার সংকটের কারণে অনেক ব্যবসায়ী ঝুঁকি নিচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একই পরিস্থিতি দেশের অন্যান্য জেলায়ও। ফেনীর পরশুরাম উপজেলা প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান ভুট্টো আড়াই লাখ টাকার গরুর চামড়া মাত্র দেড় শ টাকায় বিক্রি করেছেন। দেড় লাখ টাকার একটি গরুর চামড়ার দামও দেড় শ টাকার বেশি বলেনি ফড়িয়ারা।
উপজেলা বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল গফুর বলেন, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গরুর চামড়া অনেক দরকষাকষি করে মাত্র দেড় শ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।
এরকম আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেনীতে এক শ–দেড় শ টাকার বেশি দামে কেউ চামড়া বেচতে পারেননি।
পরশুরাম বাজারের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তহিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন আকারের আড়াই শ চামড়া কিনেছেন সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা দরে। বেশির ভাগের দাম পড়েছে ১০০ টাকা।
এদিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় গরুর চামড়া আকারভেদে বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে। আর ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ৩০ টাকায়।
ক্ষুব্ধ কোরবানিদাতারা বলেছেন, এত কম টাকায় চামড়া বিক্রয় করার চেয়ে মাটিতে পুঁতে রাখা ভালো!
মৌসুমি ব্যবসায়ী মোহা. জুয়েল রানা বলেন, ঝুঁকি নিয়ে চামড়া কিনছেন তাঁরা। বিক্রি করতে পারবেন কি না জানেন না। ব্যবসায়ী মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে কিনেছেন।
ময়মনসিংহে বিনা মূল্যেও ছাগলের চামড়া নিচ্ছেন না ফড়িয়ারা। আর লাখ টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা দরে। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামরুজ্জামান দুটি ষাঁড় গরু ও দুটি গাভির চামড়া মোট ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছেন!
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলেন, গরুর চামড়া ৩০০-৬০০ টাকা এবং ছাড়লের চামড়া ২০-৪০ টাকা দরে কিনেছেন তাঁরা। সুদাংশু নামে এক ফড়িয়া ব্যবসায়ী বলেন, একটা খাসির চামড়া ১০ টাকা করে কিনে লবণ লাগাতে হয় ৩০ টাকার। বাজারে সেই চামড়া তুললে ১০ টাকাও দাম বলে না। তাই এবার খাসির চামড়া কিনছেন না।
গত কয়েকবারের মতো এবারও কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ। মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও বিপদে। কারণ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে চাইছেন না। দাম না পাওয়ায় জেলার আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিনা মূল্যে চামড়া দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পৌরসভার জামিয়া দারুল উলুম মূহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মাকসুদুল আলম জানান, বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন, কিন্তু বিক্রি করতে পারছেন না।
গরুর চামড়ার দাম কম, বিনা মূল্যে কেউ নিচ্ছে না ছাগলের চামড়া—এমন পরিস্থিতি ঠাকুরগাঁওয়ে। জেলার বালিয়াডাঙ্গীতে দেড় লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া ৪৩০ টাকায় বিক্রি করেছেন উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের শরীফ উদ্দীন। সহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী ২৫টি ছাগলের চামড়া বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কিনেছেন মোট ৩২০ টাকায়। কিন্তু বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে পারছেন না। রাতের মধ্যে বিক্রি না হলে ফেলে দিয়ে যাবেন।
মৌসুমি ব্যবসায়ী শাহাজাহান আলী বলেন, একটা গরুর চামড়ায় কমপক্ষে ২০০ টাকার লবণ খরচ। যাঁরা লবণ লাগাবেন তাঁদের মজুরি আছে। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, তা তাঁরা জানেন না। প্রতিবার বাইরের ব্যবসায়ীরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এবার কোনো সাড়াশব্দ নেই!
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন বগুড়া, পরশুরাম (ফেনী), গাংনী (মেহেরপুর), ময়মনসিংহ, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ও বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলার পর বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কা এবং জ্বালানির সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্ন ঘটতে পারে—এই আতঙ্কে আজ দিনের শুরুতেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে
৭ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশের বৃহৎতম এই মৌসুমি বাজারটি এখন হাঁকডাকে মুখর, নানা জাতের আমে ভরে উঠেছে প্রতিটি আড়ত। ঈদুল আজহার ছুটি, অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরায় সাময়িক ধাক্কা খেলেও গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক লেনদেন চালু হওয়
৭ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই সময় পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন
৭ ঘণ্টা আগে