রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার নুরাল পাগলের আস্তানায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার আস্তানায় (দরবার শরিফ) তৌহিদী জনতার ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দাফন শরিয়ত পরিপন্থীভাবে দেওয়া হয়েছে, তিনি নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করেন—এমন অভিযোগে তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ থেকে আস্তানায় (দরবার শরিফ) হামলা হয়। এতে একজন নিহত এবং ১০-১২ জন পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার মাজার ভাঙচুরে ও কবর থেকে লাশ তুলে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একই সঙ্গে এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতা এবং প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বহীনতা ফুটে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছে দলটি।