ভাগাড়ে আলু
সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
একদিন আলু ছিল স্বপ্নের ফসল। আজ সেই আলু হয়ে উঠেছে কৃষকের হতাশার প্রতীক। ঠাকুরগাঁওয়ের মাঠেঘাটে, রাস্তার পাশে, এমনকি খালবিলেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পচা আলুর স্তূপ। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সর্বত্র। ভেসে বেড়াচ্ছে চোখের জলে ভেজা কৃষকের হাহাকার।
ঢোলারহাট ইউনিয়নের কৃষক আবদুল হাকিম পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে চোখ মুছছিলেন। তাঁর পেছনে পচে যাওয়া আলুর স্তূপ। বললেন, এই আলু ছিল আমার স্বপ্ন, এই আলুই আজ আমার সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও জেলায় ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। উৎপাদন প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টন। অথচ পুরো জেলায় হিমাগার আছে মাত্র ১৭টি, ধারণক্ষমতা মাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টন। ফলে সাড়ে ৬ লাখ টনের বেশি আলু খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে পচে যাচ্ছে।
আঁকচা ইউনিয়নের কৃষক লুৎফর রহমান জানান, ৫০০ মণ আলু ছিল। হিমাগারে জায়গা পাইনি। নিজেই টিনের ঘর তুলে রেখেছিলাম। এখন প্রায় ২০০ মণ আলু পচে গেছে। কেউ কিনছে না, নিজেরাও খরচ সামলাতে পারছি না।
নারগুন ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম বলেন, দেড় একর জমিতে আলু লাগিয়েছিলাম। খরচ পড়েছে ২ লাখ টাকা। এখন বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকাও উঠছে না। ব্যাংকের ঋণ, দোকানের বাকি; সবকিছু মিলিয়ে দিশেহারা।
হরিপুরের সাইফুল ইসলাম হিমাগারে জায়গা না পেয়ে আলু রেখেছেন বারান্দা, রান্নাঘর আর ঘরের নিচে। তিনি বলেন, চোখে দেখা যায় না, কিন্তু গন্ধ বলে দেয়—সব শেষ।
আলু ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম বলেন, এবার সরকার কোনো রপ্তানির উদ্যোগ নেয়নি। আগে রাশিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া ও ভুটানে আলু যেত। তখন কৃষক লাভ করত, এবার সেই দরজা বন্ধ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘চাষিরা এবার উঠানে পর্যন্ত আলু লাগিয়েছেন। আমরা আগেই পরামর্শ দিয়েছিলাম, যেন কম উৎপাদন করে ভালো দাম পায়। কিন্তু অধিক উৎপাদন হওয়ায় হিমাগারে জায়গা হয়নি। তাই সংরক্ষণের অভাবে পচন ধরেছে।’
এই বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বেগুনবাড়ি এলাকার কৃষক আবদুল হাকিম বলেন, ‘চাষ না করলে আমরা খাব কী? পরামর্শ দেন, ভালো কথা। কিন্তু সরকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করলে আমরা যাব কোথায়?’
একদিন আলু ছিল স্বপ্নের ফসল। আজ সেই আলু হয়ে উঠেছে কৃষকের হতাশার প্রতীক। ঠাকুরগাঁওয়ের মাঠেঘাটে, রাস্তার পাশে, এমনকি খালবিলেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পচা আলুর স্তূপ। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সর্বত্র। ভেসে বেড়াচ্ছে চোখের জলে ভেজা কৃষকের হাহাকার।
ঢোলারহাট ইউনিয়নের কৃষক আবদুল হাকিম পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে চোখ মুছছিলেন। তাঁর পেছনে পচে যাওয়া আলুর স্তূপ। বললেন, এই আলু ছিল আমার স্বপ্ন, এই আলুই আজ আমার সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও জেলায় ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। উৎপাদন প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টন। অথচ পুরো জেলায় হিমাগার আছে মাত্র ১৭টি, ধারণক্ষমতা মাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টন। ফলে সাড়ে ৬ লাখ টনের বেশি আলু খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে পচে যাচ্ছে।
আঁকচা ইউনিয়নের কৃষক লুৎফর রহমান জানান, ৫০০ মণ আলু ছিল। হিমাগারে জায়গা পাইনি। নিজেই টিনের ঘর তুলে রেখেছিলাম। এখন প্রায় ২০০ মণ আলু পচে গেছে। কেউ কিনছে না, নিজেরাও খরচ সামলাতে পারছি না।
নারগুন ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম বলেন, দেড় একর জমিতে আলু লাগিয়েছিলাম। খরচ পড়েছে ২ লাখ টাকা। এখন বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকাও উঠছে না। ব্যাংকের ঋণ, দোকানের বাকি; সবকিছু মিলিয়ে দিশেহারা।
হরিপুরের সাইফুল ইসলাম হিমাগারে জায়গা না পেয়ে আলু রেখেছেন বারান্দা, রান্নাঘর আর ঘরের নিচে। তিনি বলেন, চোখে দেখা যায় না, কিন্তু গন্ধ বলে দেয়—সব শেষ।
আলু ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম বলেন, এবার সরকার কোনো রপ্তানির উদ্যোগ নেয়নি। আগে রাশিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া ও ভুটানে আলু যেত। তখন কৃষক লাভ করত, এবার সেই দরজা বন্ধ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘চাষিরা এবার উঠানে পর্যন্ত আলু লাগিয়েছেন। আমরা আগেই পরামর্শ দিয়েছিলাম, যেন কম উৎপাদন করে ভালো দাম পায়। কিন্তু অধিক উৎপাদন হওয়ায় হিমাগারে জায়গা হয়নি। তাই সংরক্ষণের অভাবে পচন ধরেছে।’
এই বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বেগুনবাড়ি এলাকার কৃষক আবদুল হাকিম বলেন, ‘চাষ না করলে আমরা খাব কী? পরামর্শ দেন, ভালো কথা। কিন্তু সরকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করলে আমরা যাব কোথায়?’
আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডিস সতর্ক করেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ নবায়নের নীতি দেশের ব্যাংক খাতের জন্য ‘ক্রেডিট নেগেটিভ’ প্রভাব ফেলতে পারে। সংস্থার মতে, এই নীতি ঋণ আদায়ের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাংকের ঝুঁকি বাড়াবে।
১০ ঘণ্টা আগেদেশের পুঁজিবাজারে কারসাজির ইতিহাস নতুন নয়। প্রথমে গোপন তথ্য বাজারে ছড়ানো হয়, তারপর কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানো, এরপর শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানির পক্ষ থেকে সংবেদনশীল গোপন তথ্য প্রকাশ করা হয়। পুরোনো এই কৌশলে দিনের পর দিন বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব করা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) উত্তরণের পর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
১২ ঘণ্টা আগেজনতা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অ্যাসেট লায়াবিলিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটির (অ্যালকো) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে