ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
একা দাঁড়িয়ে আছে সেতু। নেই বসতবাড়ি। আশপাশে রাস্তা নেই। এরপরও ফসলের মাঠে ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি। এটি কোনো কাজে আসবে না বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামে ফসলি মাঠের ওপর সম্প্রতি একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু মাঠের ওপর দুই পাশে সংযোগ রাস্তা ছাড়া দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের সার্ভেয়ার শাকিল হোসেন নিজের বাড়ির পাশের মাঠ থেকে ফসল আনা-নেওয়ার সুবিধার জন্য সরকারি খরচে সেতুটি নির্মাণ করেছেন। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা নুরু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামে সার্ভেয়ার শাকিলের বাড়ির পশ্চিম পাশে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা। কাজটি সম্পন্ন করেছেন ঠিকাদার নুর আলম।
সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সুন্দরখাতা গ্রামের পশ্চিমপাশে বিস্তৃত ফসলের মাঠ। মাঠের যে অংশে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে তার দুই পাশে কোনো রাস্তা নেই।
মাঠের কৃষকেরা শুনেছেন, সেতুর দুই পাশে রাস্তা তৈরি হবে। কিন্তু সেই রাস্তা কবে হবে এবং কেন করা হবে তাঁরা তা জানেন না।
মাঠে কাজ করা অবস্থায় কয়েকজন কৃষক জানান, সেতুটি কোনো কাজে আসবে না। অপ্রয়োজনে সরকারের লাখ লাখ টাকা পানিতে ফেলা হয়েছে।
সেতুর একপাশে বসতবাড়ি থাকলেও অন্যপাশে পাশে ফসলের মাঠ। সামনে প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যে বসতবাড়ি নেই। জনসাধারণের চলাচল নেই।
সেতুর ২০০ মিটার পূর্বে সুন্দরখাতা-ডিমলা পাকা সড়ক, এক কিলোমিটার দক্ষিণে মাইজালির ডাংগা সড়ক। আধা কিলোমিটার উত্তরে খোকসার ঘাট ব্রিজ ও পাকা সড়ক। প্রায় এক কিলোমিটার সামনে বুড়িতিস্তা নদী ও বাঁধ। বাঁধটি খোকসারঘাট ব্রিজের সংযোগ সড়কের সঙ্গে মিশেছে। নদীর ওপারেই ডোমার উপজেলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বালাপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সেতুর প্রয়োজন অথচ আশপাশে সড়ক নেই, বাড়িঘরও নেই এমন স্থানে সেতু হয়েছে। জনগণের স্বার্থ ছাড়া কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে ধরে নিতে হবে সেখানে দুর্নীতির উদ্দেশ্য রয়েছে। কারও ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে এই অপ্রয়োজনীয় সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
রাস্তা ও বসতি না থাকায় সেতুটি নির্মাণের শুরুতে কাজ বন্ধ করে প্রকৌশল কার্যালয়ের লোকজন নির্মাণসামগ্রী ফেরত নিয়ে যান বলে জানান সুন্দর খাতা গ্রামের বাসিন্দা আবদেছ আলী। তিনি বলেন, ‘শুনেছি অনেক তদবিরের পর আবার কাজ শুরু হয়।’
মধ্যম সুন্দর খাতা গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, ‘মানুষ নয়, গরু-মহিষ পারাপারের জন্য এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। আগে দেখতাম সড়ক নির্মাণ করে তারপর সেতু বা কালভার্ট হতো। এ ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টোটা।’
একই গ্রামের ওয়াজেদ আলীসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ‘যেখানে দরকার সেখানে সেতু নির্মাণ না করে ফসলের ফাঁকা মাঠে করা হয়েছে। এটা হাস্যকর। সেতু এলাকায় কোনো বসতি নেই। মানুষও চলাচল করে না। অথচ পাশের গ্রামে সহস্রাধিক মানুষের বাস। গ্রামের একমাত্র সড়কটি অনেক দিন সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।’
বর্ষাকালে পাশের গ্রামের সড়ক হাঁটু পানির নিচে থাকে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। তাঁরা আরও জানান, কালভার্ট না থাকায় বৃষ্টির পানির চাপে বারবার ভেঙে যায় সড়কটি। এ ছাড়া পাশেই সিংগাহারা নদীর ওপর দুটি সেতু মাঝ বরাবর হেলে পড়েছে। অন্তত পাঁচ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু দিয়েই যাতায়াত করছে। অতিপ্রয়োজনীয় এসব সেতু ও সড়ক সংস্কার না করে কেন বা কার স্বার্থে সরকারি খরচে ফসলের ফাঁকা মাঠে সেতু নির্মাণ করা হলো তার সঠিক উত্তর জানা নেই গ্রামবাসীর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের সার্ভেয়ার শাকিল হোসেন বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দের অর্থ যাতে ফেরত না যায় সে জন্য ওই স্থানে সেতু করে দেওয়া হয়েছে। এখন রাস্তা নেই, ভবিষ্যতে হবে।’ নিজের পরিবারের সুবিধার জন্য সেতু নির্মাণ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বরাদ্দ অনুযায়ী সে সময় অন্য কোথাও জায়গা খুঁজে পাইনি। তা ছাড়া কাজ করতে গেলে ভুল হতেই পারে।’
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলাম। বিষয়টি আমার জানা নেই। এরপরও রাস্তা ছাড়া কী কারণে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।’
একা দাঁড়িয়ে আছে সেতু। নেই বসতবাড়ি। আশপাশে রাস্তা নেই। এরপরও ফসলের মাঠে ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি। এটি কোনো কাজে আসবে না বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামে ফসলি মাঠের ওপর সম্প্রতি একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু মাঠের ওপর দুই পাশে সংযোগ রাস্তা ছাড়া দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের সার্ভেয়ার শাকিল হোসেন নিজের বাড়ির পাশের মাঠ থেকে ফসল আনা-নেওয়ার সুবিধার জন্য সরকারি খরচে সেতুটি নির্মাণ করেছেন। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা নুরু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামে সার্ভেয়ার শাকিলের বাড়ির পশ্চিম পাশে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা। কাজটি সম্পন্ন করেছেন ঠিকাদার নুর আলম।
সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সুন্দরখাতা গ্রামের পশ্চিমপাশে বিস্তৃত ফসলের মাঠ। মাঠের যে অংশে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে তার দুই পাশে কোনো রাস্তা নেই।
মাঠের কৃষকেরা শুনেছেন, সেতুর দুই পাশে রাস্তা তৈরি হবে। কিন্তু সেই রাস্তা কবে হবে এবং কেন করা হবে তাঁরা তা জানেন না।
মাঠে কাজ করা অবস্থায় কয়েকজন কৃষক জানান, সেতুটি কোনো কাজে আসবে না। অপ্রয়োজনে সরকারের লাখ লাখ টাকা পানিতে ফেলা হয়েছে।
সেতুর একপাশে বসতবাড়ি থাকলেও অন্যপাশে পাশে ফসলের মাঠ। সামনে প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যে বসতবাড়ি নেই। জনসাধারণের চলাচল নেই।
সেতুর ২০০ মিটার পূর্বে সুন্দরখাতা-ডিমলা পাকা সড়ক, এক কিলোমিটার দক্ষিণে মাইজালির ডাংগা সড়ক। আধা কিলোমিটার উত্তরে খোকসার ঘাট ব্রিজ ও পাকা সড়ক। প্রায় এক কিলোমিটার সামনে বুড়িতিস্তা নদী ও বাঁধ। বাঁধটি খোকসারঘাট ব্রিজের সংযোগ সড়কের সঙ্গে মিশেছে। নদীর ওপারেই ডোমার উপজেলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বালাপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সেতুর প্রয়োজন অথচ আশপাশে সড়ক নেই, বাড়িঘরও নেই এমন স্থানে সেতু হয়েছে। জনগণের স্বার্থ ছাড়া কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে ধরে নিতে হবে সেখানে দুর্নীতির উদ্দেশ্য রয়েছে। কারও ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে এই অপ্রয়োজনীয় সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
রাস্তা ও বসতি না থাকায় সেতুটি নির্মাণের শুরুতে কাজ বন্ধ করে প্রকৌশল কার্যালয়ের লোকজন নির্মাণসামগ্রী ফেরত নিয়ে যান বলে জানান সুন্দর খাতা গ্রামের বাসিন্দা আবদেছ আলী। তিনি বলেন, ‘শুনেছি অনেক তদবিরের পর আবার কাজ শুরু হয়।’
মধ্যম সুন্দর খাতা গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, ‘মানুষ নয়, গরু-মহিষ পারাপারের জন্য এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। আগে দেখতাম সড়ক নির্মাণ করে তারপর সেতু বা কালভার্ট হতো। এ ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টোটা।’
একই গ্রামের ওয়াজেদ আলীসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ‘যেখানে দরকার সেখানে সেতু নির্মাণ না করে ফসলের ফাঁকা মাঠে করা হয়েছে। এটা হাস্যকর। সেতু এলাকায় কোনো বসতি নেই। মানুষও চলাচল করে না। অথচ পাশের গ্রামে সহস্রাধিক মানুষের বাস। গ্রামের একমাত্র সড়কটি অনেক দিন সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।’
বর্ষাকালে পাশের গ্রামের সড়ক হাঁটু পানির নিচে থাকে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। তাঁরা আরও জানান, কালভার্ট না থাকায় বৃষ্টির পানির চাপে বারবার ভেঙে যায় সড়কটি। এ ছাড়া পাশেই সিংগাহারা নদীর ওপর দুটি সেতু মাঝ বরাবর হেলে পড়েছে। অন্তত পাঁচ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু দিয়েই যাতায়াত করছে। অতিপ্রয়োজনীয় এসব সেতু ও সড়ক সংস্কার না করে কেন বা কার স্বার্থে সরকারি খরচে ফসলের ফাঁকা মাঠে সেতু নির্মাণ করা হলো তার সঠিক উত্তর জানা নেই গ্রামবাসীর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের সার্ভেয়ার শাকিল হোসেন বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দের অর্থ যাতে ফেরত না যায় সে জন্য ওই স্থানে সেতু করে দেওয়া হয়েছে। এখন রাস্তা নেই, ভবিষ্যতে হবে।’ নিজের পরিবারের সুবিধার জন্য সেতু নির্মাণ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বরাদ্দ অনুযায়ী সে সময় অন্য কোথাও জায়গা খুঁজে পাইনি। তা ছাড়া কাজ করতে গেলে ভুল হতেই পারে।’
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলাম। বিষয়টি আমার জানা নেই। এরপরও রাস্তা ছাড়া কী কারণে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।’
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৭ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
১৪ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
১৯ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
২৩ মিনিট আগে