বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে রপ্তানির অনুমতির ৩১ দিন পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চার ট্রাক ইলিশের প্রথম চালান প্রবেশ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চারটি চালানে ৪ ট্রাকে ১২ মেট্রিকটন ইলিশ ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
ইলিশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশের জেএস এন্টারপ্রাইজ, সাজ্জাত এন্টারপ্রাইজ ও স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ। ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো আরজে ইন্টারন্যাশনাল ও কেবিসি ইন্টারন্যাশনাল। বন্দর থেকে ইলিশ ছাড়করণে ছিল বাংলাদেশ লজিস্টিকসহ কয়েকটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৪৯ জন রপ্তানিকারককে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে রপ্তানি। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১১৮০ টাকা।
এদিক পূজার আগে ইলিশ পেয়ে খুশি ভারতীয়রা। দুই দেশের সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে ইলিশ রপ্তানির সুযোগ বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, পূজার অতিথি আপ্যায়নে খাবারের প্রধান তালিকায় ইলিশ রাখে ওপারের বাঙালিরা। আগে ইলিশ সাধারণ রপ্তানি পণ্যের তালিকায় উন্মুক্ত থাকলেও উৎপাদনের সংকট দেখিয়ে ২০১২ সালে দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ২০১৯ সাল থেকে বিশেষ বিবেচনায় কেবল দুর্গাপূজায় আবারও ইলিশ রপ্তানির সুযোগ দেয় এই আওয়ামী লীগ সরকার।
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে আওয়ামী লীগ সরকার বিদায়ের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যেই ভারতের ব্যবসায়ীরা দুর্গাপূজায় ইলিশ আমদানির অনুরোধ জানান। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পরে বিদেশে ইলিশ রপ্তানি হবে বলে জানিয়েছিল বর্তমান সরকার। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে দেড় মাসের মাথায় বৃহত্তর স্বার্থে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে রপ্তানি বন্ধ করতে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোটের এক আইনজীবী। তবে সব বাধা কাটিয়ে শুরু হয়েছে ইলিশ রপ্তানি।
বৃহস্পতিবার ভারতে শুরু হয় ইলিশ রপ্তানি। গত বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি ছিল ৩ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন। রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৬৬৩ মেট্রিক টন। এ বছর বৃহত্তর স্বার্থে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
ইলিশ পরিবহনকারী ট্রাকচালকেরা জানান, চাঁদপুর ও বরিশাল থেকে ইলিশ নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে তাঁরা যাচ্ছেন।
ভারতীয় নাগরিক রমেশ বিশ্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসবে, সেই ইলিশ দিয়ে পূজায় অতিথি আপ্যায়ন করতে অপেক্ষায় থাকি। এবার ভাবছিলাম ইলিশ ঢুকবে না। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ইলিশ দিয়েছে। পূজার আগে বাংলাদেশি ইলিশ ঢোকায় আমরা খুশি। সরকারকে ধন্যবাদ।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বাণিজ্য ও বন্ধুত্ব সম্পর্ক বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা ব্যবসায়ী মহল মনে করছি।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহাবুর রহমান বলেন, কাস্টমস, বন্দর ও মৎস্য কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতে প্রথম চারটি চালানে ১২ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশে রপ্তানির মূল্য ১০ ডলার। শর্ত দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে রপ্তানি।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে রপ্তানির অনুমতির ৩১ দিন পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চার ট্রাক ইলিশের প্রথম চালান প্রবেশ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চারটি চালানে ৪ ট্রাকে ১২ মেট্রিকটন ইলিশ ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
ইলিশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশের জেএস এন্টারপ্রাইজ, সাজ্জাত এন্টারপ্রাইজ ও স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ। ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো আরজে ইন্টারন্যাশনাল ও কেবিসি ইন্টারন্যাশনাল। বন্দর থেকে ইলিশ ছাড়করণে ছিল বাংলাদেশ লজিস্টিকসহ কয়েকটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৪৯ জন রপ্তানিকারককে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে রপ্তানি। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১১৮০ টাকা।
এদিক পূজার আগে ইলিশ পেয়ে খুশি ভারতীয়রা। দুই দেশের সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে ইলিশ রপ্তানির সুযোগ বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, পূজার অতিথি আপ্যায়নে খাবারের প্রধান তালিকায় ইলিশ রাখে ওপারের বাঙালিরা। আগে ইলিশ সাধারণ রপ্তানি পণ্যের তালিকায় উন্মুক্ত থাকলেও উৎপাদনের সংকট দেখিয়ে ২০১২ সালে দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ২০১৯ সাল থেকে বিশেষ বিবেচনায় কেবল দুর্গাপূজায় আবারও ইলিশ রপ্তানির সুযোগ দেয় এই আওয়ামী লীগ সরকার।
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে আওয়ামী লীগ সরকার বিদায়ের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যেই ভারতের ব্যবসায়ীরা দুর্গাপূজায় ইলিশ আমদানির অনুরোধ জানান। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পরে বিদেশে ইলিশ রপ্তানি হবে বলে জানিয়েছিল বর্তমান সরকার। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে দেড় মাসের মাথায় বৃহত্তর স্বার্থে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে রপ্তানি বন্ধ করতে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোটের এক আইনজীবী। তবে সব বাধা কাটিয়ে শুরু হয়েছে ইলিশ রপ্তানি।
বৃহস্পতিবার ভারতে শুরু হয় ইলিশ রপ্তানি। গত বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি ছিল ৩ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন। রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৬৬৩ মেট্রিক টন। এ বছর বৃহত্তর স্বার্থে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
ইলিশ পরিবহনকারী ট্রাকচালকেরা জানান, চাঁদপুর ও বরিশাল থেকে ইলিশ নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে তাঁরা যাচ্ছেন।
ভারতীয় নাগরিক রমেশ বিশ্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসবে, সেই ইলিশ দিয়ে পূজায় অতিথি আপ্যায়ন করতে অপেক্ষায় থাকি। এবার ভাবছিলাম ইলিশ ঢুকবে না। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ইলিশ দিয়েছে। পূজার আগে বাংলাদেশি ইলিশ ঢোকায় আমরা খুশি। সরকারকে ধন্যবাদ।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বাণিজ্য ও বন্ধুত্ব সম্পর্ক বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা ব্যবসায়ী মহল মনে করছি।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহাবুর রহমান বলেন, কাস্টমস, বন্দর ও মৎস্য কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতে প্রথম চারটি চালানে ১২ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশে রপ্তানির মূল্য ১০ ডলার। শর্ত দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে রপ্তানি।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় অভিঘাতের আভাস মিলছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে; যা গত ২৫ মের পর প্রথমবারের মতো ঘটল।
৩০ মিনিট আগেঅর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদারে ‘সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনদের অবহিতকরণ সভা’ করেছে সোনালী ব্যাংক পিএলসি। আজ রোববার (২২ জুন) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স...
৩ ঘণ্টা আগেপূবালী ব্যাংক পিএলসি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে পূবালী ব্যাংক।
৪ ঘণ্টা আগেদেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। দেশের উন্নয়ন ও শিল্পায়নের স্বার্থে রেমিট্যান্সসংক্রান্ত সেবা আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
৪ ঘণ্টা আগে