সিলেট প্রতিনিধি
কংক্রিট ও সিমেন্টের তৈরি সেতুর দুই দিকে সংযোগে রয়েছে বাঁশের সাঁকো। তার ওপর অপরিকল্পিতভাবে নদীর মধ্যখানে নির্মাণের ফলে এক পাশে হেল পড়েছে সেতুটি। ওই বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হন জনসাধারণ। অপরিকল্পিত সেতুর জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সিলেটের ওসমানীনগর ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ১০ গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কালনীচর-ইসলামপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা রয়েছে। রাস্তা ধরেই ইসলামপুর ও নবীগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে কালনী নদী। দুই উপজেলার সীমানা অনেকটাই কালনী নদী ভাগ করে দিয়েছে। তবে সেতুটি দুই উপজেলার জনসাধারণের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নির্মিত হলেও সেটি এখন স্থানীয়দের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দুই উপজেলার শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, রোগীসহ ১৫ সহস্রাধিক বাসিন্দা দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করছেন।
২০১৯ সালের মার্চে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবিতে দক্ষিণ কালনীচর গ্রামের হাকিম মাওলানা আনছার আহমদ সিদ্দেকী ও শাহাজান আলী এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু ওই আবেদন কোনো কাজে আসেনি। পরবর্তী সময়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ডিও লেটার সংবলিত রাস্তা পাকাকরণ ও কালনী নদীর ওপর নতুন সেতু নির্মাণে গ্রামবাসীর পক্ষে হাকিম মাওলানা আনছার আহমদ সিদ্দেকী আবেদন করলেও তা টেন্ডার প্রক্রিয়ার পর ফাইলবন্দী হয়ে আছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অপরিকল্পিতভাবে প্রয়োজনের তুলনায় ছোট সেতুটি নির্মাণ ও দুপাশে মাটি ভরাট না করায় নদীর মধ্যখানে নির্মিত সেতুটি পানির প্রভাবে ধীরে ধীরে এক পাশে হেলে পড়েছে। ফলে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও সেতু পারাপার অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এতে সেতুর দুদিকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপি সরকারের আমলে দুই উপজেলার সংযোগ সড়ক হিসেবে কালনী নদীর ওপর অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ হয়। প্রয়োজনের তুলনায় ছোট সেতুটি নির্মাণ ও দুই পাশে মাটি ভরাট করা হয়নি। ফলে নদীর মধ্যখানে নির্মিত সেতুটি পানির প্রভাবে এক পাশে হেলে পড়েছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে জরাজীর্ণ ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন দুই উপজেলার বাসিন্দারা।
হাকিম মাওলানা আনছার আহমদ সিদ্দেকী, মাধবপুর গ্রামের মাস্টার আব্দুস ছত্তারসহ গ্রামবাসীরা বলেন, ওসমানীনগরের দক্ষিণ কালনিচর, ইসলামপুর, সুরিকোনা, লামাতাজপুর, তাজপুর, নবীগঞ্জের গালিমপুর, মাধবপুর, আটঘর, নোয়াগাঁওসহ পার্শ্ববর্তী প্রায় ১৫ গ্রামের বাসিন্দারা স্বাধীনতার পর থেকে দুই কিলোমিটার কাচা রাস্তা ও কালনী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় দায়সারাভাবে কাজ করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দক্ষিণ কালনীচর-ইসলামপুর এলাকার দুই কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণসহ কালনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সেতুটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কংক্রিট ও সিমেন্টের তৈরি সেতুর দুই দিকে সংযোগে রয়েছে বাঁশের সাঁকো। তার ওপর অপরিকল্পিতভাবে নদীর মধ্যখানে নির্মাণের ফলে এক পাশে হেল পড়েছে সেতুটি। ওই বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হন জনসাধারণ। অপরিকল্পিত সেতুর জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সিলেটের ওসমানীনগর ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ১০ গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কালনীচর-ইসলামপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা রয়েছে। রাস্তা ধরেই ইসলামপুর ও নবীগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে কালনী নদী। দুই উপজেলার সীমানা অনেকটাই কালনী নদী ভাগ করে দিয়েছে। তবে সেতুটি দুই উপজেলার জনসাধারণের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নির্মিত হলেও সেটি এখন স্থানীয়দের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দুই উপজেলার শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, রোগীসহ ১৫ সহস্রাধিক বাসিন্দা দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করছেন।
২০১৯ সালের মার্চে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবিতে দক্ষিণ কালনীচর গ্রামের হাকিম মাওলানা আনছার আহমদ সিদ্দেকী ও শাহাজান আলী এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু ওই আবেদন কোনো কাজে আসেনি। পরবর্তী সময়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ডিও লেটার সংবলিত রাস্তা পাকাকরণ ও কালনী নদীর ওপর নতুন সেতু নির্মাণে গ্রামবাসীর পক্ষে হাকিম মাওলানা আনছার আহমদ সিদ্দেকী আবেদন করলেও তা টেন্ডার প্রক্রিয়ার পর ফাইলবন্দী হয়ে আছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অপরিকল্পিতভাবে প্রয়োজনের তুলনায় ছোট সেতুটি নির্মাণ ও দুপাশে মাটি ভরাট না করায় নদীর মধ্যখানে নির্মিত সেতুটি পানির প্রভাবে ধীরে ধীরে এক পাশে হেলে পড়েছে। ফলে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও সেতু পারাপার অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এতে সেতুর দুদিকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপি সরকারের আমলে দুই উপজেলার সংযোগ সড়ক হিসেবে কালনী নদীর ওপর অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ হয়। প্রয়োজনের তুলনায় ছোট সেতুটি নির্মাণ ও দুই পাশে মাটি ভরাট করা হয়নি। ফলে নদীর মধ্যখানে নির্মিত সেতুটি পানির প্রভাবে এক পাশে হেলে পড়েছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে জরাজীর্ণ ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন দুই উপজেলার বাসিন্দারা।
হাকিম মাওলানা আনছার আহমদ সিদ্দেকী, মাধবপুর গ্রামের মাস্টার আব্দুস ছত্তারসহ গ্রামবাসীরা বলেন, ওসমানীনগরের দক্ষিণ কালনিচর, ইসলামপুর, সুরিকোনা, লামাতাজপুর, তাজপুর, নবীগঞ্জের গালিমপুর, মাধবপুর, আটঘর, নোয়াগাঁওসহ পার্শ্ববর্তী প্রায় ১৫ গ্রামের বাসিন্দারা স্বাধীনতার পর থেকে দুই কিলোমিটার কাচা রাস্তা ও কালনী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় দায়সারাভাবে কাজ করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দক্ষিণ কালনীচর-ইসলামপুর এলাকার দুই কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণসহ কালনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সেতুটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ‘এ দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। দেশ একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করে, তাহলে দেশ আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আমর
৪ মিনিট আগেবগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের উপস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুজন ছুরিকাহতসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
১১ মিনিট আগেজাটকা রক্ষায় দুই মাসের (মার্চ-এপ্রিল) অভয়াশ্রম শেষে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বরিশাল, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী পাড়ের জেলেরা। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে জেলেদের জাল ও নৌকার মেরামতকাজ। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে পদ্মা–মেঘনা নদীতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে নামবেন জেলেরা। ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও
১৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামে অপরিচিত ব্যক্তিদের ধাওয়া খেয়ে একটি মার্কেটের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন নুরুল ইসলাম চৌধুরী (৬৩)। পাশেই টহল দিচ্ছিল কোতোয়ালি থানা-পুলিশের একটি দল। খবর পেয়ে পুলিশ নুরুল ইসলামকে হেফাজতে নেয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশ্রয়ে যাওয়া ব্যক্তির কাছে মিলল বিদেশ থেকে অবৈধভাবে
৪০ মিনিট আগে