গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
মাটি, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও তামাক চাষের দিকে ঝুঁকছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের চাষিরা। দেশি-বিদেশি টোব্যাকো কোম্পানির প্রলোভনে পড়ে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় বিষাক্ত তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে তারা। তামাক চাষের ফলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। এতে জমিতে অন্য ফসল চাষ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গোয়ালন্দ উপজেলার পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩ হেক্টর আবাদি জমিতে বিষাক্ত তামাক চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দুর্গম এলাকাগুলোতেও কৃষকেরা তামাক চাষ করছেন। উপজেলার এসব ইউনিয়নগুলোতে টোব্যাকো কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত মুনাফার লোভ দেখিয়ে চাষিদের দিয়ে তামাক চাষ করিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় তামাক চাষিরা জানান, জমিতে খাদ্য শস্য রোপণ করে খুব বেশি লাভবান হওয়া যায় না। প্রতি বিঘা জমিতে তামাক চাষে বীজ, সার, কীটনাশক ও পরিচর্যাসহ মোট ব্যয় হয় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। যার একটা অংশ সহজ শর্তে ব্যয় করে টোব্যাকো কোম্পানিগুলো।
উজানচর ইউনিয়নের নবুওছিমুদ্দি পাড়ার কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তামাক চাষে প্রচুর পরিশ্রম ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তবুও বিষাক্ত তামাক চাষ করছি। কারণ তামাক পাতা চাষ ও বিক্রি নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই এবং লোকসানেরও আশঙ্কা নেই।’
আরেক কৃষক হাসেম শেখ বলেন, ‘টোব্যাকো কোম্পানিগুলোর সার্বিক সহযোগিতায় দেড় বিঘা জমিতে তামাকের আবাদ করেছি। এতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তামাক বিক্রি করেছি ৯৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে থেকে টোব্যাকো কোম্পানির লোকজন কেটে রেখেছে ১২ হাজার টাকা। এরপরও লাভবান হয়েছি।’
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহ মো. শরীফ বলেন, ‘তামাক ও তামাকজাত পণ্য শরীরের জন্য ক্ষতিকর এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। তামাক থেকে জর্দা, গুল, বিড়ি, সিগারেটসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পণ্য তৈরি হয়। তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ব্যবহারের ফলে মুখে ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি হয়ে ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার মতো ঝুঁকিও থাকে। এছাড়াও যে এলাকায় তামাক চাষ হয়, তার আশপাশের মানুষেরও শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, ‘তামাক চাষিরা সিগারেট কোম্পানির সহযোগিতায় সাথী ফসলের সঙ্গে অধিক মুনাফার জন্য তামাক চাষ করছে। তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করার জন্য আমরা মাঠপর্যায়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি এবং কৃষকদের এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বোঝাচ্ছি। যাতে তারা তামাক চাষ বাদ দিয়ে খাদ্য শস্য চাষে ফিরে আসেন।’
মাটি, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও তামাক চাষের দিকে ঝুঁকছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের চাষিরা। দেশি-বিদেশি টোব্যাকো কোম্পানির প্রলোভনে পড়ে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় বিষাক্ত তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে তারা। তামাক চাষের ফলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। এতে জমিতে অন্য ফসল চাষ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গোয়ালন্দ উপজেলার পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩ হেক্টর আবাদি জমিতে বিষাক্ত তামাক চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দুর্গম এলাকাগুলোতেও কৃষকেরা তামাক চাষ করছেন। উপজেলার এসব ইউনিয়নগুলোতে টোব্যাকো কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত মুনাফার লোভ দেখিয়ে চাষিদের দিয়ে তামাক চাষ করিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় তামাক চাষিরা জানান, জমিতে খাদ্য শস্য রোপণ করে খুব বেশি লাভবান হওয়া যায় না। প্রতি বিঘা জমিতে তামাক চাষে বীজ, সার, কীটনাশক ও পরিচর্যাসহ মোট ব্যয় হয় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। যার একটা অংশ সহজ শর্তে ব্যয় করে টোব্যাকো কোম্পানিগুলো।
উজানচর ইউনিয়নের নবুওছিমুদ্দি পাড়ার কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তামাক চাষে প্রচুর পরিশ্রম ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তবুও বিষাক্ত তামাক চাষ করছি। কারণ তামাক পাতা চাষ ও বিক্রি নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই এবং লোকসানেরও আশঙ্কা নেই।’
আরেক কৃষক হাসেম শেখ বলেন, ‘টোব্যাকো কোম্পানিগুলোর সার্বিক সহযোগিতায় দেড় বিঘা জমিতে তামাকের আবাদ করেছি। এতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তামাক বিক্রি করেছি ৯৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে থেকে টোব্যাকো কোম্পানির লোকজন কেটে রেখেছে ১২ হাজার টাকা। এরপরও লাভবান হয়েছি।’
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহ মো. শরীফ বলেন, ‘তামাক ও তামাকজাত পণ্য শরীরের জন্য ক্ষতিকর এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। তামাক থেকে জর্দা, গুল, বিড়ি, সিগারেটসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পণ্য তৈরি হয়। তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ব্যবহারের ফলে মুখে ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি হয়ে ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার মতো ঝুঁকিও থাকে। এছাড়াও যে এলাকায় তামাক চাষ হয়, তার আশপাশের মানুষেরও শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, ‘তামাক চাষিরা সিগারেট কোম্পানির সহযোগিতায় সাথী ফসলের সঙ্গে অধিক মুনাফার জন্য তামাক চাষ করছে। তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করার জন্য আমরা মাঠপর্যায়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি এবং কৃষকদের এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বোঝাচ্ছি। যাতে তারা তামাক চাষ বাদ দিয়ে খাদ্য শস্য চাষে ফিরে আসেন।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘ভারত শেষ ট্রাম্পকার্ড খেলে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা পাহাড়ি-বাঙালিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। ভারত আমাদের এই পার্বত্য অঞ্চলকে কেড়ে নিতে চায়
৩ মিনিট আগেবগুড়ায় মহাসড়কে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে সদর উপজেলার বাঘোপাড়া খোলারঘর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৭ মিনিট আগেখাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের পর এবার আট দফা দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অবরোধ চলাকালে সব পর্যটন কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
৩৫ মিনিট আগেবাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) নতুন কার্যনির্বাহী (২০২৬-২৭) কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক (অনলাইন) সাহানোয়ার সাইদ শাহীন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ডিবিসি নিউজের সিনিয়র নিউজরুম এডিটর আবু খালিদ।
৩৮ মিনিট আগে