লবীব আহমদ, সিলেট

বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি ওঠে। এতে জলজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছরই শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন খাল উদ্ধার, খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
এভাবে গত এক যুগে জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী মুক্তি মেলেনি। উল্টো নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কোনোভাবেই সম্ভব নয়, এটিকে মানিয়ে নিতে হবে। এতে নগরবাসীর মনে দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেন নির্মাণের দাবিতে সিসিকের প্রশাসক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খান মো. রেজা-উন-নবীর কাছে স্মারকলিপি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন কোনো পরিকল্পনা না করে মনমতো বাজেট দিয়ে কাজ করছে। একই জায়গায় বারবার উন্নয়নকাজ হচ্ছে। সব জায়গায় একই নীতিতে কাজ চলছে। পরিকল্পনা করে কাজ করলে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব।
২০০২ সাল থেকে সিলেট নগরীর তালতলা এলাকায় বসবাস করছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মোবারক হোসেন। তখন বর্ষাকালে ওই এলাকায় শান্তিতে থাকলেও তিন বছর ধরে আর পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আগেও বৃষ্টি হতো, কিন্তু এখনকার মতো বাসায় পানি উঠত না। ২০২২-এর বন্যার সময় থেকেই যেন দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে গেছে বৃষ্টি হলেই বাসায় পানি ঢোকা। এ ভোগান্তির শেষ কোথায় জানি না।’
শুধু তালতলা এলাকা নয়, নগরীর বিভিন্ন এলাকারও একই অবস্থা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিসিকে ৪৫টি খাল রয়েছে। আর ৮৮০ কিলোমিটার রাস্তায় নালা-নর্দমা রয়েছে ১ হাজার ৬৮ কিলোমিটার। আগে নগরীতে অনেক খালি জায়গা থাকায় বৃষ্টির পানি সহজেই নিষ্কাশন হতো। এখন নগরের বেশির ভাগ জায়গা পাকা হওয়ায় সেই সুযোগ কমেছে। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। তিন বছর আগেও সিটি করপোরেশনের ২২ শতাংশ এলাকা জলাধার ছিল। বর্তমানে তা ৮-১০ শতাংশে নেমে এসেছে। চলতি বছর নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালকা বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর দরগামহল্লা, পায়রা, কাজলশাহ, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ী, কালীবাড়ি, হাওলাদারপাড়া, সোবহানীঘাট, উপশহর, যতরপুর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদীঘিরপাড়, পাঠানটুলা, মিয়া ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, হাউজিং এস্টেট, শাহি ঈদগাহ, ঘাসিটুলা, হাওয়াপাড়া, মিরাবাজার, মাছিমপুর, মেজরটিলা, ইসলামপুর, খাসদবীর, জামতলা ও তালতলা এলাকা প্রথমেই নিমজ্জিত হয়। আর টানা ভারী বৃষ্টিপাত হলে একই চিত্র তৈরি হয় শহরজুড়েই।
নগরীর একাধিক বাসিন্দা জানান, ছড়াগুলোয় অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজ ও নর্দমার উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে চলায় পানি চলাচলের স্বাভাবিক গতিপথ এখন রুদ্ধ। এ ছাড়া প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভরাট হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ছড়ার উপরিভাগ ঢেকে ‘বক্স কালভার্ট’ নির্মাণ করায় পানিপ্রবাহের গতি আরও রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া খনন না করায় নাব্যতাসংকটে এখন অল্প পানিতেই ভরে যায় সুরমা নদী।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নগরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেড়েছে। এখন অনেক জায়গায় আমাদের পানি যাওয়ার ব্যবস্থা আছে এক বালতি, সেখানে বৃষ্টি হয় ১০ বালতি। এটার জন্য আমরা মানুষজনকে উঁচু করে বাসাবাড়ি তৈরি করার জন্য বলেছি। আর বৃষ্টি হলে অপেক্ষা করতে হবে পানি নামার জন্য। কারণ, কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করেই জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করা সম্ভব নয়। তবুও আমরা প্রতিবছর চেষ্টা করি যতটা পারা যায় সমস্যা দূর করার।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশতাক আহমেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগের চেয়ে এখন বেশি বৃষ্টিপাত হয়। নগরে আগের পুকুর-জলাশয়গুলো এখন নেই। যে কারণে বৃষ্টির পানি জমার মতো জায়গা না থাকায় রাস্তা ডুবে যায়, বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তবে পরিকল্পনা করে কাজ করা হলে জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি ওঠে। এতে জলজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছরই শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন খাল উদ্ধার, খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
এভাবে গত এক যুগে জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী মুক্তি মেলেনি। উল্টো নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কোনোভাবেই সম্ভব নয়, এটিকে মানিয়ে নিতে হবে। এতে নগরবাসীর মনে দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেন নির্মাণের দাবিতে সিসিকের প্রশাসক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খান মো. রেজা-উন-নবীর কাছে স্মারকলিপি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন কোনো পরিকল্পনা না করে মনমতো বাজেট দিয়ে কাজ করছে। একই জায়গায় বারবার উন্নয়নকাজ হচ্ছে। সব জায়গায় একই নীতিতে কাজ চলছে। পরিকল্পনা করে কাজ করলে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব।
২০০২ সাল থেকে সিলেট নগরীর তালতলা এলাকায় বসবাস করছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মোবারক হোসেন। তখন বর্ষাকালে ওই এলাকায় শান্তিতে থাকলেও তিন বছর ধরে আর পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আগেও বৃষ্টি হতো, কিন্তু এখনকার মতো বাসায় পানি উঠত না। ২০২২-এর বন্যার সময় থেকেই যেন দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে গেছে বৃষ্টি হলেই বাসায় পানি ঢোকা। এ ভোগান্তির শেষ কোথায় জানি না।’
শুধু তালতলা এলাকা নয়, নগরীর বিভিন্ন এলাকারও একই অবস্থা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিসিকে ৪৫টি খাল রয়েছে। আর ৮৮০ কিলোমিটার রাস্তায় নালা-নর্দমা রয়েছে ১ হাজার ৬৮ কিলোমিটার। আগে নগরীতে অনেক খালি জায়গা থাকায় বৃষ্টির পানি সহজেই নিষ্কাশন হতো। এখন নগরের বেশির ভাগ জায়গা পাকা হওয়ায় সেই সুযোগ কমেছে। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। তিন বছর আগেও সিটি করপোরেশনের ২২ শতাংশ এলাকা জলাধার ছিল। বর্তমানে তা ৮-১০ শতাংশে নেমে এসেছে। চলতি বছর নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালকা বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর দরগামহল্লা, পায়রা, কাজলশাহ, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ী, কালীবাড়ি, হাওলাদারপাড়া, সোবহানীঘাট, উপশহর, যতরপুর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদীঘিরপাড়, পাঠানটুলা, মিয়া ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, হাউজিং এস্টেট, শাহি ঈদগাহ, ঘাসিটুলা, হাওয়াপাড়া, মিরাবাজার, মাছিমপুর, মেজরটিলা, ইসলামপুর, খাসদবীর, জামতলা ও তালতলা এলাকা প্রথমেই নিমজ্জিত হয়। আর টানা ভারী বৃষ্টিপাত হলে একই চিত্র তৈরি হয় শহরজুড়েই।
নগরীর একাধিক বাসিন্দা জানান, ছড়াগুলোয় অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজ ও নর্দমার উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে চলায় পানি চলাচলের স্বাভাবিক গতিপথ এখন রুদ্ধ। এ ছাড়া প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভরাট হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ছড়ার উপরিভাগ ঢেকে ‘বক্স কালভার্ট’ নির্মাণ করায় পানিপ্রবাহের গতি আরও রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া খনন না করায় নাব্যতাসংকটে এখন অল্প পানিতেই ভরে যায় সুরমা নদী।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নগরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেড়েছে। এখন অনেক জায়গায় আমাদের পানি যাওয়ার ব্যবস্থা আছে এক বালতি, সেখানে বৃষ্টি হয় ১০ বালতি। এটার জন্য আমরা মানুষজনকে উঁচু করে বাসাবাড়ি তৈরি করার জন্য বলেছি। আর বৃষ্টি হলে অপেক্ষা করতে হবে পানি নামার জন্য। কারণ, কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করেই জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করা সম্ভব নয়। তবুও আমরা প্রতিবছর চেষ্টা করি যতটা পারা যায় সমস্যা দূর করার।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশতাক আহমেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগের চেয়ে এখন বেশি বৃষ্টিপাত হয়। নগরে আগের পুকুর-জলাশয়গুলো এখন নেই। যে কারণে বৃষ্টির পানি জমার মতো জায়গা না থাকায় রাস্তা ডুবে যায়, বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তবে পরিকল্পনা করে কাজ করা হলে জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
লবীব আহমদ, সিলেট

বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি ওঠে। এতে জলজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছরই শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন খাল উদ্ধার, খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
এভাবে গত এক যুগে জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী মুক্তি মেলেনি। উল্টো নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কোনোভাবেই সম্ভব নয়, এটিকে মানিয়ে নিতে হবে। এতে নগরবাসীর মনে দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেন নির্মাণের দাবিতে সিসিকের প্রশাসক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খান মো. রেজা-উন-নবীর কাছে স্মারকলিপি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন কোনো পরিকল্পনা না করে মনমতো বাজেট দিয়ে কাজ করছে। একই জায়গায় বারবার উন্নয়নকাজ হচ্ছে। সব জায়গায় একই নীতিতে কাজ চলছে। পরিকল্পনা করে কাজ করলে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব।
২০০২ সাল থেকে সিলেট নগরীর তালতলা এলাকায় বসবাস করছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মোবারক হোসেন। তখন বর্ষাকালে ওই এলাকায় শান্তিতে থাকলেও তিন বছর ধরে আর পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আগেও বৃষ্টি হতো, কিন্তু এখনকার মতো বাসায় পানি উঠত না। ২০২২-এর বন্যার সময় থেকেই যেন দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে গেছে বৃষ্টি হলেই বাসায় পানি ঢোকা। এ ভোগান্তির শেষ কোথায় জানি না।’
শুধু তালতলা এলাকা নয়, নগরীর বিভিন্ন এলাকারও একই অবস্থা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিসিকে ৪৫টি খাল রয়েছে। আর ৮৮০ কিলোমিটার রাস্তায় নালা-নর্দমা রয়েছে ১ হাজার ৬৮ কিলোমিটার। আগে নগরীতে অনেক খালি জায়গা থাকায় বৃষ্টির পানি সহজেই নিষ্কাশন হতো। এখন নগরের বেশির ভাগ জায়গা পাকা হওয়ায় সেই সুযোগ কমেছে। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। তিন বছর আগেও সিটি করপোরেশনের ২২ শতাংশ এলাকা জলাধার ছিল। বর্তমানে তা ৮-১০ শতাংশে নেমে এসেছে। চলতি বছর নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালকা বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর দরগামহল্লা, পায়রা, কাজলশাহ, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ী, কালীবাড়ি, হাওলাদারপাড়া, সোবহানীঘাট, উপশহর, যতরপুর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদীঘিরপাড়, পাঠানটুলা, মিয়া ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, হাউজিং এস্টেট, শাহি ঈদগাহ, ঘাসিটুলা, হাওয়াপাড়া, মিরাবাজার, মাছিমপুর, মেজরটিলা, ইসলামপুর, খাসদবীর, জামতলা ও তালতলা এলাকা প্রথমেই নিমজ্জিত হয়। আর টানা ভারী বৃষ্টিপাত হলে একই চিত্র তৈরি হয় শহরজুড়েই।
নগরীর একাধিক বাসিন্দা জানান, ছড়াগুলোয় অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজ ও নর্দমার উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে চলায় পানি চলাচলের স্বাভাবিক গতিপথ এখন রুদ্ধ। এ ছাড়া প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভরাট হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ছড়ার উপরিভাগ ঢেকে ‘বক্স কালভার্ট’ নির্মাণ করায় পানিপ্রবাহের গতি আরও রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া খনন না করায় নাব্যতাসংকটে এখন অল্প পানিতেই ভরে যায় সুরমা নদী।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নগরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেড়েছে। এখন অনেক জায়গায় আমাদের পানি যাওয়ার ব্যবস্থা আছে এক বালতি, সেখানে বৃষ্টি হয় ১০ বালতি। এটার জন্য আমরা মানুষজনকে উঁচু করে বাসাবাড়ি তৈরি করার জন্য বলেছি। আর বৃষ্টি হলে অপেক্ষা করতে হবে পানি নামার জন্য। কারণ, কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করেই জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করা সম্ভব নয়। তবুও আমরা প্রতিবছর চেষ্টা করি যতটা পারা যায় সমস্যা দূর করার।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশতাক আহমেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগের চেয়ে এখন বেশি বৃষ্টিপাত হয়। নগরে আগের পুকুর-জলাশয়গুলো এখন নেই। যে কারণে বৃষ্টির পানি জমার মতো জায়গা না থাকায় রাস্তা ডুবে যায়, বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তবে পরিকল্পনা করে কাজ করা হলে জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি ওঠে। এতে জলজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছরই শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন খাল উদ্ধার, খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
এভাবে গত এক যুগে জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী মুক্তি মেলেনি। উল্টো নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কোনোভাবেই সম্ভব নয়, এটিকে মানিয়ে নিতে হবে। এতে নগরবাসীর মনে দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেন নির্মাণের দাবিতে সিসিকের প্রশাসক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খান মো. রেজা-উন-নবীর কাছে স্মারকলিপি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন কোনো পরিকল্পনা না করে মনমতো বাজেট দিয়ে কাজ করছে। একই জায়গায় বারবার উন্নয়নকাজ হচ্ছে। সব জায়গায় একই নীতিতে কাজ চলছে। পরিকল্পনা করে কাজ করলে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব।
২০০২ সাল থেকে সিলেট নগরীর তালতলা এলাকায় বসবাস করছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মোবারক হোসেন। তখন বর্ষাকালে ওই এলাকায় শান্তিতে থাকলেও তিন বছর ধরে আর পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আগেও বৃষ্টি হতো, কিন্তু এখনকার মতো বাসায় পানি উঠত না। ২০২২-এর বন্যার সময় থেকেই যেন দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে গেছে বৃষ্টি হলেই বাসায় পানি ঢোকা। এ ভোগান্তির শেষ কোথায় জানি না।’
শুধু তালতলা এলাকা নয়, নগরীর বিভিন্ন এলাকারও একই অবস্থা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিসিকে ৪৫টি খাল রয়েছে। আর ৮৮০ কিলোমিটার রাস্তায় নালা-নর্দমা রয়েছে ১ হাজার ৬৮ কিলোমিটার। আগে নগরীতে অনেক খালি জায়গা থাকায় বৃষ্টির পানি সহজেই নিষ্কাশন হতো। এখন নগরের বেশির ভাগ জায়গা পাকা হওয়ায় সেই সুযোগ কমেছে। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। তিন বছর আগেও সিটি করপোরেশনের ২২ শতাংশ এলাকা জলাধার ছিল। বর্তমানে তা ৮-১০ শতাংশে নেমে এসেছে। চলতি বছর নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালকা বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর দরগামহল্লা, পায়রা, কাজলশাহ, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ী, কালীবাড়ি, হাওলাদারপাড়া, সোবহানীঘাট, উপশহর, যতরপুর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদীঘিরপাড়, পাঠানটুলা, মিয়া ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, হাউজিং এস্টেট, শাহি ঈদগাহ, ঘাসিটুলা, হাওয়াপাড়া, মিরাবাজার, মাছিমপুর, মেজরটিলা, ইসলামপুর, খাসদবীর, জামতলা ও তালতলা এলাকা প্রথমেই নিমজ্জিত হয়। আর টানা ভারী বৃষ্টিপাত হলে একই চিত্র তৈরি হয় শহরজুড়েই।
নগরীর একাধিক বাসিন্দা জানান, ছড়াগুলোয় অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজ ও নর্দমার উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে চলায় পানি চলাচলের স্বাভাবিক গতিপথ এখন রুদ্ধ। এ ছাড়া প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভরাট হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ছড়ার উপরিভাগ ঢেকে ‘বক্স কালভার্ট’ নির্মাণ করায় পানিপ্রবাহের গতি আরও রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া খনন না করায় নাব্যতাসংকটে এখন অল্প পানিতেই ভরে যায় সুরমা নদী।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নগরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেড়েছে। এখন অনেক জায়গায় আমাদের পানি যাওয়ার ব্যবস্থা আছে এক বালতি, সেখানে বৃষ্টি হয় ১০ বালতি। এটার জন্য আমরা মানুষজনকে উঁচু করে বাসাবাড়ি তৈরি করার জন্য বলেছি। আর বৃষ্টি হলে অপেক্ষা করতে হবে পানি নামার জন্য। কারণ, কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করেই জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করা সম্ভব নয়। তবুও আমরা প্রতিবছর চেষ্টা করি যতটা পারা যায় সমস্যা দূর করার।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশতাক আহমেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগের চেয়ে এখন বেশি বৃষ্টিপাত হয়। নগরে আগের পুকুর-জলাশয়গুলো এখন নেই। যে কারণে বৃষ্টির পানি জমার মতো জায়গা না থাকায় রাস্তা ডুবে যায়, বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তবে পরিকল্পনা করে কাজ করা হলে জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের করণীয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) নোয়াখালী জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন দেওয়ান মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ বেহেরকান্দি এলাকার ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সেলিম দেওয়ানের ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, সোমবার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এখন থেকে তাপমাত্রা
২ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্ম
২ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের করণীয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) নোয়াখালী জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং তাঁর ছবিসংবলিত কুশপুত্তলিকা দাহ করে সভায় অংশগ্রহণকারীরা।
নোয়াখালী জিয়া সাইবার ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুনুর অর রশিদ আজাদ, নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম পলাশসহ আরও অনেকে।

সভায় বক্তারা বলেন, অদৃশ্য শক্তি ক্রমশ দৃশ্যমান হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করছে। এ অপপ্রচার রুখে দিতে হলে বিএনপির জিয়া সাইবার ফোর্স ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের সঠিক তথ্য ছবি ও প্রমাণ দিয়ে জনগণকে বোঝাতে হবে এবং দল থেকে যাকে ধানের শীষ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাঁর পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে।
সভা শেষে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার কারণে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং তাঁর ছবিসংবলিত কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের করণীয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) নোয়াখালী জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং তাঁর ছবিসংবলিত কুশপুত্তলিকা দাহ করে সভায় অংশগ্রহণকারীরা।
নোয়াখালী জিয়া সাইবার ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুনুর অর রশিদ আজাদ, নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম পলাশসহ আরও অনেকে।

সভায় বক্তারা বলেন, অদৃশ্য শক্তি ক্রমশ দৃশ্যমান হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করছে। এ অপপ্রচার রুখে দিতে হলে বিএনপির জিয়া সাইবার ফোর্স ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের সঠিক তথ্য ছবি ও প্রমাণ দিয়ে জনগণকে বোঝাতে হবে এবং দল থেকে যাকে ধানের শীষ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাঁর পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে।
সভা শেষে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার কারণে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং তাঁর ছবিসংবলিত কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি ওঠে। এতে জলজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছরই শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন খাল উদ্ধার, খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে সিলেট সিটি করপোরেশন...
১৬ মে ২০২৫
মুন্সিগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন দেওয়ান মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ বেহেরকান্দি এলাকার ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সেলিম দেওয়ানের ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, সোমবার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এখন থেকে তাপমাত্রা
২ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্ম
২ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন দেওয়ান মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ বেহেরকান্দি এলাকার ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সেলিম দেওয়ানের ছেলে।মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর থেকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি ও মুন্সিকান্দি গ্রামের বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এতে স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত তুহিন মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদ মোল্লা ও বিএনপি নেতা আতিক মল্লিকের অনুসারী।
নিহতের চাচাতো ভাই আকাশ দেওয়ান জানান, রোববার রাতে তুহিন হাঁটার জন্য বাসা থেকে বের হয়। এ সময় মুন্সিকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ওজির আলী ও আওলাদ গ্রুপের অনুসারী লিটন ব্যাপারীর নেতৃত্বে পেছন থেকে তুহিনকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও গুলি করে। এ সময় তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে তাদের মধ্যে পূর্বের বিরোধ ছিল বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রান্ত সর্দার জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পিঠে ও ঘাড়ে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন দেওয়ান মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ বেহেরকান্দি এলাকার ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সেলিম দেওয়ানের ছেলে।মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর থেকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি ও মুন্সিকান্দি গ্রামের বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এতে স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত তুহিন মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদ মোল্লা ও বিএনপি নেতা আতিক মল্লিকের অনুসারী।
নিহতের চাচাতো ভাই আকাশ দেওয়ান জানান, রোববার রাতে তুহিন হাঁটার জন্য বাসা থেকে বের হয়। এ সময় মুন্সিকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ওজির আলী ও আওলাদ গ্রুপের অনুসারী লিটন ব্যাপারীর নেতৃত্বে পেছন থেকে তুহিনকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও গুলি করে। এ সময় তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে তাদের মধ্যে পূর্বের বিরোধ ছিল বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রান্ত সর্দার জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পিঠে ও ঘাড়ে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি ওঠে। এতে জলজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছরই শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন খাল উদ্ধার, খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে সিলেট সিটি করপোরেশন...
১৬ মে ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের করণীয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) নোয়াখালী জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, সোমবার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এখন থেকে তাপমাত্রা
২ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্ম
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে নেমে এসেছে এ বছরের প্রথম কুয়াশা। সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোর থেকেই রাজশাহী শহর ও আশপাশের উপজেলার গ্রামগুলোর চারপাশ মোড়ানো ছিল ঘন কুয়াশার চাদরে। এই কুয়াশাময় সকাল যেন জানিয়ে দিয়েছে, আসছে শীত, আসছে স্নিগ্ধতার মৌসুম।
শীতের এমন আগমনী ছোঁয়ায় বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ। কুয়াশাঢাকা সকাল জানিয়ে দিচ্ছে, শীত আর বেশি দূরে নয়। এদিন ভোরের আলো ফুটলেও মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে চলতে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে। কুয়াশা ভেদ করে গন্তব্যের পথে ছুটে যায় মানুষ।
এদিকে গ্রামের মাঠে শিশিরভেজা ঘাসে খেলায় মত্ত শিশুরা যেন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠে। মাকড়সার জালে ঝুলে থাকা শিশিরবিন্দু আর ধূসর আকাশে সূর্যের মিটিমিটি আলো মিলেমিশে সৃষ্টি করে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।

শহরের রেলগেট এলাকায় কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিক আবদুল জব্বার বলেন, ‘আজকের সকালেই এবার প্রথমবার শীত টের পেলাম। এখন থেকে হয়তো শীত বাড়বে।’
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, সোমবার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এখন থেকে তাপমাত্রা কমবে বলেও জানান তিনি।

রাজশাহীতে নেমে এসেছে এ বছরের প্রথম কুয়াশা। সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোর থেকেই রাজশাহী শহর ও আশপাশের উপজেলার গ্রামগুলোর চারপাশ মোড়ানো ছিল ঘন কুয়াশার চাদরে। এই কুয়াশাময় সকাল যেন জানিয়ে দিয়েছে, আসছে শীত, আসছে স্নিগ্ধতার মৌসুম।
শীতের এমন আগমনী ছোঁয়ায় বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ। কুয়াশাঢাকা সকাল জানিয়ে দিচ্ছে, শীত আর বেশি দূরে নয়। এদিন ভোরের আলো ফুটলেও মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে চলতে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে। কুয়াশা ভেদ করে গন্তব্যের পথে ছুটে যায় মানুষ।
এদিকে গ্রামের মাঠে শিশিরভেজা ঘাসে খেলায় মত্ত শিশুরা যেন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠে। মাকড়সার জালে ঝুলে থাকা শিশিরবিন্দু আর ধূসর আকাশে সূর্যের মিটিমিটি আলো মিলেমিশে সৃষ্টি করে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।

শহরের রেলগেট এলাকায় কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিক আবদুল জব্বার বলেন, ‘আজকের সকালেই এবার প্রথমবার শীত টের পেলাম। এখন থেকে হয়তো শীত বাড়বে।’
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, সোমবার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এখন থেকে তাপমাত্রা কমবে বলেও জানান তিনি।

বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি ওঠে। এতে জলজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছরই শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন খাল উদ্ধার, খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে সিলেট সিটি করপোরেশন...
১৬ মে ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের করণীয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) নোয়াখালী জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন দেওয়ান মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ বেহেরকান্দি এলাকার ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সেলিম দেওয়ানের ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্ম
২ ঘণ্টা আগেচিরিরবন্দর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা।
চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের বানিয়াখাড়ী সরকারি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ এনে স্থানীয় অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় দুই বছরের মধ্যেই বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণকাজের সময় আমরা মৌখিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারকে অভিযোগ করেছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কোনো গুরুত্ব দেননি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘নতুন ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নিচতলার সিঁড়ির বারান্দায় বড় ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষের মেঝে ও পিলারের সঙ্গে দেয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর পর তিনি এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনারা খাতুন বলেন, ‘নতুন বিল্ডিংয়ের দুই বছর এখনো হয়নি, তাতেই মেঝেসহ অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তারা দ্রুত মেরামত করার জন্য আশ্বাস দিয়েছে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদার আবেদ আলী মাস্টার বলেন, ‘বিল্ডিং হস্তান্তর করার প্রায় দুই বছর হয়েছে। মেঝেতে শুধু পলেস্তারায় “চিড়” ধরেছে, তেমন কোনো সমস্যা নেই। আমি আমার ম্যানেজারকে পাঠিয়ে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করব।’
এলজিইডির চিরিরবন্দর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদার রহমান একই সুরে বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের মেঝে ও সিঁড়ির কিছু অংশে কেবল পলেস্তারার ওপরে ফাটল বা চিড় ধরেছে। আমি ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত মেরামতের জন্য বলব।’

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা।
চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের বানিয়াখাড়ী সরকারি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ এনে স্থানীয় অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় দুই বছরের মধ্যেই বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণকাজের সময় আমরা মৌখিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারকে অভিযোগ করেছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কোনো গুরুত্ব দেননি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘নতুন ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নিচতলার সিঁড়ির বারান্দায় বড় ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষের মেঝে ও পিলারের সঙ্গে দেয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর পর তিনি এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনারা খাতুন বলেন, ‘নতুন বিল্ডিংয়ের দুই বছর এখনো হয়নি, তাতেই মেঝেসহ অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তারা দ্রুত মেরামত করার জন্য আশ্বাস দিয়েছে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদার আবেদ আলী মাস্টার বলেন, ‘বিল্ডিং হস্তান্তর করার প্রায় দুই বছর হয়েছে। মেঝেতে শুধু পলেস্তারায় “চিড়” ধরেছে, তেমন কোনো সমস্যা নেই। আমি আমার ম্যানেজারকে পাঠিয়ে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করব।’
এলজিইডির চিরিরবন্দর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদার রহমান একই সুরে বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের মেঝে ও সিঁড়ির কিছু অংশে কেবল পলেস্তারার ওপরে ফাটল বা চিড় ধরেছে। আমি ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত মেরামতের জন্য বলব।’

বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি ওঠে। এতে জলজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছরই শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন খাল উদ্ধার, খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে সিলেট সিটি করপোরেশন...
১৬ মে ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের করণীয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) নোয়াখালী জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন দেওয়ান মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ বেহেরকান্দি এলাকার ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সেলিম দেওয়ানের ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, সোমবার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এখন থেকে তাপমাত্রা
২ ঘণ্টা আগে