সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর এলাকা থেকে সাদা পাথর চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাথরবোঝাই নৌকাসহ দুজনকে আটক করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ধলাই নদীর পাঁচ পিলার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার দক্ষিণ কলাবাড়ি গ্রামের সুরুজ আলী ও বাবুল মিয়া। সুরুজ আলী বারকি বাঁচাও কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। এ সময় সুমন নামে আরেকজন নৌকা থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, সাদা পাথর চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় রোববার দিবাগত রাত ১২টায় ধলাই নদীর গুচ্ছগ্রাম এলাকার ৫ পিলার নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে সুরুজ আলী ও বাবুল মিয়াকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা সুমন পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান বলেন, তিনজনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সুরুজ আলী ও বাবুল মিয়াকে পাঠানো হয়েছে। আর সুমনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাথরবোঝাই নৌকা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এর আগে গত ৯ জুন রাতে পাথর চুরির সময় ধলাই নদের হেকিমেরটুক এলাকা থেকে পাথরবোঝাই ছয়টি নৌকাসহ ১৭ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
তখন পুলিশ জানায়, ৮-১০টি বারকি নৌকায় ৩০-৩৫ জন সাদা পাথর নিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টার সময় ছয়টি নৌকার ১৭ জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, চুরি করা সাদা পাথর বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর এলাকা থেকে সাদা পাথর চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাথরবোঝাই নৌকাসহ দুজনকে আটক করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ধলাই নদীর পাঁচ পিলার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার দক্ষিণ কলাবাড়ি গ্রামের সুরুজ আলী ও বাবুল মিয়া। সুরুজ আলী বারকি বাঁচাও কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। এ সময় সুমন নামে আরেকজন নৌকা থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, সাদা পাথর চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় রোববার দিবাগত রাত ১২টায় ধলাই নদীর গুচ্ছগ্রাম এলাকার ৫ পিলার নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে সুরুজ আলী ও বাবুল মিয়াকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা সুমন পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান বলেন, তিনজনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সুরুজ আলী ও বাবুল মিয়াকে পাঠানো হয়েছে। আর সুমনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাথরবোঝাই নৌকা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এর আগে গত ৯ জুন রাতে পাথর চুরির সময় ধলাই নদের হেকিমেরটুক এলাকা থেকে পাথরবোঝাই ছয়টি নৌকাসহ ১৭ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
তখন পুলিশ জানায়, ৮-১০টি বারকি নৌকায় ৩০-৩৫ জন সাদা পাথর নিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টার সময় ছয়টি নৌকার ১৭ জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, চুরি করা সাদা পাথর বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন।
‘চাকসু থাকলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন ও আবাসন—এসব ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সুযোগ মিলবে। তাই সবাই এই নির্বাচনের অপেক্ষায়।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা হক। এটা শুধু তানজিলার কথা নয়। এমন ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
৩ ঘণ্টা আগেরোজকার মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুনে কারখানাতেই নিভে গেল তাঁদের জীবনপ্রদীপ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অনেকে নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বল
৩ ঘণ্টা আগেহাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের দাতারাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু দাশ ওই ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মিন্টু দাশের ছেলে।
৩ ঘণ্টা আগেসুমন বাইজিদ, চবি
‘চাকসু থাকলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন ও আবাসন—এসব ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সুযোগ মিলবে। তাই সবাই এই নির্বাচনের অপেক্ষায়।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা হক। এটা শুধু তানজিলার কথা নয়। এমন ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই।
এই প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে আজ বুধবার। ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৯০৭ প্রার্থী এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৪১৫, হল ও একটি হোস্টেল সংসদে ৪৯২ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ নারী প্রার্থী এবং ৩৬৬ পুরুষ প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৭। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ১৬ হাজার ৮৪ এবং ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৪৩৪।
কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনের ৬০টি কক্ষে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হবে ভোট গ্রহণ। ভবনগুলো হলো—ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, শহীদ হৃদয় তরুয়া ভবন (নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ), সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদ। প্রতিটি কক্ষে গড়ে ৪০০-৫০০ শিক্ষার্থী ভোট দেবেন। গোপন বুথ ব্যতীত প্রতিটি কক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য পাঁচ অনুষদ ভবনের ডিনকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
একজন ভোটার মোট ৪০টি ভোট দেবেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬টি ও হল সংসদে ১৪টি। চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ব্যালটে ভোট হবে। গণনা হবে ওএমআর পদ্ধতিতে। একজন ভোটারের ৪০টি ভোট দিতে আনুমানিক ১০ মিনিট সময় লাগতে পারে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। ভোটাররা যত সময় প্রয়োজন মনে করবেন, তত সময় নিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) গঠিত হয় ১৯৬৬ সালে। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও সামাজিক পরিবেশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখাই ছিল এর মূল লক্ষ্য। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালে। এরপর নানা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জটিলতায় তিন দশকের বেশি সময় এই নির্বাচন বন্ধ ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, চাকসু হবে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে না, বরং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনকে চাপ দেবেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা এত দিন প্রতিনিধি ছাড়াই ছিলাম। এখন অন্তত আমাদের সমস্যাগুলো প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এটা অনেক বড় বিষয়। প্রতিনিধি যাঁরা নির্বাচিত হবেন, আশা করি তাঁরা শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবেন।’
এদিকে চাকসু ভোট উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম যৌথভাবে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছে। এ ছাড়া কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে, যারা প্রয়োজনে তিন মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরাও দায়িত্বে থাকবে।
আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রবেশপথে প্রতিদিন টহল দিচ্ছে দুটি করে টহল টিম। বহিরাগতদের প্রবেশেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড বহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৫টি ভবনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কোনো নিরাপত্তাকর্মী কাউকে ভবনে প্রবেশ করতে দেবে না। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অনুমোদনবিহীন কোনো যান চলাচল করতে পারবে না।
ভোট গণনার ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, দুই ধাপে হবে ভোট গণনা—একটি ধাপ পরিচালনা করবে ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান এবং অন্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল। ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে তাৎক্ষণিকভাবে গণনা হবে এবং কেন্দ্র থেকে ফল ঘোষণা করা হবে। চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অডিটরিয়ামে।
‘চাকসু থাকলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন ও আবাসন—এসব ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সুযোগ মিলবে। তাই সবাই এই নির্বাচনের অপেক্ষায়।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা হক। এটা শুধু তানজিলার কথা নয়। এমন ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই।
এই প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে আজ বুধবার। ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৯০৭ প্রার্থী এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৪১৫, হল ও একটি হোস্টেল সংসদে ৪৯২ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ নারী প্রার্থী এবং ৩৬৬ পুরুষ প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৭। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ১৬ হাজার ৮৪ এবং ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৪৩৪।
কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনের ৬০টি কক্ষে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হবে ভোট গ্রহণ। ভবনগুলো হলো—ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, শহীদ হৃদয় তরুয়া ভবন (নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ), সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদ। প্রতিটি কক্ষে গড়ে ৪০০-৫০০ শিক্ষার্থী ভোট দেবেন। গোপন বুথ ব্যতীত প্রতিটি কক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য পাঁচ অনুষদ ভবনের ডিনকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
একজন ভোটার মোট ৪০টি ভোট দেবেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬টি ও হল সংসদে ১৪টি। চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ব্যালটে ভোট হবে। গণনা হবে ওএমআর পদ্ধতিতে। একজন ভোটারের ৪০টি ভোট দিতে আনুমানিক ১০ মিনিট সময় লাগতে পারে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। ভোটাররা যত সময় প্রয়োজন মনে করবেন, তত সময় নিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) গঠিত হয় ১৯৬৬ সালে। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও সামাজিক পরিবেশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখাই ছিল এর মূল লক্ষ্য। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালে। এরপর নানা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জটিলতায় তিন দশকের বেশি সময় এই নির্বাচন বন্ধ ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, চাকসু হবে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে না, বরং শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনকে চাপ দেবেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা এত দিন প্রতিনিধি ছাড়াই ছিলাম। এখন অন্তত আমাদের সমস্যাগুলো প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এটা অনেক বড় বিষয়। প্রতিনিধি যাঁরা নির্বাচিত হবেন, আশা করি তাঁরা শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবেন।’
এদিকে চাকসু ভোট উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম যৌথভাবে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছে। এ ছাড়া কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে, যারা প্রয়োজনে তিন মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরাও দায়িত্বে থাকবে।
আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রবেশপথে প্রতিদিন টহল দিচ্ছে দুটি করে টহল টিম। বহিরাগতদের প্রবেশেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড বহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৫টি ভবনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কোনো নিরাপত্তাকর্মী কাউকে ভবনে প্রবেশ করতে দেবে না। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অনুমোদনবিহীন কোনো যান চলাচল করতে পারবে না।
ভোট গণনার ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, দুই ধাপে হবে ভোট গণনা—একটি ধাপ পরিচালনা করবে ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান এবং অন্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল। ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে তাৎক্ষণিকভাবে গণনা হবে এবং কেন্দ্র থেকে ফল ঘোষণা করা হবে। চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অডিটরিয়ামে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর এলাকা থেকে সাদা পাথর চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাথরবোঝাই নৌকাসহ দুজনকে আটক করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ধলাই নদীর পাঁচ পিলার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ম
২৪ জুন ২০২৪দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
৩ ঘণ্টা আগেরোজকার মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুনে কারখানাতেই নিভে গেল তাঁদের জীবনপ্রদীপ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অনেকে নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বল
৩ ঘণ্টা আগেহাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের দাতারাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু দাশ ওই ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মিন্টু দাশের ছেলে।
৩ ঘণ্টা আগেরাসেল মাহমুদ, ঢাকা
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন, অগ্নিদুর্ঘটনাস্থলে কোন ধরনের রাসায়নিক আছে, তার প্রকৃত তথ্য না পাওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে অনেক সময় বিপদে পড়েন তাঁরা। এ ছাড়া তাঁদের কাছে রাসায়নিকের আগুন নেভানোর মতো পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই, প্রশিক্ষণের ঘাটতিও রয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক এলাকায় একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। সেখানে আগুন নেভাতে গিয়ে গুরুতর দগ্ধ হন টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের চারজন ফায়ার ফাইটার। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাঁদের তিনজন। এ ঘটনাটি আবারও রাসায়নিক অগ্নিকাণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সীমাবদ্ধতাকে সামনে নিয়ে আসে।
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকার গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কসমিক ফার্মা নামের একটি রাসায়নিকের গুদাম এবং পাশের একটি পোশাক কারখানায় আগুন লাগে। এতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন, আহত হন আরও অনেকে। এ ক্ষেত্রেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটারদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে দুটি বড় রাসায়নিক দুর্ঘটনায় তাদের ১৬ জন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২২ সালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মোট ৫১ জন নিহত হন, যার মধ্যে ১৩ জনই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। আর চলতি বছরে গাজীপুরে নিহত হন ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ জন কর্মী।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক পরিচালক (অপারেশনস) মেজর (অব.) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উন্নত দেশগুলোতে রাসায়নিক গুদাম বা কেমিক্যালের আগুন নির্বাপণের জন্য আলাদা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী থাকলেও আমাদের দেশে তা নেই। ফলে কোন ধরনের রাসায়নিকের আগুন কীভাবে নির্বাপণ করতে হবে, সেই প্রশিক্ষণ অনেকের নেই। এর মধ্যেও ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের যথাযথ সরঞ্জাম ও সুরক্ষা দিয়ে অগ্নিনির্বাপণের কাজে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ফায়ার অ্যাক্ট, প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণে দ্রুত সংস্কার না আনলে এমন ঘটনা বারবার ঘটবে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য রয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে দেশের ৫৩৭টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রতিটিতে ২২ জন করে কর্মী রয়েছেন। এসব কর্মীর মধ্যে ৮৮ জন ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিদেশে রাসায়নিকের আগুন নেভানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) অধীনে আরও ২৭ জন এই প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মাধ্যমে দেশে আরও ৪৩২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৫৪৭ জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য।
রাসায়নিকের আগুন নেভাতে প্রয়োজন উন্নত যন্ত্রপাতি। কিন্তু দেশের ফায়ার সার্ভিসে এ ধরনের যন্ত্রপাতি পর্যাপ্ত নয়। এ অবস্থায় রাসায়নিকের আগুন নেভাতে কখনো কখনো ব্যবহার করা হচ্ছে পানি। ফলে রাসায়নিকের আগুন বা অন্যান্য জটিল অগ্নিকাণ্ডের আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাঁদের নিজেদের জীবনও ঝুঁকিতে পড়ছে এতে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অভিযোগ, কোথায় আগুন লেগেছে অনেক সময় তার সঠিক তথ্য তাঁদের দেওয়া হয় না। অগ্নিনির্বাপণের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও আধুনিক নয়, মানহীন পিপিই ব্যবহার করতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পাশাপাশি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অগ্নিনির্বাপণের জন্য যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর সংখ্যা বাড়েনি।
জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাসায়নিকের আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটাররা ব্যর্থ হচ্ছেন না। তবে তথ্য পেতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ঘটনাস্থলে কী রয়েছে সে সম্পর্কে মালিকেরা যথাযথ তথ্য না দিয়ে বরং মিথ্যা তথ্য দেন। এতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তথ্যবিভ্রাটে পড়েন। তবু দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার করতে হয়, তখন তাঁরা ঝুঁকিতে পড়ছেন।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন, অগ্নিদুর্ঘটনাস্থলে কোন ধরনের রাসায়নিক আছে, তার প্রকৃত তথ্য না পাওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে অনেক সময় বিপদে পড়েন তাঁরা। এ ছাড়া তাঁদের কাছে রাসায়নিকের আগুন নেভানোর মতো পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই, প্রশিক্ষণের ঘাটতিও রয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক এলাকায় একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। সেখানে আগুন নেভাতে গিয়ে গুরুতর দগ্ধ হন টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের চারজন ফায়ার ফাইটার। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাঁদের তিনজন। এ ঘটনাটি আবারও রাসায়নিক অগ্নিকাণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সীমাবদ্ধতাকে সামনে নিয়ে আসে।
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকার গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কসমিক ফার্মা নামের একটি রাসায়নিকের গুদাম এবং পাশের একটি পোশাক কারখানায় আগুন লাগে। এতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন, আহত হন আরও অনেকে। এ ক্ষেত্রেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটারদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে দুটি বড় রাসায়নিক দুর্ঘটনায় তাদের ১৬ জন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২২ সালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মোট ৫১ জন নিহত হন, যার মধ্যে ১৩ জনই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। আর চলতি বছরে গাজীপুরে নিহত হন ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ জন কর্মী।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক পরিচালক (অপারেশনস) মেজর (অব.) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উন্নত দেশগুলোতে রাসায়নিক গুদাম বা কেমিক্যালের আগুন নির্বাপণের জন্য আলাদা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী থাকলেও আমাদের দেশে তা নেই। ফলে কোন ধরনের রাসায়নিকের আগুন কীভাবে নির্বাপণ করতে হবে, সেই প্রশিক্ষণ অনেকের নেই। এর মধ্যেও ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের যথাযথ সরঞ্জাম ও সুরক্ষা দিয়ে অগ্নিনির্বাপণের কাজে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ফায়ার অ্যাক্ট, প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণে দ্রুত সংস্কার না আনলে এমন ঘটনা বারবার ঘটবে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য রয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে দেশের ৫৩৭টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রতিটিতে ২২ জন করে কর্মী রয়েছেন। এসব কর্মীর মধ্যে ৮৮ জন ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিদেশে রাসায়নিকের আগুন নেভানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) অধীনে আরও ২৭ জন এই প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মাধ্যমে দেশে আরও ৪৩২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৫৪৭ জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য।
রাসায়নিকের আগুন নেভাতে প্রয়োজন উন্নত যন্ত্রপাতি। কিন্তু দেশের ফায়ার সার্ভিসে এ ধরনের যন্ত্রপাতি পর্যাপ্ত নয়। এ অবস্থায় রাসায়নিকের আগুন নেভাতে কখনো কখনো ব্যবহার করা হচ্ছে পানি। ফলে রাসায়নিকের আগুন বা অন্যান্য জটিল অগ্নিকাণ্ডের আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাঁদের নিজেদের জীবনও ঝুঁকিতে পড়ছে এতে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অভিযোগ, কোথায় আগুন লেগেছে অনেক সময় তার সঠিক তথ্য তাঁদের দেওয়া হয় না। অগ্নিনির্বাপণের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও আধুনিক নয়, মানহীন পিপিই ব্যবহার করতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পাশাপাশি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অগ্নিনির্বাপণের জন্য যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর সংখ্যা বাড়েনি।
জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাসায়নিকের আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটাররা ব্যর্থ হচ্ছেন না। তবে তথ্য পেতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ঘটনাস্থলে কী রয়েছে সে সম্পর্কে মালিকেরা যথাযথ তথ্য না দিয়ে বরং মিথ্যা তথ্য দেন। এতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তথ্যবিভ্রাটে পড়েন। তবু দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার করতে হয়, তখন তাঁরা ঝুঁকিতে পড়ছেন।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর এলাকা থেকে সাদা পাথর চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাথরবোঝাই নৌকাসহ দুজনকে আটক করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ধলাই নদীর পাঁচ পিলার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ম
২৪ জুন ২০২৪‘চাকসু থাকলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন ও আবাসন—এসব ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সুযোগ মিলবে। তাই সবাই এই নির্বাচনের অপেক্ষায়।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা হক। এটা শুধু তানজিলার কথা নয়। এমন ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই।
৩ ঘণ্টা আগেরোজকার মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুনে কারখানাতেই নিভে গেল তাঁদের জীবনপ্রদীপ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অনেকে নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বল
৩ ঘণ্টা আগেহাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের দাতারাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু দাশ ওই ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মিন্টু দাশের ছেলে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রোজকার মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুনে কারখানাতেই নিভে গেল তাঁদের জীবনপ্রদীপ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অনেকে নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ীতে একটি পোশাক কারখানা ও পাশের রাসায়নিকের গুদামে আগুনে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করলেও সন্ধ্যা ৭টার পরও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। রাসায়নিকের কারণে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরাও উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দেন। এই উদ্ধার তৎপরতার মধ্যে কারখানার কর্মীদের ছবি হাতে তাঁদের সন্ধান করছিলেন স্বজনেরা। করছিলেন আহাজারি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিয়ালবাড়ীতে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি অগ্নিকাণ্ডে আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
ঘটনাস্থলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানান। তিনি জানান, পোশাক কারখানার একই জায়গা থেকে ৯ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সূত্র জানায়, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শিয়ালবাড়ীর ৩ নম্বর রোডে এম এস আলম ট্রেডার্স নামের একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন দেখা যায়। দোতলা গুদামটির ওপরের তলায় টিনের ছাউনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই গুদামে আগুন লাগার পর বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তাঁরা। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন গুদামটির পাশের চারতলা ভবনের একটি পোশাক তৈরির কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিকের কারণে ধোঁয়া ও আগুনের তীব্রতায় পোশাক কারখানার শ্রমিকদের অনেকে ভেতরে আটকা পড়েন। কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা প্রায় অন্ধকার হয়ে যায়।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ বলেন, আগুনের সূত্রপাত হয়েছে পোশাক কারখানার নিচতলার ওয়াশ ইউনিট থেকে। সেখান থেকে আগুন পাশের রাসায়নিকের গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুনের তীব্রতা বাড়ায় ফায়ার সার্ভিসের আরও সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। আগুনের তীব্রতার কারণে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। রাসায়নিকের বিস্ফোরণ, ঘন ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাসের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পক্ষে কাজ করা ছিল কঠিন।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সেখানে গিয়ে দেখি দুটি ভবনই জ্বলছে। কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে; রাসায়নিকের গুদাম নাকি পোশাক কারখানা থেকে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ৯টি লাশ একসঙ্গে স্তূপ আকারে ছিল। নিহত ব্যক্তিরা নারী না পুরুষ, তা বোঝা যাচ্ছে না।’
আগুনে দগ্ধ তিনজনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, তিনজনকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফায়ার সার্ভিসের সূত্র বলছে, তাদের ধারণা, পোশাক কারখানার পাশের রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে বিষাক্ত সাদা ধোঁয়া বা টক্সিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে, যা প্রাণঘাতী। আগুন খুব দ্রুত তৃতীয় ধাপে পৌঁছে যাওয়ায় ভুক্তভোগীরা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এ ছাড়া পোশাক কারখানাটির ভবনের ছাদের দরজায় তালা লাগানো থাকায় শ্রমিকেরা কেউ ওপরে উঠতে পারেননি। পোশাক কারখানার ভবন ও রাসায়নিকের গুদামের অগ্নিনিরাপত্তা সনদ ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, ১৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে পোশাক কারখানার দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে। বাইরে শত শত মানুষ। অনেকে এসেছেন স্বজনের খোঁজে।
নিখোঁজ নারগিস আক্তারের বড় বোন লাইজু বেগম চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘আমার বোন সকাল পৌনে ৮টায় কাজে আসে। বেলা ১১টার দিকে খবর পাই, আগুন লেগেছে। ভেতরের একজন ফোনে বলল, আপা, কেউ বের হতে পারছে না। এরপর থেকে আর কোনো খোঁজ নেই।’
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ড্রোনসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু রাসায়নিকের উপস্থিতির কারণে অনেক জায়গায় যেতে পারছিলেন না।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা। আমরা কাউকেই ঢুকতে দিচ্ছি না, এমনকি আমাদের ফায়ার ফাইটারদেরও না। ধোঁয়া আর তাপ এত বেশি যে সেখানে যাওয়া মানে প্রাণ হারানোর ঝুঁকি।’ তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও ৩০০ গজ দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদনহীন গুদাম, অজানা মালিক
স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগা ভবনের নিচতলায় ছিল রাসায়নিকের গুদাম, ওপরের তলাগুলোতে পোশাক তৈরির কাজ হতো। আশপাশের বাসিন্দারা বলেন, সেখানে দিনের পর দিন দাহ্য পদার্থের গন্ধ পাওয়া গেলেও কারও তদারকি ছিল না।
ঘটনাস্থলে কারখানার মালিক বা ম্যানেজার, কাউকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানায়, পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামের মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, এটি আলম কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি। কিন্তু মালিকের কোনো মোবাইল ফোন বা যোগাযোগের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।’ গুদামের অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শুনেছি, এর অনুমোদন ছিল না। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’
ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহ করে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের একটি দল। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিআইডির টিম রাসায়নিকের গুদাম ও নিহত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করবে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, উদ্ধার করা সব মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পরিচয় শনাক্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করবে পুলিশ।
রোজকার মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুনে কারখানাতেই নিভে গেল তাঁদের জীবনপ্রদীপ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অনেকে নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ীতে একটি পোশাক কারখানা ও পাশের রাসায়নিকের গুদামে আগুনে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করলেও সন্ধ্যা ৭টার পরও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। রাসায়নিকের কারণে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরাও উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দেন। এই উদ্ধার তৎপরতার মধ্যে কারখানার কর্মীদের ছবি হাতে তাঁদের সন্ধান করছিলেন স্বজনেরা। করছিলেন আহাজারি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিয়ালবাড়ীতে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি অগ্নিকাণ্ডে আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
ঘটনাস্থলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানান। তিনি জানান, পোশাক কারখানার একই জায়গা থেকে ৯ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সূত্র জানায়, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শিয়ালবাড়ীর ৩ নম্বর রোডে এম এস আলম ট্রেডার্স নামের একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন দেখা যায়। দোতলা গুদামটির ওপরের তলায় টিনের ছাউনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই গুদামে আগুন লাগার পর বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তাঁরা। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন গুদামটির পাশের চারতলা ভবনের একটি পোশাক তৈরির কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিকের কারণে ধোঁয়া ও আগুনের তীব্রতায় পোশাক কারখানার শ্রমিকদের অনেকে ভেতরে আটকা পড়েন। কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা প্রায় অন্ধকার হয়ে যায়।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ বলেন, আগুনের সূত্রপাত হয়েছে পোশাক কারখানার নিচতলার ওয়াশ ইউনিট থেকে। সেখান থেকে আগুন পাশের রাসায়নিকের গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুনের তীব্রতা বাড়ায় ফায়ার সার্ভিসের আরও সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। আগুনের তীব্রতার কারণে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। রাসায়নিকের বিস্ফোরণ, ঘন ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাসের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পক্ষে কাজ করা ছিল কঠিন।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সেখানে গিয়ে দেখি দুটি ভবনই জ্বলছে। কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে; রাসায়নিকের গুদাম নাকি পোশাক কারখানা থেকে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ৯টি লাশ একসঙ্গে স্তূপ আকারে ছিল। নিহত ব্যক্তিরা নারী না পুরুষ, তা বোঝা যাচ্ছে না।’
আগুনে দগ্ধ তিনজনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, তিনজনকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফায়ার সার্ভিসের সূত্র বলছে, তাদের ধারণা, পোশাক কারখানার পাশের রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে বিষাক্ত সাদা ধোঁয়া বা টক্সিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে, যা প্রাণঘাতী। আগুন খুব দ্রুত তৃতীয় ধাপে পৌঁছে যাওয়ায় ভুক্তভোগীরা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এ ছাড়া পোশাক কারখানাটির ভবনের ছাদের দরজায় তালা লাগানো থাকায় শ্রমিকেরা কেউ ওপরে উঠতে পারেননি। পোশাক কারখানার ভবন ও রাসায়নিকের গুদামের অগ্নিনিরাপত্তা সনদ ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, ১৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে পোশাক কারখানার দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে। বাইরে শত শত মানুষ। অনেকে এসেছেন স্বজনের খোঁজে।
নিখোঁজ নারগিস আক্তারের বড় বোন লাইজু বেগম চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘আমার বোন সকাল পৌনে ৮টায় কাজে আসে। বেলা ১১টার দিকে খবর পাই, আগুন লেগেছে। ভেতরের একজন ফোনে বলল, আপা, কেউ বের হতে পারছে না। এরপর থেকে আর কোনো খোঁজ নেই।’
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ড্রোনসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু রাসায়নিকের উপস্থিতির কারণে অনেক জায়গায় যেতে পারছিলেন না।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা। আমরা কাউকেই ঢুকতে দিচ্ছি না, এমনকি আমাদের ফায়ার ফাইটারদেরও না। ধোঁয়া আর তাপ এত বেশি যে সেখানে যাওয়া মানে প্রাণ হারানোর ঝুঁকি।’ তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও ৩০০ গজ দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদনহীন গুদাম, অজানা মালিক
স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগা ভবনের নিচতলায় ছিল রাসায়নিকের গুদাম, ওপরের তলাগুলোতে পোশাক তৈরির কাজ হতো। আশপাশের বাসিন্দারা বলেন, সেখানে দিনের পর দিন দাহ্য পদার্থের গন্ধ পাওয়া গেলেও কারও তদারকি ছিল না।
ঘটনাস্থলে কারখানার মালিক বা ম্যানেজার, কাউকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানায়, পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামের মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি, এটি আলম কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি। কিন্তু মালিকের কোনো মোবাইল ফোন বা যোগাযোগের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।’ গুদামের অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শুনেছি, এর অনুমোদন ছিল না। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’
ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহ করে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের একটি দল। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিআইডির টিম রাসায়নিকের গুদাম ও নিহত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করবে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, উদ্ধার করা সব মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পরিচয় শনাক্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করবে পুলিশ।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর এলাকা থেকে সাদা পাথর চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাথরবোঝাই নৌকাসহ দুজনকে আটক করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ধলাই নদীর পাঁচ পিলার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ম
২৪ জুন ২০২৪‘চাকসু থাকলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন ও আবাসন—এসব ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সুযোগ মিলবে। তাই সবাই এই নির্বাচনের অপেক্ষায়।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা হক। এটা শুধু তানজিলার কথা নয়। এমন ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
৩ ঘণ্টা আগেহাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের দাতারাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু দাশ ওই ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মিন্টু দাশের ছেলে।
৩ ঘণ্টা আগেহাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের দাতারাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু দাশ ওই ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মিন্টু দাশের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে উল্লেখিত এলাকার একটি ফুলের দোকানের সামনে কয়েক দুর্বৃত্তের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়ে তা ধস্তাধস্তিতে রূপ নেয়। পরে দুর্বৃত্তরা অপু দাশকে ছুরিকাঘাতের পর দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় অপু দাশ এবং সঙ্গে থাকা তাঁর সহপাঠী তানিম নামের এক যুবকও গুরুতর আহত হন। এ সময় চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করে নিকটতম একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। অপু দাশের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করে দেন। পরে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক অপু দাশকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর গুরুতর আহত তামিম বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, অপু দাশ পূর্বে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও ৫ আগস্টের পর ছাত্রদলের নেতা বনে যান। তিনি চৌধুরীহাট ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন বলে জানান তাঁরা।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভুঁইয়া নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বর্তমানে আমরা ঘটনাস্থলে আছি।’
হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের দাতারাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু দাশ ওই ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মিন্টু দাশের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে উল্লেখিত এলাকার একটি ফুলের দোকানের সামনে কয়েক দুর্বৃত্তের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়ে তা ধস্তাধস্তিতে রূপ নেয়। পরে দুর্বৃত্তরা অপু দাশকে ছুরিকাঘাতের পর দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় অপু দাশ এবং সঙ্গে থাকা তাঁর সহপাঠী তানিম নামের এক যুবকও গুরুতর আহত হন। এ সময় চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করে নিকটতম একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। অপু দাশের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করে দেন। পরে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক অপু দাশকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর গুরুতর আহত তামিম বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, অপু দাশ পূর্বে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও ৫ আগস্টের পর ছাত্রদলের নেতা বনে যান। তিনি চৌধুরীহাট ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন বলে জানান তাঁরা।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভুঁইয়া নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বর্তমানে আমরা ঘটনাস্থলে আছি।’
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর এলাকা থেকে সাদা পাথর চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাথরবোঝাই নৌকাসহ দুজনকে আটক করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ধলাই নদীর পাঁচ পিলার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ম
২৪ জুন ২০২৪‘চাকসু থাকলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন ও আবাসন—এসব ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সুযোগ মিলবে। তাই সবাই এই নির্বাচনের অপেক্ষায়।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা হক। এটা শুধু তানজিলার কথা নয়। এমন ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
৩ ঘণ্টা আগেরোজকার মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুনে কারখানাতেই নিভে গেল তাঁদের জীবনপ্রদীপ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অনেকে নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বল
৩ ঘণ্টা আগে