রংপুর ও পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ২ নম্বর ফটক। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এই ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তখনো পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবু সাঈদ।
পুলিশকে লক্ষ্য করে তিনি কিছুই ছোড়েননি। তবে পুলিশ তাঁকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল যেমন ছুড়ছিল, তেমনি রাবার বুলেটও ছুড়ছিল। দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়ান তিনি। একটু পরে দেখা যায়, বসে পড়েন তিনি। আরেকটু পরে সড়কে ঢলে পড়েন। মারা যান সাঈদ।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেরোবির শিক্ষার্থী সাঈদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হৃদয় রঞ্জন রায় বলেন, হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তির আগেই আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের একাধিক স্থানে রাবার বুলেটের ক্ষত রয়েছে।
গতকাল সাঈদ মারা যাওয়ার আগে ও পরে রংপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৫ জনের মতো রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। বাকিদের মধ্যে অনেকেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
যেখানে বিক্ষোভের শুরু
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১টা থেকে রংপুর শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বেরোবির প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হন। এরপর বেলা দেড়টার দিকে প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এরপর ২ নম্বর ফটক দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় মারা যান সাঈদ।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে লাঠি, হকিস্টিক, রড, ছুরি নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এরপর বেলা ২টা ৪৪ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা আসেন। এরপর দফায় দফায় বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পুলিশ-ছাত্রলীগ-আন্দোলনকারীর ত্রিমুখী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি তুলে ধরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি খুব ভালো না। আমাদের টিমকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কতটি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়েছে, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’
ভিসির বাড়িতে আগুন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা
এদিকে সাঈদ মারা যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রংপুরের শিক্ষার্থীরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনে আগুন দেন। দোতলা বাড়ির নিচতলায় ভাঙচুর করা হয়। বাইরে থাকা উপাচার্য, সহ-উপাচার্যের গাড়িসহ পাঁচটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার পর উপাচার্যের বাসভবন এলাকা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সরে যান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিকেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড় ও ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। সাংবাদিকদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় অন্তত আটজন সাংবাদিক আহত হন।
‘ওরা মেরে ফেলল ক্যান’
এদিকে সাঈদের মৃত্যুর পর গতকাল রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বাড়িতে বিলাপ চলছে। সাঈদের মা ফ্যালফ্যাল করে সবার দিকে চেয়ে আছেন। মাঝে মাঝে বাবা বাবা বলে চিৎকার দিয়ে উঠছেন। নিহত সাঈদের ছোট বোন সুমি আর্তনাদ করে বলেন, ‘হামার ভাইকে ওরা মেরে ফেলল ক্যান? হামার ভাই বেঁচে থাকলে হামার হেরে স্বপ্ন পূরণ হলো হয়। কেটা হামাক এনা বোন কয়া ডাকপি রে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন দিনমজুর। ছয় ভাই, তিন বোনের মধ্যে আবু সাঈদ ছিলেন সবার ছোট। অর্থাভাবে কোনো ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারেননি মকবুল হোসেন। বলেন, ‘সে নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া করে এত দূর পর্যন্ত গিয়েছিল। অনেক স্বপ্ন ছিল সাঈদকে নিয়ে।’
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ২ নম্বর ফটক। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এই ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তখনো পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবু সাঈদ।
পুলিশকে লক্ষ্য করে তিনি কিছুই ছোড়েননি। তবে পুলিশ তাঁকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল যেমন ছুড়ছিল, তেমনি রাবার বুলেটও ছুড়ছিল। দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়ান তিনি। একটু পরে দেখা যায়, বসে পড়েন তিনি। আরেকটু পরে সড়কে ঢলে পড়েন। মারা যান সাঈদ।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেরোবির শিক্ষার্থী সাঈদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হৃদয় রঞ্জন রায় বলেন, হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তির আগেই আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের একাধিক স্থানে রাবার বুলেটের ক্ষত রয়েছে।
গতকাল সাঈদ মারা যাওয়ার আগে ও পরে রংপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৫ জনের মতো রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। বাকিদের মধ্যে অনেকেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
যেখানে বিক্ষোভের শুরু
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১টা থেকে রংপুর শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বেরোবির প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হন। এরপর বেলা দেড়টার দিকে প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এরপর ২ নম্বর ফটক দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় মারা যান সাঈদ।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে লাঠি, হকিস্টিক, রড, ছুরি নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এরপর বেলা ২টা ৪৪ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা আসেন। এরপর দফায় দফায় বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পুলিশ-ছাত্রলীগ-আন্দোলনকারীর ত্রিমুখী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি তুলে ধরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি খুব ভালো না। আমাদের টিমকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কতটি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়েছে, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’
ভিসির বাড়িতে আগুন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা
এদিকে সাঈদ মারা যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রংপুরের শিক্ষার্থীরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনে আগুন দেন। দোতলা বাড়ির নিচতলায় ভাঙচুর করা হয়। বাইরে থাকা উপাচার্য, সহ-উপাচার্যের গাড়িসহ পাঁচটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার পর উপাচার্যের বাসভবন এলাকা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সরে যান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিকেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড় ও ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। সাংবাদিকদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় অন্তত আটজন সাংবাদিক আহত হন।
‘ওরা মেরে ফেলল ক্যান’
এদিকে সাঈদের মৃত্যুর পর গতকাল রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বাড়িতে বিলাপ চলছে। সাঈদের মা ফ্যালফ্যাল করে সবার দিকে চেয়ে আছেন। মাঝে মাঝে বাবা বাবা বলে চিৎকার দিয়ে উঠছেন। নিহত সাঈদের ছোট বোন সুমি আর্তনাদ করে বলেন, ‘হামার ভাইকে ওরা মেরে ফেলল ক্যান? হামার ভাই বেঁচে থাকলে হামার হেরে স্বপ্ন পূরণ হলো হয়। কেটা হামাক এনা বোন কয়া ডাকপি রে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন দিনমজুর। ছয় ভাই, তিন বোনের মধ্যে আবু সাঈদ ছিলেন সবার ছোট। অর্থাভাবে কোনো ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারেননি মকবুল হোসেন। বলেন, ‘সে নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া করে এত দূর পর্যন্ত গিয়েছিল। অনেক স্বপ্ন ছিল সাঈদকে নিয়ে।’
মধ্যনগর উপজেলার কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. রুহুল আমিন তালুকদার রব রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ঘোষণা দেন তিনি।
১৪ মিনিট আগেরাজধানীর মগবাজারের দিলু রোড এলাকায় ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) শিশুর নানা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৮ মিনিট আগেমাদকের সংঘাতে ফের অস্থির হয়ে উঠেছে মোহাম্মদপুরে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের আবাসস্থল জেনিভা ক্যাম্প। মাদকের ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে জেনেভা ক্যাম্পে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে টানা পাঁচ দিন ধরে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।
২৯ মিনিট আগেফরিদপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের পর পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনেরা। আজ সোমবার দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন
৪৩ মিনিট আগে