কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় তৃতীয় পর্যায়ের চতুর্থ ধাপের আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে মাটি ও বালুর সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য বালু সংগ্রহ বিঘ্নিত হচ্ছে। সরকারি কাজে নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে গেলে উপজেলা প্রশাসনকে নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২০২১-২০২২ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ের চতুর্থ ধাপে ২০১টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। চতুর্থ ধাপে এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে উপজেলায় গৃহহীনের সংখ্যা অনেক কমে যাবে। এতে কলমাকান্দা উপজেলা ‘ক’ শ্রেণির ভূমি ও গৃহহীন ঘোষণার লক্ষ্যে উন্নীত হবে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংকটজনক পরিস্থিতি জানতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বালুর সংকট কাটাতে সীমান্তবর্তী গণেশ্বরী নদীর চর থেকে বালু সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে পাহাড়ধসে গণেশ্বরী নদী চড়ে পরিণত হয়েছে। সীমান্তবর্তী নদীর এই অংশে পানির ধারণক্ষমতা খুবই কম। পাহাড়ি ঢল ছাড়া এই নদীর তীরে কখনোই পানির চাপ পড়ে না। তাই লেংগুরা বাজারসংলগ্ন গণেশ্বরী নদীর ওপর রাবারড্যাম সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ সেতু সুইচগেট সিস্টেমে করা হয়েছে, যাতে নদীতে পানি ধরে রাখা যায়। এই সেতুর গেট শুধু পাহাড়ি ঢল এলে খোলা থাকে। লেঙ্গুরা থেকে ফুলবাড়ী পর্যন্ত আশপাশের স্থানীয়দের এই নদীর পানিই একমাত্র উৎসস্থল। বর্ষা শেষে যখন নদীটি শুকিয়ে যায়, সীমান্তবর্তী এই এলাকায় তখন পানির হাহাকার শুরু হয়। ব্যাহত হয় তাদের কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন জীবন। এই নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হলেও নদীতীরবর্তী মানুষ বা পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলে ধারণা স্থানীয়দের।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহনির্মাণের কাজে তিন-চার দিন নদী থেকে কিছু বালু সংগ্রহ করা হলেও তা নিয়ে হচ্ছে সমালোচনা। স্থানীয় কিছু সরকারবিরোধী চক্র বালু তোলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ফায়দা নিতে চাইছে। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে না পেরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উত্তোলিত বালু বিক্রি করা হচ্ছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে অনেক গণমাধ্যমকর্মী সঠিক তথ্য প্রতিবেদনে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। গণেশ্বরী নদীর তীরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৩টি ঘর নির্মাণ করে গৃহহীনদের হস্তান্তর করা হয়েছে। চতুর্থ ধাপে এরই পাশে আরও ১০টি ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। বালু উত্তোলনে নদীর তীরে কোনো ধরনের ভাঙন দেখা দেয়নি।
বালু উত্তোলন শ্রমিক শফিক মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় বালুর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। তাই এখানে ১০টি ঘর নির্মাণের জন্য নদী থেকে বালু তোলার কাজ নিয়েছি। স্থানীয়রা প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে সারা বছর বালু উত্তোলন করে। তখন কারও কোনো মাথাব্যথা থাকে না। সরকার অসহায়-গরিবরে ঘর বানাইয়া দিতাছে। সরকারি নদী থেকে সরকারের কাজে বালু তুলতে গিয়েও একটি চক্র বাধা সৃষ্টি করছে। তারা চায় না এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হোক। এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের বসবাস শুরু হওয়ায় চোরাকারবারিদের আগ্রাসন অনেকটাই কমে আসছে।’
গোরাগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল হেকিম বলেন, সরকারি কাজে বালু তুলছে বলে অনেকেই বাধা দিচ্ছে। এমনকি সাংবাদিকদের এনে বালু বিক্রির প্রচারণা চালাচ্ছে।
তিনি উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসককে লেঙ্গুরা বাজার থেকে সীমান্ত পর্যন্ত নদীটি গভীর করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন, যাতে বর্ষা শেষে তাদের পানির সংকট দেখা না দেয়। এতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বালুর সংকট ও স্থানীয়দের পানির সংকটও দূর হবে। এতে পাহাড়িদের কৃষিকাজ, গবাদিপশু ও দৈনন্দিন কাজে পানির ব্যবস্থা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজের জন্য বালুর সংকট রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত বাজেটের মধ্যে গৃহহীনদের জন্য সর্বোচ্চ ভালো মানের ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে।’
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় তৃতীয় পর্যায়ের চতুর্থ ধাপের আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে মাটি ও বালুর সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য বালু সংগ্রহ বিঘ্নিত হচ্ছে। সরকারি কাজে নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে গেলে উপজেলা প্রশাসনকে নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২০২১-২০২২ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ের চতুর্থ ধাপে ২০১টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। চতুর্থ ধাপে এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে উপজেলায় গৃহহীনের সংখ্যা অনেক কমে যাবে। এতে কলমাকান্দা উপজেলা ‘ক’ শ্রেণির ভূমি ও গৃহহীন ঘোষণার লক্ষ্যে উন্নীত হবে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংকটজনক পরিস্থিতি জানতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বালুর সংকট কাটাতে সীমান্তবর্তী গণেশ্বরী নদীর চর থেকে বালু সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে পাহাড়ধসে গণেশ্বরী নদী চড়ে পরিণত হয়েছে। সীমান্তবর্তী নদীর এই অংশে পানির ধারণক্ষমতা খুবই কম। পাহাড়ি ঢল ছাড়া এই নদীর তীরে কখনোই পানির চাপ পড়ে না। তাই লেংগুরা বাজারসংলগ্ন গণেশ্বরী নদীর ওপর রাবারড্যাম সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ সেতু সুইচগেট সিস্টেমে করা হয়েছে, যাতে নদীতে পানি ধরে রাখা যায়। এই সেতুর গেট শুধু পাহাড়ি ঢল এলে খোলা থাকে। লেঙ্গুরা থেকে ফুলবাড়ী পর্যন্ত আশপাশের স্থানীয়দের এই নদীর পানিই একমাত্র উৎসস্থল। বর্ষা শেষে যখন নদীটি শুকিয়ে যায়, সীমান্তবর্তী এই এলাকায় তখন পানির হাহাকার শুরু হয়। ব্যাহত হয় তাদের কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন জীবন। এই নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হলেও নদীতীরবর্তী মানুষ বা পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলে ধারণা স্থানীয়দের।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহনির্মাণের কাজে তিন-চার দিন নদী থেকে কিছু বালু সংগ্রহ করা হলেও তা নিয়ে হচ্ছে সমালোচনা। স্থানীয় কিছু সরকারবিরোধী চক্র বালু তোলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ফায়দা নিতে চাইছে। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে না পেরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উত্তোলিত বালু বিক্রি করা হচ্ছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে অনেক গণমাধ্যমকর্মী সঠিক তথ্য প্রতিবেদনে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। গণেশ্বরী নদীর তীরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৩টি ঘর নির্মাণ করে গৃহহীনদের হস্তান্তর করা হয়েছে। চতুর্থ ধাপে এরই পাশে আরও ১০টি ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। বালু উত্তোলনে নদীর তীরে কোনো ধরনের ভাঙন দেখা দেয়নি।
বালু উত্তোলন শ্রমিক শফিক মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় বালুর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। তাই এখানে ১০টি ঘর নির্মাণের জন্য নদী থেকে বালু তোলার কাজ নিয়েছি। স্থানীয়রা প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে সারা বছর বালু উত্তোলন করে। তখন কারও কোনো মাথাব্যথা থাকে না। সরকার অসহায়-গরিবরে ঘর বানাইয়া দিতাছে। সরকারি নদী থেকে সরকারের কাজে বালু তুলতে গিয়েও একটি চক্র বাধা সৃষ্টি করছে। তারা চায় না এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হোক। এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের বসবাস শুরু হওয়ায় চোরাকারবারিদের আগ্রাসন অনেকটাই কমে আসছে।’
গোরাগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল হেকিম বলেন, সরকারি কাজে বালু তুলছে বলে অনেকেই বাধা দিচ্ছে। এমনকি সাংবাদিকদের এনে বালু বিক্রির প্রচারণা চালাচ্ছে।
তিনি উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসককে লেঙ্গুরা বাজার থেকে সীমান্ত পর্যন্ত নদীটি গভীর করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন, যাতে বর্ষা শেষে তাদের পানির সংকট দেখা না দেয়। এতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বালুর সংকট ও স্থানীয়দের পানির সংকটও দূর হবে। এতে পাহাড়িদের কৃষিকাজ, গবাদিপশু ও দৈনন্দিন কাজে পানির ব্যবস্থা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজের জন্য বালুর সংকট রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত বাজেটের মধ্যে গৃহহীনদের জন্য সর্বোচ্চ ভালো মানের ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে।’
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তবে বয়স ২৩-২৪-এর আশপাশে। এখনো জ্ঞান ফেরেনি তাঁর। এ বিষয়ে আঞ্জুমানে রহমানিয়া ট্রাস্টের (জুলুস আয়োজক) মিডিয়া টিমের সমন্বয়ক আবু তালেব বলেন, ‘মানুষের ভিড়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন নিচে পড়ে যান।
৭ ঘণ্টা আগে‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না।’ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম-৫ আ
৭ ঘণ্টা আগেবান্দরবান শহরের পুলিশ লাইনসের চারতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে রাশেদুল ইসলাম (২৮) নামে এক পুলিশ সদস্য আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
৮ ঘণ্টা আগেক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৯ জনকে সিসা বার পরিচালনার অভিযোগের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৮ ঘণ্টা আগে