রাবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তাঁরা এ দাবি জানিয়ে আসছেন। এ দাবিতে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে একটি মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ৪ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ অযৌক্তিক ও নজিরবিহীন; যেখানে বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি চাকরির পরীক্ষায় আবেদন ফি ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। এমনকি বিসিএসের মতো পরীক্ষায় যাতে আঞ্চলিক কেন্দ্র থাকে, সেখানে অনেক বেশি খরচ হওয়ার কথা থাকলেও ২০০ টাকায় আবেদন করা যায়।
অন্যদিকে বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় আবেদন ফি বেশি দেওয়ার পরও ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। এতে যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিপুল টাকা খরচ হয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী প্রাথমিক অবস্থায় শুধু আবেদনও করতে পারেন না।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, একজন আইন গ্র্যাজুয়েটকে আইনজীবী হতে হলে প্রথমে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়, এতে ক্ষেত্রবিশেষে কমবেশি দুই হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়। ছয় মাস পরে ফরম ফিলাপের সুযোগ হয়, তখন পরীক্ষার্থীকে ৪০২০ টাকা প্রদান করতে হয়। তখন একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় বসতে পারে; যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
আবু সাঈদ আরও বলেন, ‘এত কিছুর পর প্রিলি, লিখিত, ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে কোয়ালিফাই করে একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে যখন বার অ্যাসোসিয়েশনগুলোয় সদস্য হতে যান, তখন তাঁকে আবারও বড় অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। কোনো কোনো সময় এটা ৬০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবীর ওপর এগুলো চরম মাত্রার জুলুম। তাই বার কাউন্সিল ইতিমধ্যে যে ফরম ফিলাপের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, সেটা সংশোধন করে ফরম ফিলাপের ফি যুক্তিসংগত মাত্রায় কমিয়ে এনে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।’
আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরুখ মাহমুদ বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরে বিসিএসের মতো পরীক্ষার ফি কমিয়ে ২০০ টাকাতে আনা হয়েছে। কিন্তু বার কাউন্সিলের পরীক্ষার ফি এখনো কমানো হয়নি। একটা সদ্য পাস করা আইনের ছাত্র যখন পড়াশোনা করে বের হয়, তখন প্রথম পরিচয় খোঁজে একজন আইনজীবী হওয়ার জন্য। এখন একটা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বা পাস করার জন্য যদি এত টাকা ফি দিতে হয়, তাহলে আইনের ছাত্রদের জন্য এটা লজ্জা ও অপমানজনক।’
বার কাউন্সিল পরীক্ষার বর্তমান ফি অযৌক্তিক ও নজিরবিহীন হিসেবে মনে করছেন আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং এই আন্দোলনের আহ্বায়ক কামরুল হাসান সজীব। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ৪ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ অযৌক্তিক ও নজিরবিহীন। এমনকি বিসিএসের মতো পরীক্ষায় যাতে আঞ্চলিক কেন্দ্র থাকে, সেখানে অনেক বেশি খরচ হওয়ার কথা থাকলেও ২০০ টাকায় আবেদন করা যায়। অন্যদিকে বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় আবেদন ফি বেশি ফি দেওয়ার পরও ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। এতে যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিপুল টাকা খরচ হয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী প্রাথমিক অবস্থায় শুধু আবেদনও করতে পারেন না।
কামরুল হাসান সজীব আরও বলেন, ‘অনার্স-মাস্টার্স শেষে আমাদের যে শুধু একটা পরীক্ষায় বসতে হয়, এমন না। প্রতি মাসে আমাদের কয়েকটি পরীক্ষার জন্য ঢাকা যেতে হয়। সুতরাং, এত টাকা খরচ করে একটি পরীক্ষায় বসা আমাদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমরা বার কাউন্সিল পরীক্ষার আবেদন ফি কমিয়ে ৩০০ টাকা করার দাবি জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তাঁরা এ দাবি জানিয়ে আসছেন। এ দাবিতে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে একটি মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ৪ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ অযৌক্তিক ও নজিরবিহীন; যেখানে বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি চাকরির পরীক্ষায় আবেদন ফি ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। এমনকি বিসিএসের মতো পরীক্ষায় যাতে আঞ্চলিক কেন্দ্র থাকে, সেখানে অনেক বেশি খরচ হওয়ার কথা থাকলেও ২০০ টাকায় আবেদন করা যায়।
অন্যদিকে বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় আবেদন ফি বেশি দেওয়ার পরও ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। এতে যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিপুল টাকা খরচ হয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী প্রাথমিক অবস্থায় শুধু আবেদনও করতে পারেন না।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, একজন আইন গ্র্যাজুয়েটকে আইনজীবী হতে হলে প্রথমে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়, এতে ক্ষেত্রবিশেষে কমবেশি দুই হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়। ছয় মাস পরে ফরম ফিলাপের সুযোগ হয়, তখন পরীক্ষার্থীকে ৪০২০ টাকা প্রদান করতে হয়। তখন একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় বসতে পারে; যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
আবু সাঈদ আরও বলেন, ‘এত কিছুর পর প্রিলি, লিখিত, ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে কোয়ালিফাই করে একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে যখন বার অ্যাসোসিয়েশনগুলোয় সদস্য হতে যান, তখন তাঁকে আবারও বড় অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। কোনো কোনো সময় এটা ৬০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবীর ওপর এগুলো চরম মাত্রার জুলুম। তাই বার কাউন্সিল ইতিমধ্যে যে ফরম ফিলাপের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, সেটা সংশোধন করে ফরম ফিলাপের ফি যুক্তিসংগত মাত্রায় কমিয়ে এনে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।’
আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরুখ মাহমুদ বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরে বিসিএসের মতো পরীক্ষার ফি কমিয়ে ২০০ টাকাতে আনা হয়েছে। কিন্তু বার কাউন্সিলের পরীক্ষার ফি এখনো কমানো হয়নি। একটা সদ্য পাস করা আইনের ছাত্র যখন পড়াশোনা করে বের হয়, তখন প্রথম পরিচয় খোঁজে একজন আইনজীবী হওয়ার জন্য। এখন একটা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বা পাস করার জন্য যদি এত টাকা ফি দিতে হয়, তাহলে আইনের ছাত্রদের জন্য এটা লজ্জা ও অপমানজনক।’
বার কাউন্সিল পরীক্ষার বর্তমান ফি অযৌক্তিক ও নজিরবিহীন হিসেবে মনে করছেন আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং এই আন্দোলনের আহ্বায়ক কামরুল হাসান সজীব। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ৪ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ অযৌক্তিক ও নজিরবিহীন। এমনকি বিসিএসের মতো পরীক্ষায় যাতে আঞ্চলিক কেন্দ্র থাকে, সেখানে অনেক বেশি খরচ হওয়ার কথা থাকলেও ২০০ টাকায় আবেদন করা যায়। অন্যদিকে বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় আবেদন ফি বেশি ফি দেওয়ার পরও ঢাকায় গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। এতে যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিপুল টাকা খরচ হয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী প্রাথমিক অবস্থায় শুধু আবেদনও করতে পারেন না।
কামরুল হাসান সজীব আরও বলেন, ‘অনার্স-মাস্টার্স শেষে আমাদের যে শুধু একটা পরীক্ষায় বসতে হয়, এমন না। প্রতি মাসে আমাদের কয়েকটি পরীক্ষার জন্য ঢাকা যেতে হয়। সুতরাং, এত টাকা খরচ করে একটি পরীক্ষায় বসা আমাদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমরা বার কাউন্সিল পরীক্ষার আবেদন ফি কমিয়ে ৩০০ টাকা করার দাবি জানাচ্ছি।’
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
৫ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
২৬ মিনিট আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৪২ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন।
১ ঘণ্টা আগে