রাজশাহীতে বাঁধ সংস্কার
রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর একটি বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ১১০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই বাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রতি মিটারে খরচ ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ টাকা। আর প্রতি ফুটে খরচ পড়ছে ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকা। অভিযোগ উঠেছে, অতিরিক্ত বরাদ্দ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশ করে সরকারি অর্থ লুটপাট করা হচ্ছে।
নগরের শ্রীরামপুরে রাজশাহী পুলিশ লাইনসের ঠিক বিপরীতে এই সংস্কারকাজ চলছে। পুলিশ লাইনসের বিপরীত দিকেই রয়েছে কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। সেখান থেকে আরও পূর্বে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার বাসভবন। বাঁধের ওই স্থানে ভাঙন শুরু হলে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পদ্মার গর্ভে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে দু-এক বছর পরপরই পদ্মায় বর্ষার নতুন পানি আসার সময় বাঁধের ওই স্থানটিতে বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলতে দেখা যায়। এবারও বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাঁধের ঠিক বিপরীতে পুলিশ লাইনসের ভেতর রয়েছে একটি পুকুর। ২০০ মিটারের কম দূরত্বে পাশাপাশি দুটি জলাধার থাকলে মাটির নিচ দিয়ে পানি চলাচল হয়। এতে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বাঁধটি বারবার সংস্কার করতে হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, শ্রীরামপুর এলাকার টি-গ্রোয়েন থেকে কেশবপুর বটগাছ পর্যন্ত ১১০ মিটার বাঁধ রক্ষায় বরাদ্দ এসেছে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই প্রকল্পে বাঁধের ওপরের দিকে ১২ মিটার ব্লক এবং নিচে ১৫ মিটার বালুর বস্তা ফেলা হবে। ১ কোটি ৬২ লাখ টাকায় দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি দেওয়া হয়েছে খাজা তারেক নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।
গতকাল সোমবার সকালে বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের দক্ষিণ পাশে পদ্মায় বড় একটি চর জেগে উঠেছে। সেই চরের বালু বস্তায় ভরে নৌকায় করে এনে পাড়ে ফেলা হচ্ছে। প্রতিটি বালুর বস্তার জন্য শ্রমিকেরা ১৪ টাকা করে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন।
কাজ তদারকির জন্য ছিলেন পাউবোর কার্যসহকারী মাহবুব আলম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম। তাঁরা জানান, মোট ৩২ হাজার বালুর বস্তা ফেলা হবে। এর মধ্যে ডাম্পিংয়ে (পানির নিচে) থাকবে ২৬ হাজার ৫০০ বস্তা। আর স্লোপে (পানির ওপরে) থাকবে বাকি বস্তা। ওপরের দিকের কিছুটা অংশে থাকবে আগের পুরোনো কংক্রিটের ব্লক।
পাউবোর রাজশাহীর কয়েকজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অল্প একটু বাঁধ সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতি ফুটের জন্য ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকার অস্বাভাবিক বরাদ্দ দিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের।
জরুরি এই সংস্কারের প্রাক্কলন করেছিলেন রাজশাহী পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী আবু হুরায়রা। এ বিষয়ে মোবাইলে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো প্রশ্ন থাকলে তথ্য অধিকার আইনে ফরম পূরণ করে আবেদন দিতে হবে। এর বাইরে তিনি কথা বলতে পারবেন না।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলার সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘বারবার দেখি সংস্কারকাজ শুরু হয়। পানিতে কত বালুর বস্তা ফেলে তার কোনো হিসাব পাওয়া যায় না। এখনো ৫০ বছর আগের পরিকল্পনায় কাজ চলে। এগুলো বন্ধ করে পরিকল্পনামাফিক কাজ করা উচিত, যাতে ১০ বছর আর হাত দেওয়া না লাগে। এই কাজে অতিরিক্ত বরাদ্দ হয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।’
জানতে চাইলে রাজশাহী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ পেয়ে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকায় কাজ দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী সমাধান করতে গেলে প্রায় ১২ কোটি টাকা দরকার। একটা প্রকল্পের ভেতর এই অংশটুকু রেখে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। সেটি এখনো অনুমোদন হয়নি। তাই স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।’
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর একটি বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ১১০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই বাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রতি মিটারে খরচ ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ টাকা। আর প্রতি ফুটে খরচ পড়ছে ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকা। অভিযোগ উঠেছে, অতিরিক্ত বরাদ্দ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশ করে সরকারি অর্থ লুটপাট করা হচ্ছে।
নগরের শ্রীরামপুরে রাজশাহী পুলিশ লাইনসের ঠিক বিপরীতে এই সংস্কারকাজ চলছে। পুলিশ লাইনসের বিপরীত দিকেই রয়েছে কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। সেখান থেকে আরও পূর্বে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার বাসভবন। বাঁধের ওই স্থানে ভাঙন শুরু হলে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পদ্মার গর্ভে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে দু-এক বছর পরপরই পদ্মায় বর্ষার নতুন পানি আসার সময় বাঁধের ওই স্থানটিতে বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলতে দেখা যায়। এবারও বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাঁধের ঠিক বিপরীতে পুলিশ লাইনসের ভেতর রয়েছে একটি পুকুর। ২০০ মিটারের কম দূরত্বে পাশাপাশি দুটি জলাধার থাকলে মাটির নিচ দিয়ে পানি চলাচল হয়। এতে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বাঁধটি বারবার সংস্কার করতে হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, শ্রীরামপুর এলাকার টি-গ্রোয়েন থেকে কেশবপুর বটগাছ পর্যন্ত ১১০ মিটার বাঁধ রক্ষায় বরাদ্দ এসেছে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই প্রকল্পে বাঁধের ওপরের দিকে ১২ মিটার ব্লক এবং নিচে ১৫ মিটার বালুর বস্তা ফেলা হবে। ১ কোটি ৬২ লাখ টাকায় দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি দেওয়া হয়েছে খাজা তারেক নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।
গতকাল সোমবার সকালে বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের দক্ষিণ পাশে পদ্মায় বড় একটি চর জেগে উঠেছে। সেই চরের বালু বস্তায় ভরে নৌকায় করে এনে পাড়ে ফেলা হচ্ছে। প্রতিটি বালুর বস্তার জন্য শ্রমিকেরা ১৪ টাকা করে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন।
কাজ তদারকির জন্য ছিলেন পাউবোর কার্যসহকারী মাহবুব আলম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম। তাঁরা জানান, মোট ৩২ হাজার বালুর বস্তা ফেলা হবে। এর মধ্যে ডাম্পিংয়ে (পানির নিচে) থাকবে ২৬ হাজার ৫০০ বস্তা। আর স্লোপে (পানির ওপরে) থাকবে বাকি বস্তা। ওপরের দিকের কিছুটা অংশে থাকবে আগের পুরোনো কংক্রিটের ব্লক।
পাউবোর রাজশাহীর কয়েকজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অল্প একটু বাঁধ সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতি ফুটের জন্য ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকার অস্বাভাবিক বরাদ্দ দিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের।
জরুরি এই সংস্কারের প্রাক্কলন করেছিলেন রাজশাহী পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী আবু হুরায়রা। এ বিষয়ে মোবাইলে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো প্রশ্ন থাকলে তথ্য অধিকার আইনে ফরম পূরণ করে আবেদন দিতে হবে। এর বাইরে তিনি কথা বলতে পারবেন না।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলার সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘বারবার দেখি সংস্কারকাজ শুরু হয়। পানিতে কত বালুর বস্তা ফেলে তার কোনো হিসাব পাওয়া যায় না। এখনো ৫০ বছর আগের পরিকল্পনায় কাজ চলে। এগুলো বন্ধ করে পরিকল্পনামাফিক কাজ করা উচিত, যাতে ১০ বছর আর হাত দেওয়া না লাগে। এই কাজে অতিরিক্ত বরাদ্দ হয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।’
জানতে চাইলে রাজশাহী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ পেয়ে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকায় কাজ দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী সমাধান করতে গেলে প্রায় ১২ কোটি টাকা দরকার। একটা প্রকল্পের ভেতর এই অংশটুকু রেখে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। সেটি এখনো অনুমোদন হয়নি। তাই স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।’
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান সুজন খান (৪৮) নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানী মা সিএনজি পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালক সুজন খান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইল গ্রামের ইউনুছ খানের ছেলে।
৭ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
৪ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৫ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
৫ ঘণ্টা আগে