Ajker Patrika

এবার মেয়র হতে চান শাটারিং মিস্ত্রি শামা

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬: ০৩
এবার মেয়র হতে চান শাটারিং মিস্ত্রি শামা

রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৮ এপ্রিল। এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন আবু শামা নামের এক শাটারিং মিস্ত্রি। আবু শামা ও তাঁর ভাই শরীয়ত আলী সৈকতের বিরুদ্ধে জমি দখল, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বোমাবাজিসহ নানা অভিযোগ আছে। 

এ নিয়ে গত বছরের ৩ অক্টোবর আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘দুই ভাইয়ে তটস্থ কাটাখালীর সবাই’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। আবু শামা কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর তাঁর ভাই শরীয়ত সহসভাপতি। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে আবু শামা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তবে তা হয়নি। তাঁকে লড়তে হচ্ছে নারকেলগাছ প্রতীক নিয়ে। 

আবু শামা মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ায় উদ্বিগ্ন কাটাখালীর অনেকেই। আজ শনিবার বিকেলে রাজশাহী পাটকলের সামনের একটি চায়ের দোকানে এ নিয়েই আলাপ করছিলেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। বরকত আলী নামের এক ব্যক্তি বললেন, ‘শামা পড়াশোনা জানেন না। দলের প্রভাব খাঁটিয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হয়েছেন। এখন মেয়র হতে চান।’ 

পুলিশ জানিয়েছে, আবু শামার বিরুদ্ধে কাটাখালী ও মতিহার থানায় চারটি মামলা রয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মামলাগুলো হয়েছে। সবশেষ ২০২০ সালে কাটাখালী থানার মামলাটি হয়েছিল বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে। শামার ভাই শরীয়তের বিরুদ্ধেও কাটাখালী থানায় তিনটি ও মতিহার থানায় একটি মামলা আছে। তাঁর বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক আইনের মামলা চলমান। 

দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আনারকে কুপিয়ে হত্যারও অভিযোগ আছে। এ নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। ২০১৯ সালে নজরুল ইসলাম নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে গুলি করেন শরীয়ত। এ ঘটনারও মামলা আছে। 

স্থানীয়রা বলছে, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন ২০২২ সালের ২১ মার্চ শাটারিং মিস্ত্রি আবু শামাকে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি করেন। আর পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ভাই শরীয়তকে সহসভাপতি করেন শামা। শরীয়ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। দলে পদ পেয়ে দুই ভাই কাটাখালী এলাকায় রামরাজত্ব শুরু করেন। নিরীহ মানুষের জমি দখল, ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আটকে রেখে চাঁদা আদায়, মাছের আড়ত থেকে টাকা তোলাসহ নানা অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। প্রভাব খাঁটিয়ে পৌরসভার বালুমহালও নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন শরীয়ত। 

সর্বশেষ গত বছরের ৩ নভেম্বর আবু শামা অটোরিকশা থেকে নামিয়ে তাইজুল ইসলাম নামের এক কলেজছাত্রকে তাঁর কার্যালয়ে আটকে রাখেন। এরপর তাইজুলের বাবাকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তাইজুলের বাবা আবদুল হালিম ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তাঁকেও আটকে রাখা হয়। মারধর করা হয় বাবা-ছেলেকে। এ নিয়ে পরদিন আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘এবার আবু শামার শিকার বাবা-ছেলে’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে সেদিন বাবা-ছেলে মুক্তি পেলেও ভয়ে তাঁরা মামলা করতে পারেননি। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আয়েন উদ্দিনের জায়গায় দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছেন আসাদুজ্জামান আসাদ। নির্বাচনের পর আবু শামা এমপি আসাদের কাছে ভিড়ে গেছেন, তবে সুবিধা করতে পারেননি। বর্তমান এমপি তাঁর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সায় দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় মেয়র হয়ে নিজের প্রভাব ধরে রাখতে মরিয়া আবু শামা। প্রচার চলাকালে তিনি নানা রকম আপত্তিকর কথাবার্তা বলছেন এবং হুমকি দিচ্ছেন। 

মেয়র হতে আওয়ামী লীগের এই নেতা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গেও আপস করে বসেছিলেন। এই নির্বাচনে মোট আটজন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময় শেষেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৮ এপ্রিল প্রার্থিতা পান রাবেয়া সুলতানা মিতু। তাই আওয়ামী লীগ নেতা আবু শামা, জামায়াত নেতা আমীর আবদুল হাই, সাবেক শিবির নেতা মিজানুর রহমান, বিএনপির কর্মী জিয়াউর রহমানসহ অন্য সাত প্রার্থী সেদিনই রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে যান। 

তাঁরা দাবি করেন, মিতুকে প্রার্থিতা দেওয়া যাবে না। তাঁরা সাত প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। একজনকে যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করে দেওয়া হয়। 

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, এটি সম্ভব নয়। এ সময় আবু সামা রিটার্নিং কর্মকর্তা আজাদুল হেলালের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিকের সামনেই এ ঘটনা ঘটান তিনি। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা চান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। পরে অবশ্য এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

বিষয়টি জানতে চাইলে আবু শামা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো মিথ্যা। তিনি কোনো চাঁদাবাজি, জমি দখলের সঙ্গেও জড়িত নন। 

অন্যদিকে শামার ভাই শরীয়ত আলী বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট চাকরি করি। পাশাপাশি বালুঘাটে শেয়ার নিয়েছি। ভাইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাসাবাড়ির কাজ করি। এটাই আমাদের আয়ের উৎস। চাঁদাবাজি ও জমি দখলের সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফটিকছড়িতে মনোনয়ন না পাওয়ায় বিএনপির নেতার সমর্থকদের সড়ক অবরোধ

ফটিকছড়ি সংবাদদাতা
সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিএনপি নেতা কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার মনোনয়ন না পাওয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা।

আজ বিকেলে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এ সময় বিক্ষুব্ধরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এতে সড়কে যানজট তৈরি হয়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা সদরের দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রঘোষিত ৭ নভেম্বরের সংহতি দিবসের সভার আয়োজন করেন উপজেলা বিএনপি। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজিম উল্লাহ বাহার। একই সময় কার্যালয় থেকে ৫০০ গজ দূরে রাজঘাটে একই কর্মসূচি দেন বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সরোয়ার আলমগীরের অনুসারীরা। বিকেল থেকে উভয় পক্ষের অনুসারীরা দলে দলে নিজ নিজ সভাস্থলে যোগ দেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সরোয়ার আলমগীরের নেতৃত্বে একটি মিছিল বিবিরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করেন। কিছুক্ষণ পরেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে আজিম উল্লাহ বাহারের অনুসারীরা টিউব-টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। তাঁরা বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন করে আজিম উল্লাহ বাহারকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানান। খবর পেয়ে ফটিকছড়ি থানা ও নাজিরহাট হাইওয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজিম উল্লাহ বাহার বলেন, ‘আমরা সংহতি দিবসের সভাটি করে চলে যাই। পরে দলের নেতা-কর্মীরা আবেগের বশে কিছুটা বিশৃঙ্খলা করেন ও সড়কে নেমেছেন। পরে বুঝিয়ে তাদের ক্ষান্ত করি। পুলিশও এতে সহযোগিতা করেছেন।’

বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত সরওয়ার আলমগীর বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছেন ও থাকবেন। আবেগের বশে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা তো ঘটতেই পারে।’

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমদ বলেন, ‘সড়কে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখে আমরা সেখানে গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগে চাঁদা শামীম ওসমানের লোকেরা নিত, এখন অন্য কেউ: নুর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জে যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগে চাঁদা শামীম ওসমানের লোকেরা নিত; এখনো কেউ না কেউ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিবিরোধী যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের তারুণ্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছি, তা গণ-অভ্যুত্থানের পরের ১৫ মাসেও পূরণ হয়নি। আগামীতে বাংলাদেশ কোন দিকে এবং কীভাবে পরিচালিত হবে, তার ফয়সালা হবে এই নির্বাচনে।

‘তাই ছাত্র-জনতাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—আপনারা নির্বাচনে কাদের ভোট দেবেন। ভালো মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে দেশের ভালো হবে। পেশিশক্তি, কালোটাকার মাফিয়া ও দুর্বৃত্তদের পেছনে স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করার দিন শেষ।’

নুর আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে অসংখ্য সংগ্রামী ও সাহসী তরুণ রয়েছেন, যাঁরা শামীম ওসমানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হাসিনার পতনের জন্য লড়াই করেছেন। মানুষের সমর্থন পেলে তাঁরাই আগামী দিনের জনপ্রতিনিধি হবেন।

রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন দলের নেতারা মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই মাদকের ব্যবসা-বাণিজ্য চলে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায়। শুধু ব্যক্তি পাল্টায়, দৃশ্যপট পাল্টায় না।

‘নারায়ণগঞ্জের কলকারখানা ও শিল্পমালিকদের কাছ থেকে আগে শামীম ওসমানের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকেরা চাঁদা নিত। এখনো কেউ না কেউ চাঁদা নিচ্ছে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট দরকার। কিন্তু কেউ সেটি চায় না। কারণ, সবাই ভোটকেন্দ্র দখল করার জন্য, গুন্ডামি, মাস্তানি করার জন্য তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে চায়।’

এখন পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ কারও সঙ্গে নির্বাচনী জোট করেনি জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রব্যবস্থা ও দেশের পরিবর্তনের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা বিবেচনার পর আমরা জোটের কথা ভাবব।’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ সাব্বিরের সভাপতিত্বে ও ছাত্র অধিকারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান রাজের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ছয়জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ক্রীড়া সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন (৪৪), চাঁদপুর সদরের চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান মো. খান জাহান আলী ওরফে কালু পাটোয়ারী (৫৫), ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. মশিউর রহমান (৩২), খুলনা জেলার খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ (৫২), ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উপগ্রন্থাগার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক এবং মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক আলিম আল তারিফ (২৮) এবং আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু সুলতান (৪৫)।

ডিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ডিবি-তেজগাঁও বিভাগ তেজগাঁও থানাধীন মণিপুরিপাড়া এলাকা থেকে মো. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় খিলগাঁও থানাধীন নন্দীপাড়া ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে মো. খান জাহান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন রাতে পশ্চিম আগারগাঁও এলাকা থেকে মো. মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগ।

ডিবি-সাইবার বিভাগের আরেকটি দল বৃহস্পতিবার রাতে বসুন্ধরা এলাকা থেকে কাজী ফয়েজ আহমেদকে এবং ডেমরা থানা এলাকা থেকে মো. টিপু সুলতানকে গ্রেপ্তার করে। একই দল ওই দিবাগত রাতে লালবাগ থানা এলাকা থেকে আলিম আল তারিফকে গ্রেপ্তার করে। ডিবি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ১

সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
সিলেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার সকালে সিলেট নগরের মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে এ মিছিল হয়। মিছিলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। মিছিলে ১৫-২০ জন নেতা-কর্মীকে অংশ নিতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দিলওয়ার হোসেন রাহী আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁর ফেসবুক আইডিতে প্রথম মিছিলের ভিডিও প্রকাশ করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাহী। মিছিলে অংশ নেওয়া দু-তিনজন ছাড়া অধিকাংশ নেতা-কর্মীর মুখে কালো মাস্ক ও মাথায় হেলমেট ছিল। মিছিলে এমসি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টেলেন্ট কান্তি দাশকে দেখা যায়। আর বাকিদের চেনা যায়নি। মিছিলের ব্যানারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রনজিত সরকারের ছবি চোখে পড়ে। রাহী ও টেলেন্ট রনজিত সরকারের গ্রুপের নেতা ছিলেন।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মিছিলের পরে আমরা একজনকে আটক করেছি। বাকিদের ধরতে অভিযানে রয়েছি আমরা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত