Ajker Patrika

জমি ভরাটের পানিতে স্কুলের মাঠ জলাশয়

মো. মাসুম, টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
পুরা দুর্গাচরণ উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ যেনো বিশাল দিঘী। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুরা দুর্গাচরণ উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ যেনো বিশাল দিঘী। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পুরা দুর্গাচরণ উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ এখন জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। একসময় যেখানে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় যুবকেরা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন, আজ সেখানে জমে আছে পানি।

আজ শনিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, পুরা দুর্গাচরণ উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি পানিতে ডুবে আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেড় মাস আগে তাইযুদ্দিন আকন নামের এক ভূমি ব্যবসায়ী ওই মাঠটির পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি ভরাটের জন্য খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে বালু তোলেন। এ সময় পানি ফেলা হয় স্কুলের মাঠে। সেই পানিতেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না রেখে মাঠটিতে পানি ফেলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। মাঠে কোনো খেলা বা অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন খেলাধুলা করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি এলাকার ক্রীড়া সংস্কৃতিও হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। তাঁরা বলেন, পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি ভরাটের জন্য ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার সময় খেলার মাঠে পানি ছাড়ায় মাঠটি এখন জলাশয়ে পরিণত হয়েছে।

পুরা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সাগর মৃধা বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে ড্রেজারের পানি ফেলার কারণে জলাশয় তৈরি হয়। পরে বৃষ্টির পানিও এখানে জমা হয়। এতে খেলার মাঠটি অকেজো হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, মাঠটি জলাশয়ে পরিণত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধা তৈরি হচ্ছে। তাঁরা দ্রুত মাঠটি পুনরুদ্ধার ও পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

স্থানীয় অভিভাবকেরা বলেন, একসময় বিকেলে মাঠে খেলা, ব্যায়াম ও সামাজিক মিলনমেলা হতো। এখন সেখানকার চিত্র একেবারেই ভিন্ন। আবদ্ধতার কারণে পানি দূষিত হয়ে আশপাশের এলাকাতেও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, ‘কোনো অনুমতি ছাড়াই তাঁরা ড্রেজারের পানি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ছেড়ে দেয়। আমি তাইযুদ্দিন আকনকে একাধিকবার পানি নিষ্কাশনের জন্য বললেও পানি সরানোর কোনো ব্যবস্থা করছেন না।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে তাইযুদ্দিন আকনকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. হান্নান বলেন, অনুমতি ছাড়া কেউ একটা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে কোনোভাবেই পানি ছাড়তে পারেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত