Ajker Patrika

বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের দায়ে বরখাস্ত ৮ কর্মকর্তা

  • ঘটনার সূত্রপাত এনএইচ অ্যাপারেলস লিমিটেডকে ঘিরে।
  • অনুমতি ১১৩ টনের হলেও বন্ড সুবিধা দেওয়া হয় ১ হাজার ১১৩ টনের।
  • এর মধ্যে প্রাপ্যতার বাইরে ৮২১ টন কাপড় খালাস নেওয়া হয়।
  • কনটেইনারপ্রতি ২ লাখ টাকা ঘুষ নেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১: ২৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আট কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁরা কনটেইনারপ্রতি ঘুষ নিয়ে প্রাপ্যতার বাইরে বিপুল কাপড় খালাস দিয়েছেন, যার ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত এনএইচ অ্যাপারেলস লিমিটেডকে ঘিরে। প্রতিষ্ঠানটির বন্ড সুবিধায় আমদানির অনুমতি ছিল ১১৩ টন কাপড়ের, অথচ তারা আমদানি করেছে প্রায় ১ হাজার ১১৩ টন। এর মধ্যে প্রাপ্যতার বাইরে প্রায় ৮২১ টন কাপড় খালাস নেওয়া হয়। অভিযোগ, এ সময় সংশ্লিষ্ট দুজন রাজস্ব কর্মকর্তা ও ছয়জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কাগজপত্র যাচাই না করে কনটেইনারপ্রতি ২ লাখ টাকা করে ঘুষ নেন।

এ ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন—রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মজিদুল হক ও মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান সিদ্দিকী, মো. রেজওয়ান উল কবীর, মো. সাইফুদ্দিন, মো. রুবেল আলম, হালিমা সাদিহা রিতা ও আতিক উল্লাহ।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ শফি উদ্দিনের সই করা আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, সাভারের হেমায়েতপুরের এনএইচ অ্যাপারেলস লিমিটেড ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত ৯১টি বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। এর মধ্যে ৭৪টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে প্রাপ্যতার বাইরে ৮ লাখ ২০ হাজার কেজির বেশি কাপড় খালাস দেওয়া হয়।

নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, শুল্কায়নকালে এনএইচ অ্যাপারেলসের প্রাপ্যতার সঠিক হিসাব করা হয়নি। এতে সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, সাবটিম-১৪-তে দায়িত্বে থাকা আট কর্মকর্তা তাঁদের সরকারি দায়িত্বে অবহেলা করেছেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এ ধরনের কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ২(খ) ও ৩(খ)-এ বর্ণিত অপরাধ এবং বিধি ৪ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। তাই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিধি ১২(১) অনুযায়ী তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্ত থাকা অবস্থায় এসব কর্মকর্তাকে নিয়মিত জনপ্রশাসন শাখায় হাজিরা দিতে হবে। অনুমতি ছাড়া তাঁরা অফিসে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। একই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা খোরপোশ ভাতা পাবেন।

আদেশে সরাসরি ঘুষের কথা উল্লেখ করা না হলেও কাস্টমসের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘুষ নেওয়া হয়েছিল কি না এবং প্রাপ্যতার বাইরে এত কাপড় খালাস হলো কীভাবে; তা এখন তদন্তাধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেটের ক্ষুধায় খেয়েছেন ২৯ চামচ, ১৯ টুথব্রাশ

জাতিসংঘে বিশাল বহর নিয়ে গিয়ে পতিত সরকারের চর্চা করল অন্তর্বর্তী সরকার: টিআইবি

পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

স্ত্রীকে নিয়ে টানাটানি করা সেই দুই পুরুষের জামিন, কারাফটকে উত্তেজনা

উত্তর দিক থেকে সিগন্যাল নেই—শাপলা প্রতীক না পাওয়ার কারণ জানালেন হাসনাত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত