শিপুল ইসলাম, রংপুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে যখন অধিকাংশ মানুষ সরকারি কিংবা করপোরেট চাকরির পেছনে ছুটছেন, তখন মাসুদুর রহমান (৩৫) বেছে নিয়েছেন একেবারে ভিন্ন পথ। ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স করে শিক্ষকতা ও গবেষণার স্বপ্ন থাকলেও বাস্তবতা তাঁকে দাঁড় করায় ভিন্ন এক চৌরাস্তায়। আর সেখান থেকেই যাত্রা শুরু করে আজ তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খেজমতপুর গ্রামের একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
অঞ্চলে ২৫ জাতের আঙুর চাষ করে যেমন সাড়া ফেলেছেন, তেমনি বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন বারোমাসি ফলের বাগান, যা দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অনেকেই।
আঙুর বাগানে সাফল্যের সুবাস
সম্প্রতি মাসুদুরের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ ও সুতা দিয়ে তৈরি মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলে আছে নানা জাতের আঙুর। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে কোথাও লম্বাটে, কোথাও গোল কিংবা হালকা রঙিন আঙুর—দেখে মন জুড়িয়ে যায়।
মাসুদুর বলেন, ‘প্রথমে ভয় ছিল—বিদেশি জাতের আঙুর খেয়ে মানুষ কেমন প্রতিক্রিয়া দেবে। কিন্তু এখন সবাই বলছে, দারুণ মিষ্টি।’
মাত্র ১০ শতাংশ জমিতে তিনি রাশিয়া, ইতালি ও ভারতের বিভিন্ন জাতের আঙুরের চারা রোপণ করেছেন। এখন পর্যন্ত ৫০টির মতো গাছে ফল ধরেছে। ইতিমধ্যে তিন মণ আঙুর বিক্রি করে তিনি পেয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার টাকা। খরচ হয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার।
ছাদে ফলের রাজ্য, জমিতে সাথি ফসল
শুধু নিচের জমি নয়, মাসুদুরের ১ হাজার ২০০ বর্গফুট ছাদজুড়ে রয়েছে থাই কমলা, ড্রাগন, জামরুল, শরিফা, আমড়া, আনারসহ ১০ জাতের বিদেশি ফলের বাগান। এ ছাড়া বাড়ির পাশের ১৭ শতাংশ জমিতে আরও ১৫ জাতের ফলের চাষ করছেন। সাথি ফসল হিসেবে সেখানে আদা চাষ করে এবারই তিনি পেয়েছেন ৮০ হাজার টাকা। পাশাপাশি চার একর জমিতে চাষ করছেন আলু ও কচুমুখী। শুধু কচুমুখী থেকেই গত বছর আয় হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা।
নিঃস্বার্থভাবে চারা বিতরণ
সাফল্যে থেমে থাকেননি মাসুদুর। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে একটি করে মিষ্টি জাতের আঙুরগাছ থাকুক—এই স্বপ্নে তিনি বিতরণ করছেন বিনা মূল্যে চারা।
‘আমি চাই দেশের প্রতিটি বাড়িতে একটি করে মিষ্টি জাতের আঙুরগাছ থাকুক। যারা আগ্রহী, তাদের আমি চারা দিয়ে সহায়তা করছি।’ বলেন তিনি।
অনুপ্রেরণার বাতিঘর
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, ‘উচ্চশিক্ষিত এক ব্যক্তি কৃষিকে পেশা হিসেবে নিয়ে বিদেশি ফল চাষ করছেন—এটা শুধু দৃষ্টান্তই নয়, অনুপ্রেরণাও। তাঁর বাগানের আঙুর দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো বিদেশি জাত।’
মাসুদুর বলেন, ‘শিক্ষক হতে পারিনি, তবে কৃষিকে আমি গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছি। এখানে আমি নতুন কিছু করছি, শিখছি এবং অন্যদের শেখাচ্ছি।’
স্বপ্ন ছড়াতে চান দেশের তরুণদের মাঝে
প্রতিদিন তাঁর বাগানে শত শত মানুষ আসছেন, উৎসাহ নিচ্ছেন। মিঠাপুকুরের জায়গীর এলাকার শিক্ষিত তরুণ হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘মাসুদুর ভাই প্রমাণ করেছেন চাকরি না করেও সফল হওয়া যায়—যদি সাহস, নিষ্ঠা আর অদম্য আগ্রহ থাকে।’
মাসুদুর রহমান বলেন, ‘মাটির সঙ্গে প্রেম করলেই জীবন বদলায়। এই যাত্রা তখনই সফল হবে, যদি দেশের আরও তরুণ কৃষির দিকে ফিরে তাকায়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে যখন অধিকাংশ মানুষ সরকারি কিংবা করপোরেট চাকরির পেছনে ছুটছেন, তখন মাসুদুর রহমান (৩৫) বেছে নিয়েছেন একেবারে ভিন্ন পথ। ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স করে শিক্ষকতা ও গবেষণার স্বপ্ন থাকলেও বাস্তবতা তাঁকে দাঁড় করায় ভিন্ন এক চৌরাস্তায়। আর সেখান থেকেই যাত্রা শুরু করে আজ তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খেজমতপুর গ্রামের একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
অঞ্চলে ২৫ জাতের আঙুর চাষ করে যেমন সাড়া ফেলেছেন, তেমনি বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন বারোমাসি ফলের বাগান, যা দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অনেকেই।
আঙুর বাগানে সাফল্যের সুবাস
সম্প্রতি মাসুদুরের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ ও সুতা দিয়ে তৈরি মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলে আছে নানা জাতের আঙুর। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে কোথাও লম্বাটে, কোথাও গোল কিংবা হালকা রঙিন আঙুর—দেখে মন জুড়িয়ে যায়।
মাসুদুর বলেন, ‘প্রথমে ভয় ছিল—বিদেশি জাতের আঙুর খেয়ে মানুষ কেমন প্রতিক্রিয়া দেবে। কিন্তু এখন সবাই বলছে, দারুণ মিষ্টি।’
মাত্র ১০ শতাংশ জমিতে তিনি রাশিয়া, ইতালি ও ভারতের বিভিন্ন জাতের আঙুরের চারা রোপণ করেছেন। এখন পর্যন্ত ৫০টির মতো গাছে ফল ধরেছে। ইতিমধ্যে তিন মণ আঙুর বিক্রি করে তিনি পেয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার টাকা। খরচ হয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার।
ছাদে ফলের রাজ্য, জমিতে সাথি ফসল
শুধু নিচের জমি নয়, মাসুদুরের ১ হাজার ২০০ বর্গফুট ছাদজুড়ে রয়েছে থাই কমলা, ড্রাগন, জামরুল, শরিফা, আমড়া, আনারসহ ১০ জাতের বিদেশি ফলের বাগান। এ ছাড়া বাড়ির পাশের ১৭ শতাংশ জমিতে আরও ১৫ জাতের ফলের চাষ করছেন। সাথি ফসল হিসেবে সেখানে আদা চাষ করে এবারই তিনি পেয়েছেন ৮০ হাজার টাকা। পাশাপাশি চার একর জমিতে চাষ করছেন আলু ও কচুমুখী। শুধু কচুমুখী থেকেই গত বছর আয় হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা।
নিঃস্বার্থভাবে চারা বিতরণ
সাফল্যে থেমে থাকেননি মাসুদুর। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে একটি করে মিষ্টি জাতের আঙুরগাছ থাকুক—এই স্বপ্নে তিনি বিতরণ করছেন বিনা মূল্যে চারা।
‘আমি চাই দেশের প্রতিটি বাড়িতে একটি করে মিষ্টি জাতের আঙুরগাছ থাকুক। যারা আগ্রহী, তাদের আমি চারা দিয়ে সহায়তা করছি।’ বলেন তিনি।
অনুপ্রেরণার বাতিঘর
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, ‘উচ্চশিক্ষিত এক ব্যক্তি কৃষিকে পেশা হিসেবে নিয়ে বিদেশি ফল চাষ করছেন—এটা শুধু দৃষ্টান্তই নয়, অনুপ্রেরণাও। তাঁর বাগানের আঙুর দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো বিদেশি জাত।’
মাসুদুর বলেন, ‘শিক্ষক হতে পারিনি, তবে কৃষিকে আমি গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছি। এখানে আমি নতুন কিছু করছি, শিখছি এবং অন্যদের শেখাচ্ছি।’
স্বপ্ন ছড়াতে চান দেশের তরুণদের মাঝে
প্রতিদিন তাঁর বাগানে শত শত মানুষ আসছেন, উৎসাহ নিচ্ছেন। মিঠাপুকুরের জায়গীর এলাকার শিক্ষিত তরুণ হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘মাসুদুর ভাই প্রমাণ করেছেন চাকরি না করেও সফল হওয়া যায়—যদি সাহস, নিষ্ঠা আর অদম্য আগ্রহ থাকে।’
মাসুদুর রহমান বলেন, ‘মাটির সঙ্গে প্রেম করলেই জীবন বদলায়। এই যাত্রা তখনই সফল হবে, যদি দেশের আরও তরুণ কৃষির দিকে ফিরে তাকায়।’
গাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
১ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেগণঅধিকার পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আংশিক নতুন কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার (২১ জুন) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান ৫৩ সদস্যের এই আংশিক কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে