শিপুল ইসলাম, রংপুর থেকে
সমাবেশস্থলের মাঠ লোকারণ্য। খাবারের জন্য ভিড় করছেন হোটেল-রেস্তোরাঁয়। তবে চাহিদা বেশি থাকায় অপেক্ষা করেও মিলছে না খাবার। দোকানমালিকেরা বলছেন, প্রস্তুত খাবারের তুলনায় চার গুণ মানুষ ভিড় করছে, সে জন্য মুহূর্তেই খাবার শেষ হয়ে যাচ্ছে।
শনিবার সকাল থেকে নগরীর মেডিকেল মোড়, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি, সিটি বাজার, ধাপ সিটি বাজার, রাধাবল্লভ, কাচারীসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোয় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কারিগরেরা খাবার তৈরিতে ব্যস্ত। ছোট ছোট চায়ের দোকানগুলোতে ফুরিয়ে যাচ্ছে রুটি, বিস্কুট, কেক, কলা।
রাধাবল্লভ এলাকায় হন্যে হয়ে খাবার খুঁজছিলেন কয়েকজন যুবক-বৃদ্ধ। তাঁরা কুড়িগ্রামের রাজিবনগর থেকে শুক্রবারই এসেছেন। এই দলের মোজাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ভাই, পাঁচটা দোকান ঘুরলাম, কোথাও খাবার নাই, কোথাও আবার অনেক ভিড়। আমরা যে শুকনো খাবার নিয়ে এসেছিলাম, তা শেষ। এখন না খেয়েই সমাবেশ সফল করতে হবে।’
স্থানীয় রাফি রাহি হোটেল ম্যানেজার অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যে তুলনায় মানুষ খেতে আসছে, সে হিসাবে আমরা খাবার প্রস্তুত করতে পারছি না। সমাবেশ হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। আশপাশের হোটেলগুলোতেও একই অবস্থা।’
সিটি ধাপ বাজার এলাকায় সমাবেশে ঠাকুরগাঁও সদর থেকে এসেছেন তিন বন্ধু হারুন, বিলু, তৌফিক। রংপুরে পৌঁছেছেন শুক্রবার রাত ১১টায়। তাঁরা জানান, রাতে মুড়ি খেয়ে মাঠে তাঁবুতে ঘুমিয়ে ছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খাবার খুঁজতে ধাপ সিটি বাজার এলাকায় এসে একটি হোটেলে দুই প্লেট ভাত পেয়েছেন। তা তিনজনে ভাগ করে খেয়েছেন।
এদিকে দুপুর ২টায় বিএনপির সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই পূর্ণ হয়ে গেছে রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাঁও মাঠের সমাবেশস্থল। সকাল থেকে বিভিন্ন মিছিলের মাধ্যমে দলটির নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। পরিবহন ধর্মঘট থাকলেও হেঁটে দলবল নিয়ে, শত শত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায়, মোটরসাইকেলে, ভ্যানে করে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন তাঁরা।
রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে শুক্রবার থেকে দুই দিনের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা মোটর মালিক সমিতি। এ কারণে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়লেও বিএনপির কর্মীরা দলেবলে নানা উপায়ে সমাবেশস্থলে আসেন। পথে তাঁদের কোথাও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি বলেও জানান তাঁরা।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে বিএনপি দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিএনপির চতুর্থ গণসমাবেশ হচ্ছে। এর আগে গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে ও ২২ অক্টোবর খুলনায় সমাবেশ করেছে দলটি।
সমাবেশ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
সমাবেশস্থলের মাঠ লোকারণ্য। খাবারের জন্য ভিড় করছেন হোটেল-রেস্তোরাঁয়। তবে চাহিদা বেশি থাকায় অপেক্ষা করেও মিলছে না খাবার। দোকানমালিকেরা বলছেন, প্রস্তুত খাবারের তুলনায় চার গুণ মানুষ ভিড় করছে, সে জন্য মুহূর্তেই খাবার শেষ হয়ে যাচ্ছে।
শনিবার সকাল থেকে নগরীর মেডিকেল মোড়, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি, সিটি বাজার, ধাপ সিটি বাজার, রাধাবল্লভ, কাচারীসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোয় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কারিগরেরা খাবার তৈরিতে ব্যস্ত। ছোট ছোট চায়ের দোকানগুলোতে ফুরিয়ে যাচ্ছে রুটি, বিস্কুট, কেক, কলা।
রাধাবল্লভ এলাকায় হন্যে হয়ে খাবার খুঁজছিলেন কয়েকজন যুবক-বৃদ্ধ। তাঁরা কুড়িগ্রামের রাজিবনগর থেকে শুক্রবারই এসেছেন। এই দলের মোজাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ভাই, পাঁচটা দোকান ঘুরলাম, কোথাও খাবার নাই, কোথাও আবার অনেক ভিড়। আমরা যে শুকনো খাবার নিয়ে এসেছিলাম, তা শেষ। এখন না খেয়েই সমাবেশ সফল করতে হবে।’
স্থানীয় রাফি রাহি হোটেল ম্যানেজার অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যে তুলনায় মানুষ খেতে আসছে, সে হিসাবে আমরা খাবার প্রস্তুত করতে পারছি না। সমাবেশ হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। আশপাশের হোটেলগুলোতেও একই অবস্থা।’
সিটি ধাপ বাজার এলাকায় সমাবেশে ঠাকুরগাঁও সদর থেকে এসেছেন তিন বন্ধু হারুন, বিলু, তৌফিক। রংপুরে পৌঁছেছেন শুক্রবার রাত ১১টায়। তাঁরা জানান, রাতে মুড়ি খেয়ে মাঠে তাঁবুতে ঘুমিয়ে ছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খাবার খুঁজতে ধাপ সিটি বাজার এলাকায় এসে একটি হোটেলে দুই প্লেট ভাত পেয়েছেন। তা তিনজনে ভাগ করে খেয়েছেন।
এদিকে দুপুর ২টায় বিএনপির সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই পূর্ণ হয়ে গেছে রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাঁও মাঠের সমাবেশস্থল। সকাল থেকে বিভিন্ন মিছিলের মাধ্যমে দলটির নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। পরিবহন ধর্মঘট থাকলেও হেঁটে দলবল নিয়ে, শত শত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায়, মোটরসাইকেলে, ভ্যানে করে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন তাঁরা।
রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে শুক্রবার থেকে দুই দিনের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা মোটর মালিক সমিতি। এ কারণে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়লেও বিএনপির কর্মীরা দলেবলে নানা উপায়ে সমাবেশস্থলে আসেন। পথে তাঁদের কোথাও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি বলেও জানান তাঁরা।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে বিএনপি দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিএনপির চতুর্থ গণসমাবেশ হচ্ছে। এর আগে গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে ও ২২ অক্টোবর খুলনায় সমাবেশ করেছে দলটি।
সমাবেশ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বরিশালের আইএসিআইবি নার্সিং ইনস্টিটিউটে এবার ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ৫০ আসনের বিপরীতে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হননি। অন্যদিকে পটুয়াখালীর ড. জাফর নার্সিং কলেজে সমানসংখ্যক আসনের বিপরীতে মাত্র ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবি) সুবিধাভোগী আজনুর আক্তার। দুই দিন ধরে ইউপি কার্যালয়ে ঘুরছেন ৫ মাসের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের জন্য। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের...
৪ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে নরসুন্দর বাবা-ছেলেকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) রাত ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে জগন্নাথ হল ও অন্যান্য হল ও ছাত্র...
৪ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে মব সৃষ্টি করে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে হানিফ মিয়া নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি দল সোমবার রাতে তাঁকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করে। হানিফ উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব।
৪ ঘণ্টা আগে