নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বের ভূরাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকেও টানাপোড়েনের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দিক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বলা যায়, সরকারের যত জনসমর্থন থাকবে, ততই বৈদেশিক অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে তার রাজনৈতিক স্বার্থের সমন্বয় করা সহজ হবে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর অন্যায় সুযোগ নেওয়ার প্রবণতা ততই সামলানো যাবে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) তিন দিনব্যাপী উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলনে গতকাল শনিবার শেষ দিন এক সেশনে এসব কথা বলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বক্তৃতার শিরোনাম ছিল ‘বিকাশমান বৈশ্বিক ব্যবস্থা ও ভূরাজনীতি: স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কী বাস্তবতা’। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এবারের এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘উন্নয়ন, ন্যায্যতা ও স্বাধীনতা’। তিন দিনের এই আয়োজনে মোট ১৮টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। ছিল পাঁচটি বিশেষ সেমিনার ও সাতটি পাবলিক লেকচার।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ তাঁর বক্তৃতায় ভূরাজনীতির পরিপূরক হিসেবে ভূ-অর্থনীতির বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি মনে করেন, এটাই হলো বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশের চ্যালেঞ্জ। তিনি মূল বক্তব্য শেষ করার পর বিশ্বায়ন, বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ও আলোচনা করেন অর্থনীতিবিদেরা।
অধিবেশন সঞ্চালনা করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান জাইদী সাত্তার।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের বক্তৃতার শেষাংশের পরিপ্রেক্ষিতে বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেনের প্রশ্ন ছিল, সরকারের বৈধতার বিষয়টি কি কেবল প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকেই পাওয়া সম্ভব, নাকি জনগণের সঙ্গে গভীরতর সম্পর্ক থেকেও এই বৈধতা পাওয়া সম্ভব? সুশাসন, সীমিত দুর্নীতি, উন্নততর সরকারি সেবা—এসব থেকে কি বৈধতা পাওয়া সম্ভব নয়?
জবাবে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বৈধতার সংজ্ঞা দেওয়া যায় না, এটা অনুভব করার বিষয়। (সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী) লি কুয়ান ইউর বৈধতা ছিল। কমিউনিস্ট দেশগুলোতে এক রকম ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখনকার উন্নয়নশীল দেশগুলো কমিউনিস্ট দেশগুলোকে আর অনুসরণ করতে চায় না। মালয়েশিয়ার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) মাহাথির মোহাম্মদের প্রতি জনসমর্থন ছিল, এমনকি নির্বাচন না হলেও তা থাকত বলে মনে হয়।
পরাশক্তিদের বিবাদ সম্পর্কে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এখন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের যে দ্বৈরথ চলছে, তা স্নায়ুযুদ্ধ থেকে অনেকটাই ভিন্ন। কারণ, এখন একেবারে বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এত দিন ধরে শুল্ক-যুদ্ধ চালালেও এখন পর্যন্ত তারা পরস্পরের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, তাকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।
আরেকটি সেশনে দেশের আর্থিক খাতের সমস্যা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘এফডিআই এবং শর্টটার্ম যে বোরোয়িং এবং ট্রেড ফাইন্যান্স, এগুলো ড্রাই-আপ হওয়াতেই আমাদের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।’
সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ‘ডিফল্ট লোন কীভাবে কমাব, এটার পদ্ধতি দেখছি না। নীতি নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখতে চাই। বলা হচ্ছে, নির্বাচনের পরে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেটার একটা রোডম্যাপ দেখতে চাই।’
অবশ্য গভর্নর আব্দুর রউফ বলেন, ‘ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরকে ঠিক করার ক্ষেত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখতে পাচ্ছি। নীতিগত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা ইস্যু দাঁড়িয়ে গেছে যে লোন নিয়ে ফেরত না দিলেও চলবে। এখন হয়তো আমাদের কিছু শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। যে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি, সেগুলো হয়তো এখানে আলোচনা করা উচিত হবে না।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘রিজার্ভের সংকট আছে। তাই বিদেশ থেকে ডলার আনলে বিমানবন্দরে তাকে প্রশ্ন করা উচিত নয়।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বের ভূরাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকেও টানাপোড়েনের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দিক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বলা যায়, সরকারের যত জনসমর্থন থাকবে, ততই বৈদেশিক অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে তার রাজনৈতিক স্বার্থের সমন্বয় করা সহজ হবে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর অন্যায় সুযোগ নেওয়ার প্রবণতা ততই সামলানো যাবে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) তিন দিনব্যাপী উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলনে গতকাল শনিবার শেষ দিন এক সেশনে এসব কথা বলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বক্তৃতার শিরোনাম ছিল ‘বিকাশমান বৈশ্বিক ব্যবস্থা ও ভূরাজনীতি: স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কী বাস্তবতা’। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এবারের এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘উন্নয়ন, ন্যায্যতা ও স্বাধীনতা’। তিন দিনের এই আয়োজনে মোট ১৮টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। ছিল পাঁচটি বিশেষ সেমিনার ও সাতটি পাবলিক লেকচার।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ তাঁর বক্তৃতায় ভূরাজনীতির পরিপূরক হিসেবে ভূ-অর্থনীতির বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি মনে করেন, এটাই হলো বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশের চ্যালেঞ্জ। তিনি মূল বক্তব্য শেষ করার পর বিশ্বায়ন, বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ও আলোচনা করেন অর্থনীতিবিদেরা।
অধিবেশন সঞ্চালনা করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান জাইদী সাত্তার।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের বক্তৃতার শেষাংশের পরিপ্রেক্ষিতে বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেনের প্রশ্ন ছিল, সরকারের বৈধতার বিষয়টি কি কেবল প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকেই পাওয়া সম্ভব, নাকি জনগণের সঙ্গে গভীরতর সম্পর্ক থেকেও এই বৈধতা পাওয়া সম্ভব? সুশাসন, সীমিত দুর্নীতি, উন্নততর সরকারি সেবা—এসব থেকে কি বৈধতা পাওয়া সম্ভব নয়?
জবাবে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বৈধতার সংজ্ঞা দেওয়া যায় না, এটা অনুভব করার বিষয়। (সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী) লি কুয়ান ইউর বৈধতা ছিল। কমিউনিস্ট দেশগুলোতে এক রকম ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখনকার উন্নয়নশীল দেশগুলো কমিউনিস্ট দেশগুলোকে আর অনুসরণ করতে চায় না। মালয়েশিয়ার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) মাহাথির মোহাম্মদের প্রতি জনসমর্থন ছিল, এমনকি নির্বাচন না হলেও তা থাকত বলে মনে হয়।
পরাশক্তিদের বিবাদ সম্পর্কে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এখন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের যে দ্বৈরথ চলছে, তা স্নায়ুযুদ্ধ থেকে অনেকটাই ভিন্ন। কারণ, এখন একেবারে বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এত দিন ধরে শুল্ক-যুদ্ধ চালালেও এখন পর্যন্ত তারা পরস্পরের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, তাকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।
আরেকটি সেশনে দেশের আর্থিক খাতের সমস্যা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘এফডিআই এবং শর্টটার্ম যে বোরোয়িং এবং ট্রেড ফাইন্যান্স, এগুলো ড্রাই-আপ হওয়াতেই আমাদের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।’
সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ‘ডিফল্ট লোন কীভাবে কমাব, এটার পদ্ধতি দেখছি না। নীতি নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখতে চাই। বলা হচ্ছে, নির্বাচনের পরে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেটার একটা রোডম্যাপ দেখতে চাই।’
অবশ্য গভর্নর আব্দুর রউফ বলেন, ‘ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরকে ঠিক করার ক্ষেত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখতে পাচ্ছি। নীতিগত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা ইস্যু দাঁড়িয়ে গেছে যে লোন নিয়ে ফেরত না দিলেও চলবে। এখন হয়তো আমাদের কিছু শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। যে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি, সেগুলো হয়তো এখানে আলোচনা করা উচিত হবে না।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘রিজার্ভের সংকট আছে। তাই বিদেশ থেকে ডলার আনলে বিমানবন্দরে তাকে প্রশ্ন করা উচিত নয়।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ২০ ও ২১ জুন তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১১ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৫ ঘণ্টা আগে