Ajker Patrika

স্নাতকোত্তর পাসের থমকে যাওয়া স্বপ্ন ৫০ বছরে পূরণ করলেন আব্বাস

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৩, ১৫: ০১
স্নাতকোত্তর পাসের থমকে যাওয়া স্বপ্ন ৫০ বছরে পূরণ করলেন আব্বাস

অর্থাভাবে স্নাতকোত্তর করতে পারেননি আব্বাস আলী। স্নাতক শেষে একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর পেরিয়ে যায় দীর্ঘ ২০ বছর। স্নাতকোত্তর শেষ করতে না পারার স্বপ্ন যেন তাঁকে তাড়া করে বেড়ায়। সিদ্ধান্ত নেন আবার শুরু করবেন লেখাপড়া। ৫০ বছর বয়সে স্নাতকোত্তর শেষ করে পরিবার ও এলাকাবাসী প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এই বয়সে তাঁর এমন উদ্যোগ অনেককেই উদ্বুদ্ধ করেছে—শিক্ষার কোনো বয়স নেই। 

আব্বাস আলীর বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া গ্রামে। তিনি দবিরুল ইসলামের ছেলে। লোহাগাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন ২৪ বছর ধরে। ২০ বছর পর পুনরায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিন বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স, এক বছর মেয়াদি প্রিলিমিনারি মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে ২ দশমিক ৩১ সিজিপিএ পেয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। গত ২৭ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই ফল প্রকাশ করে।

আব্বাস আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে তিনি লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৪ সালে দিনাজপুর আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৯৭ সালে রুহিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। এরপর অভাবের কারণে স্নাতকোত্তর করা হয়নি তাঁর। জীবিকার তাগিদে লোহাগাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। 

আব্বাস আলী বলেন, ‘শিক্ষকতা করার সময় আর্থিক সংকটের কারণে স্নাতকোত্তর কোর্স শেষ করতে না পারার দুঃখটা সব সময় মনে কষ্ট দিত। ২০১৮ সালে স্ত্রীর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিন বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করি। এরপর প্রিলিমিনারি মাস্টার্স কোর্স এক বছর শেষ করার পর দিনাজপুর সরকারি কলেজে ইংরেজি বিষয় নিয়ে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হই। সেখানে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২ দশমিক ৩১ সিজিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি।’ 

এই বয়সে পড়ালেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে আব্বাস আলী বলেন, ‘১৯৯৭ সালের সিলেবাস ও বর্তমান সময়ে সিলেবাসে অনেক পার্থক্য। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পড়াশোনা করতে হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত একধরনের দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ফলাফল বের হওয়ায় অনেক খুশি।’ 

আব্বাস আলীর স্ত্রী নাজমা শিরিন বলেন, ‘ইচ্ছে থাকলেও অভাবের কারণে মাস্টার্স পাস করতে পারেননি। আমার কাছে প্রায়ই বিষয়টি জানাত। পরে আমি টাকা জোগাড় করে দিয়ে ভর্তি হতে সাহস দিই। ফলাফল প্রকাশের পর এখন পরিবার, প্রতিবেশী সবার মুখে তিনি প্রশংসিত হচ্ছেন।’ 

আব্বাস আলীর বড় ছেলে সাকিব এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। সাকিব বলে, ‘বাড়িতে পড়া ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে গত পাঁচ বছর ধরে। বাবা আমাদের আগে পড়তে বসেন। আমার আর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে বাবার পরিশ্রম সফল। তাঁর ফলাফলে আমরা সবাই আনন্দিত।’ 

লোহাগাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, ‘আব্বাস আলী পরিশ্রমী একজন শিক্ষক। এই বয়সে তাঁর এমন অর্জন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করবে।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার বলেন, মানুষের ইচ্ছাশক্তি থাকলে অসম্ভবও সম্ভব করা যায়। আব্বাস আলীর ইচ্ছাশক্তির কাছে বয়স হার মেনেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০ রাউন্ড গুলি

বগুড়া প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।

ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তার গান, ভিডিও ভাইরাল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।

তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।

সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।

আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।

জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, কৌশলে পালিয়ে রক্ষা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’

এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।

বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য চালককে হত্যা

সিলেট প্রতিনিধি
শিপন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
শিপন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।

শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত