পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর পুঠিয়ায় তিন ফসলি কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকার কৃষকেরা। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মঙ্গলপাড়া গড়াগাছীর মাঠে এলাকার দুই শতাধিক কৃষকের অংশগ্রহণে ওই মানববন্ধন হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, মোটা অঙ্কের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন প্রভাবশালী মৎস্যচাষি এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে প্রথমে ফসলি জমি নিচ্ছেন। পরে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সেই জমিতে পুকুর খনন করা হয়। প্রভাবশালী মহলটি সেখানে খনন করা পুকুরগুলো মাছ চাষের জন্য লিজ নিয়ে আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে কৃষক আব্দুল গাফফার বলেন, এই বিলে প্রায় ২০০ একর ফসলি জমি রয়েছে। ওই জমিতে চাষাবাদ করে হাজারো কৃষকের সংসার চলে। কিন্তু এলাকার কিছু প্রভাবশালী মৎস্যচাষি বিগত কয়েক বছরে বিলের বেশির ভাগ জমিতে পুকুর খনন করেছে। ফলে এখন বছরের বেশির ভাগ সময় এসব বিলে জলাবদ্ধতা থাকে। তাতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে এবার আবারও প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে পুকুর খননের কাজ শুরু করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে কয়েক দফা জানিয়েও কোনো সুফল মেলেনি। যে কারণে চাষিরা ফসলি জমি রক্ষায় বিলে মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন।
কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, পুকুর খনন করতে গত ৩০ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই মাঠে দুটি ভেকু নামানো হয়। তখন এলাকাবাসী বাধা দেয়। এ কারণে ওই প্রভাবশালীরা প্রতিবাদকারীদের নামে থানায় মিথ্যা চাঁদা দাবির অভিযোগ দেয়। তিনি বলেন, পুকুর খননকারীরা প্রভাবশালী। তারা এলাকার রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ফসলি খেত খনন করছে। তিনি শিগগির তা বন্ধের দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন আবুল বাসার, জহুরুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, সলেমান মণ্ডল, মফিজ উদ্দিন, আনিছুর রহমান, রফিক মোল্লা প্রমুখ।
শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, এলাকার ফসলি জমি রক্ষায় বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে খননকাজ বন্ধ হচ্ছে না। তিনি বলেন, সম্প্রতি এই এলাকায় পুকুর খনন বন্ধ করতে দুটি ভেকু জব্দ করা হয়েছে।
পুকুর খননে জমি লিজ প্রদানকারী শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন এলাকার আব্দুস সালাম বলেন, বিলের জমিতে বছরের বেশির ভাগ সময় জলাবদ্ধতা থাকে। এ কারণে ফসলও তেমন ভালো হয় না। কিন্তু ওই জমিতে পুকুর খনন করলে মাছচাষিরা প্রতি বিঘা জমি বছরে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লিজে দিচ্ছে। যে কারণে তাঁর মতো অনেকেই ফসলি জমিতে পুকুর খনন করতে দিচ্ছেন।
তবে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, পুকুর খননকারীদের কাছ থেকে পুলিশ কোনো সুযোগ-সুবিধা নেয় না। আর কোনো পুলিশ সদস্য এর সঙ্গে জড়িত কি না, সে বিষয়ে কোনো অভিযোগও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফসলি জমিতে কোনোভাবেই পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না। কেউ পুকুর খননের প্রস্তুতি নিয়ে থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহীর পুঠিয়ায় তিন ফসলি কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকার কৃষকেরা। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মঙ্গলপাড়া গড়াগাছীর মাঠে এলাকার দুই শতাধিক কৃষকের অংশগ্রহণে ওই মানববন্ধন হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, মোটা অঙ্কের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন প্রভাবশালী মৎস্যচাষি এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে প্রথমে ফসলি জমি নিচ্ছেন। পরে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সেই জমিতে পুকুর খনন করা হয়। প্রভাবশালী মহলটি সেখানে খনন করা পুকুরগুলো মাছ চাষের জন্য লিজ নিয়ে আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে কৃষক আব্দুল গাফফার বলেন, এই বিলে প্রায় ২০০ একর ফসলি জমি রয়েছে। ওই জমিতে চাষাবাদ করে হাজারো কৃষকের সংসার চলে। কিন্তু এলাকার কিছু প্রভাবশালী মৎস্যচাষি বিগত কয়েক বছরে বিলের বেশির ভাগ জমিতে পুকুর খনন করেছে। ফলে এখন বছরের বেশির ভাগ সময় এসব বিলে জলাবদ্ধতা থাকে। তাতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে এবার আবারও প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে পুকুর খননের কাজ শুরু করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে কয়েক দফা জানিয়েও কোনো সুফল মেলেনি। যে কারণে চাষিরা ফসলি জমি রক্ষায় বিলে মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন।
কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, পুকুর খনন করতে গত ৩০ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই মাঠে দুটি ভেকু নামানো হয়। তখন এলাকাবাসী বাধা দেয়। এ কারণে ওই প্রভাবশালীরা প্রতিবাদকারীদের নামে থানায় মিথ্যা চাঁদা দাবির অভিযোগ দেয়। তিনি বলেন, পুকুর খননকারীরা প্রভাবশালী। তারা এলাকার রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ফসলি খেত খনন করছে। তিনি শিগগির তা বন্ধের দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন আবুল বাসার, জহুরুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, সলেমান মণ্ডল, মফিজ উদ্দিন, আনিছুর রহমান, রফিক মোল্লা প্রমুখ।
শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, এলাকার ফসলি জমি রক্ষায় বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে খননকাজ বন্ধ হচ্ছে না। তিনি বলেন, সম্প্রতি এই এলাকায় পুকুর খনন বন্ধ করতে দুটি ভেকু জব্দ করা হয়েছে।
পুকুর খননে জমি লিজ প্রদানকারী শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন এলাকার আব্দুস সালাম বলেন, বিলের জমিতে বছরের বেশির ভাগ সময় জলাবদ্ধতা থাকে। এ কারণে ফসলও তেমন ভালো হয় না। কিন্তু ওই জমিতে পুকুর খনন করলে মাছচাষিরা প্রতি বিঘা জমি বছরে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লিজে দিচ্ছে। যে কারণে তাঁর মতো অনেকেই ফসলি জমিতে পুকুর খনন করতে দিচ্ছেন।
তবে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, পুকুর খননকারীদের কাছ থেকে পুলিশ কোনো সুযোগ-সুবিধা নেয় না। আর কোনো পুলিশ সদস্য এর সঙ্গে জড়িত কি না, সে বিষয়ে কোনো অভিযোগও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফসলি জমিতে কোনোভাবেই পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না। কেউ পুকুর খননের প্রস্তুতি নিয়ে থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে