নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ত্বকী হত্যা নিয়ে অনেকে স্বার্থান্বেষী কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান। শিগগিরই সব তথ্য-প্রমাণ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ফতুল্লা স্টেডিয়াম সংলগ্ন নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন শামীম ওসমান। সদর উপজেলার অন্তর্গত ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
শামীম ওসমান বলেন, ‘রাস্তার পাশে ১০ জন নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আমার চৌদ্দগোষ্ঠীকে উদ্ধার করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যা নিয়ে দোকানদারি করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তথ্য প্রমাণসহ যতটুকু আমি জানি তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করব। আমি দাবি করব হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন ত্বরিৎ গতিতে হয়। আর যারা মানুষের জমি দখল করে খায়, ভূমিদস্যু, ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে নাই, দুর্নীতি করে বাড়ি বানান আর মহারানি সাজেন, পেছন থেকে চাবি দেন তাঁদের বলছি, ধৈর্যের একটি সীমা আছে।’
সব হত্যার বিচার চান উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার ২০ জনকে হত্যা করেছে, বিচার পাই নাই। আমার পারভেজ ও মাকসুদকে কারা হত্যা করেছে সেটা আমি জানতে চাইব। তাই বলব, অত বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। যাতে জনগণ ক্ষেপে না যায়। জনগণ ক্ষেপে গেলে সুখকর হবে না। আমি অচিরেই মূল তথ্য প্রমাণসহ দ্রুত সকলকে জানাব। আমাদের কর্মীরা সকলে ক্ষেপে আছেন, তাঁদের রাগ উঠে গেছে। তাঁরা উত্তেজিত। বিভিন্ন সময়ে খারাপ কথা বলা হচ্ছে। আমাদের লোকজন প্রচণ্ড রাগান্বিত, তাঁদের বলছি ধৈর্য ধরে থাকেন। আগে সংবাদ সম্মেলনটি করি। তখন সব বলে দিব।’
ত্বকী হত্যা মামলার বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘এক খসড়া চার্জশিটের কথা বারবার বলা হচ্ছে। কিন্তু আদৌ কিছু নাই। যারা ওই সময়ে র্যাবের কর্মকর্তারা এটা তদন্ত করেছিল, তাদের প্রধান সাত খুন মামলায় এখন কারাগারে। মেজর আরিফ কার সঙ্গে কথা বলেছিল কার সঙ্গে কন্ট্রাক্ট করেছিল সবই আমি জানি। কিছু বলি না কারণ আল্লাহর পথে চলে গেছি। ক্ষমাও করতাছি, ধৈর্য ধরতাছি। আল্লাহ এও বলেছেন, নাকের বদলে নাক, চোখের বদলে চোখ। যদি আগেরটা বেছে নেই তাহলে নারায়ণগঞ্জে কেউ পাঁচ মিনিটও দাঁড়াতে পারবে না। আমার কিছু করতে হবে না। জনগণই জবাব দিবে। কারণ জনগণের ওপরে কারও কোনো শক্তি নাই।’
উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘এখানে উপস্থিত সবাই আওয়ামী লীগ করেন না। এখানে অনেকে অন্য দলের আছেন। আমার কাছে এটা বিষয় না। আপনারা সবাই জনগণের প্রতিনিধি। আপনারা নির্বাচনের আগে অনেক কথা বলেছেন। একজন মেম্বারের কিছু করার ক্ষমতা নেই যদি চেয়ারম্যান সাপোর্ট না দেয়। আবার চেয়ারম্যানরা এমপি ছাড়া কিছু করতে পারবেন না। আপনারা যদি ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য এখানে এসে থাকেন তাহলে আসসালামু আলাইকুম। আমি আপনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াব। নারায়ণগঞ্জে যত বড় বড় কাজ হয়েছে, এগুলোর নব্বই ভাগ আমাদের দ্বারা হয়েছে। লিংক রোড, স্টেডিয়াম, পঞ্চবটী থেকে মুন্সিগঞ্জ ফ্লাইওভার হবে, ডিএনডি প্রজেক্ট হয়েছে, সব এলাকাতেই রাস্তা হয়েছে। আমি যে পরিমাণ রাস্তার কাজ এনেছি, অন্য চারটা এলাকার এমপি মিলিয়ে সেটা আনতে পারেনি। আপনাদের কাজ আদায় করে নিতে হবে আমার কাছ থেকে।’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘আমি কাজ এনে দেব, কাজের চিন্তা করবেন না। কুতুবপুরের সেন্টু আগে অন্য দল (বিএনপি) করত, আরও আগে সে আওয়ামী লীগে আসতে চেয়েছিল। আমি বলেছি আগে কাজ করতে থাকো। কেউ মুখে দলে যোগ দিবে মন থেকে নয়, তা দরকার নেই। আমি চাচ্ছি মেম্বাররা প্রয়োজন অনুসারে লিস্ট করেন। আপনার এলাকার কাজগুলো চিহ্নিত করেন। কাজ সাজিয়ে ফাইল আমাকে জমা দিন। এতে করে আমার মাথায় থাকবে কাজগুলো কী কী।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুতফর রহমান স্বপন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুলাহ বাদল, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী।

ত্বকী হত্যা নিয়ে অনেকে স্বার্থান্বেষী কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান। শিগগিরই সব তথ্য-প্রমাণ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ফতুল্লা স্টেডিয়াম সংলগ্ন নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন শামীম ওসমান। সদর উপজেলার অন্তর্গত ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
শামীম ওসমান বলেন, ‘রাস্তার পাশে ১০ জন নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আমার চৌদ্দগোষ্ঠীকে উদ্ধার করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যা নিয়ে দোকানদারি করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তথ্য প্রমাণসহ যতটুকু আমি জানি তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করব। আমি দাবি করব হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন ত্বরিৎ গতিতে হয়। আর যারা মানুষের জমি দখল করে খায়, ভূমিদস্যু, ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে নাই, দুর্নীতি করে বাড়ি বানান আর মহারানি সাজেন, পেছন থেকে চাবি দেন তাঁদের বলছি, ধৈর্যের একটি সীমা আছে।’
সব হত্যার বিচার চান উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার ২০ জনকে হত্যা করেছে, বিচার পাই নাই। আমার পারভেজ ও মাকসুদকে কারা হত্যা করেছে সেটা আমি জানতে চাইব। তাই বলব, অত বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। যাতে জনগণ ক্ষেপে না যায়। জনগণ ক্ষেপে গেলে সুখকর হবে না। আমি অচিরেই মূল তথ্য প্রমাণসহ দ্রুত সকলকে জানাব। আমাদের কর্মীরা সকলে ক্ষেপে আছেন, তাঁদের রাগ উঠে গেছে। তাঁরা উত্তেজিত। বিভিন্ন সময়ে খারাপ কথা বলা হচ্ছে। আমাদের লোকজন প্রচণ্ড রাগান্বিত, তাঁদের বলছি ধৈর্য ধরে থাকেন। আগে সংবাদ সম্মেলনটি করি। তখন সব বলে দিব।’
ত্বকী হত্যা মামলার বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘এক খসড়া চার্জশিটের কথা বারবার বলা হচ্ছে। কিন্তু আদৌ কিছু নাই। যারা ওই সময়ে র্যাবের কর্মকর্তারা এটা তদন্ত করেছিল, তাদের প্রধান সাত খুন মামলায় এখন কারাগারে। মেজর আরিফ কার সঙ্গে কথা বলেছিল কার সঙ্গে কন্ট্রাক্ট করেছিল সবই আমি জানি। কিছু বলি না কারণ আল্লাহর পথে চলে গেছি। ক্ষমাও করতাছি, ধৈর্য ধরতাছি। আল্লাহ এও বলেছেন, নাকের বদলে নাক, চোখের বদলে চোখ। যদি আগেরটা বেছে নেই তাহলে নারায়ণগঞ্জে কেউ পাঁচ মিনিটও দাঁড়াতে পারবে না। আমার কিছু করতে হবে না। জনগণই জবাব দিবে। কারণ জনগণের ওপরে কারও কোনো শক্তি নাই।’
উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘এখানে উপস্থিত সবাই আওয়ামী লীগ করেন না। এখানে অনেকে অন্য দলের আছেন। আমার কাছে এটা বিষয় না। আপনারা সবাই জনগণের প্রতিনিধি। আপনারা নির্বাচনের আগে অনেক কথা বলেছেন। একজন মেম্বারের কিছু করার ক্ষমতা নেই যদি চেয়ারম্যান সাপোর্ট না দেয়। আবার চেয়ারম্যানরা এমপি ছাড়া কিছু করতে পারবেন না। আপনারা যদি ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য এখানে এসে থাকেন তাহলে আসসালামু আলাইকুম। আমি আপনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াব। নারায়ণগঞ্জে যত বড় বড় কাজ হয়েছে, এগুলোর নব্বই ভাগ আমাদের দ্বারা হয়েছে। লিংক রোড, স্টেডিয়াম, পঞ্চবটী থেকে মুন্সিগঞ্জ ফ্লাইওভার হবে, ডিএনডি প্রজেক্ট হয়েছে, সব এলাকাতেই রাস্তা হয়েছে। আমি যে পরিমাণ রাস্তার কাজ এনেছি, অন্য চারটা এলাকার এমপি মিলিয়ে সেটা আনতে পারেনি। আপনাদের কাজ আদায় করে নিতে হবে আমার কাছ থেকে।’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘আমি কাজ এনে দেব, কাজের চিন্তা করবেন না। কুতুবপুরের সেন্টু আগে অন্য দল (বিএনপি) করত, আরও আগে সে আওয়ামী লীগে আসতে চেয়েছিল। আমি বলেছি আগে কাজ করতে থাকো। কেউ মুখে দলে যোগ দিবে মন থেকে নয়, তা দরকার নেই। আমি চাচ্ছি মেম্বাররা প্রয়োজন অনুসারে লিস্ট করেন। আপনার এলাকার কাজগুলো চিহ্নিত করেন। কাজ সাজিয়ে ফাইল আমাকে জমা দিন। এতে করে আমার মাথায় থাকবে কাজগুলো কী কী।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুতফর রহমান স্বপন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুলাহ বাদল, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা সত্ত্বেও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত মনোনয়ন না পাওয়াদের কোনো খোঁজখবর নেননি। উল্টো প্রার্থীদের অনুসারীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করায় মনোনয়ন না পাওয়াদের সমর্থকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জেলার পাঁচটি আসনে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনে দলীয়
৩৮ মিনিট আগে
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল নিজেই এখন ‘রোগী’। ধারণক্ষমতার তিন গুণ রোগীর চাপ, চরম অপরিষ্কার পরিবেশ আর জনবল-সংকটে এই সেবাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে। শয্যার অভাবে গুরুতর রোগী ও শিশুদের এখন গাছের নিচে রিকশাভ্যানে শুয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে।
৪৪ মিনিট আগে
ভোলা-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর ভোলা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের ছোট ভাই। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন গোলাম নবী আলমগীর। স্থানীয় পর্যায়ে তাঁর জনপ্রিয়তা ও
২ ঘণ্টা আগে
বরগুনার পাথরঘাটায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে চোখে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে পাথরঘাটা বাজারের একই পরিবারের তিন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমড়াতলা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেখান রফিক, বরিশাল

জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ঘোষণার পর বরিশালে বিএনপির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকাংশে পাল্টে গেছে। জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও মনোনয়ন না পাওয়াদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা। মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির প্রার্থীদের বাসাবাড়িতে এখন নেতা-কর্মীদের ঢল। অপর দিকে মনোনয়ন না পাওয়া ব্যক্তিরা অনেকটা চুপ হয়ে গেছেন।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা সত্ত্বেও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত মনোনয়ন না পাওয়াদের কোনো খোঁজখবর নেননি। উল্টো প্রার্থীদের অনুসারীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করায় মনোনয়ন না পাওয়াদের সমর্থকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জেলার পাঁচটি আসনে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনে দলীয় ঐক্য কতটা ধরে রাখতে পারবে বিএনপি, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। একই চিত্র জেলার পাঁচটি আসনে।
মনোনয়ন-পরবর্তী পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত বরিশাল-৫ (সদর) আসনে। এই আসনে দলের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার মনোনয়ন পেয়েছেন। সোমবার রাতে সরোয়ারের অনুসারী আক্তারুজ্জামান সাব্বির মোটরসাইকেল বহর নিয়ে নগরীতে মহড়া দিয়েছেন।
বরিশাল-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা ছিল, যিনি মনোনয়ন পাবেন তিনি মনোনয়ন না পাওয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোলাকুলি করবেন। কিন্তু সরোয়ার ভাই সেটা করেননি, বরং তাঁর লোকজন মোটরসাইকেল মহড়ায় নগরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। সাধারণ নেতা-কর্মীরা হতাশাগ্রস্ত এবং অস্বস্তিতে পড়েছেন।’
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিন একই অভিযোগ করে বলেন, তারেক রহমানের স্কাইপি সভা অনুযায়ী সবাই মিলেমিশে কাজ করার আশা থাকলেও সরোয়ার কোনো খোঁজ নেননি।
বরিশাল-৫ আসনে মনোনয়ন না পাওয়া নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলকে ছোট করতে পারি না, তাই প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছি। এখন তো প্রার্থীর দায়িত্ব। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তিনি যাঁরা পাবেন না তাঁদের বাসায় যাবেন, তাঁদের নিয়ে কাজ করবেন। মনোনয়ন পেয়ে মিস্টি বিতরণ, ফুর্তি করা যাবে না। কিন্তু তারা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করে। এমন কথা তো ছিল না।’ ফারুক বলেন, ‘সরোয়ার ভাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, বাসায়ও আসেননি। আমরা মহানগরের দায়িত্বে। আমরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। কারও মনে ক্ষোভ থাকলেও কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি।’
এ বিষয়ে জানতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারকে ফোন করা হলে তিনি ‘একটি সভায় আছেন, পরে কথা বলবেন’ বলে জানান।
তবে সরোয়ারের ঘনিষ্ঠজন নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আকবর বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে সরোয়ার ভাই আছেন। সামনের দিনগুলোতে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর সরোয়ার ভাইয়ের বাসায় মানুষের ঢল নেমেছে। একের পর এক সভার কারণে তিনি সময়ই পাচ্ছেন না।’
এদিকে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন। সোমবার সন্ধ্যায় স্বপনের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম রোকন লোকজন নিয়ে গৌরনদীতে একটি দোকানে মহড়া দিয়ে এসেছেন। ওই দোকানের মালিক এবং সাংবাদিক মিজান সস্প্রতি রোকনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার জেরে এই মহড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বরিশাল-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সস্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। তিনি হুমকির কথা শিকার করে জানান, রোকন স্থনীয় সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছে। স্বপন ভাই যোগাযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফোন দিয়ে তাঁকে বলেছেন, ‘আমি তোমাকে ডাকব।’
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।’ মেজবাহ বলেন, এই আসনে যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, সেই প্রার্থী কোনো খোঁজ নেননি তাঁর।
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল হোসেন। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশী নজরুল ইসলাম রাজন বলেন, ‘আমি অভিনন্দন জানিয়েছি ফেসবুকে। কিন্তু আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’
এসব বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সস্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘আসলে এটা নেতাদের মনমানসিকতার বিষয়। কষ্ট যখন পায়, সান্ত্বনা তখনই দরকার হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছেন, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তিনি না পাওয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুকে টেনে নেবেন। এখানে সব আসনে প্রার্থীরা চেয়ারম্যানের নির্দেশ মানেননি। বরিশাল মহানগর বিএনপি সরোয়ারকে অভিনন্দন জানালেও তিনি (সরোয়ার) নির্লিপ্ত। আশা করি, প্রার্থীদের ঘুম ভাঙবে।’

জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ঘোষণার পর বরিশালে বিএনপির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকাংশে পাল্টে গেছে। জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও মনোনয়ন না পাওয়াদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা। মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির প্রার্থীদের বাসাবাড়িতে এখন নেতা-কর্মীদের ঢল। অপর দিকে মনোনয়ন না পাওয়া ব্যক্তিরা অনেকটা চুপ হয়ে গেছেন।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা সত্ত্বেও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত মনোনয়ন না পাওয়াদের কোনো খোঁজখবর নেননি। উল্টো প্রার্থীদের অনুসারীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করায় মনোনয়ন না পাওয়াদের সমর্থকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জেলার পাঁচটি আসনে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনে দলীয় ঐক্য কতটা ধরে রাখতে পারবে বিএনপি, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। একই চিত্র জেলার পাঁচটি আসনে।
মনোনয়ন-পরবর্তী পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত বরিশাল-৫ (সদর) আসনে। এই আসনে দলের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার মনোনয়ন পেয়েছেন। সোমবার রাতে সরোয়ারের অনুসারী আক্তারুজ্জামান সাব্বির মোটরসাইকেল বহর নিয়ে নগরীতে মহড়া দিয়েছেন।
বরিশাল-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা ছিল, যিনি মনোনয়ন পাবেন তিনি মনোনয়ন না পাওয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোলাকুলি করবেন। কিন্তু সরোয়ার ভাই সেটা করেননি, বরং তাঁর লোকজন মোটরসাইকেল মহড়ায় নগরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। সাধারণ নেতা-কর্মীরা হতাশাগ্রস্ত এবং অস্বস্তিতে পড়েছেন।’
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহিন একই অভিযোগ করে বলেন, তারেক রহমানের স্কাইপি সভা অনুযায়ী সবাই মিলেমিশে কাজ করার আশা থাকলেও সরোয়ার কোনো খোঁজ নেননি।
বরিশাল-৫ আসনে মনোনয়ন না পাওয়া নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলকে ছোট করতে পারি না, তাই প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছি। এখন তো প্রার্থীর দায়িত্ব। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তিনি যাঁরা পাবেন না তাঁদের বাসায় যাবেন, তাঁদের নিয়ে কাজ করবেন। মনোনয়ন পেয়ে মিস্টি বিতরণ, ফুর্তি করা যাবে না। কিন্তু তারা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করে। এমন কথা তো ছিল না।’ ফারুক বলেন, ‘সরোয়ার ভাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, বাসায়ও আসেননি। আমরা মহানগরের দায়িত্বে। আমরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। কারও মনে ক্ষোভ থাকলেও কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি।’
এ বিষয়ে জানতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারকে ফোন করা হলে তিনি ‘একটি সভায় আছেন, পরে কথা বলবেন’ বলে জানান।
তবে সরোয়ারের ঘনিষ্ঠজন নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আকবর বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে সরোয়ার ভাই আছেন। সামনের দিনগুলোতে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর সরোয়ার ভাইয়ের বাসায় মানুষের ঢল নেমেছে। একের পর এক সভার কারণে তিনি সময়ই পাচ্ছেন না।’
এদিকে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন। সোমবার সন্ধ্যায় স্বপনের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম রোকন লোকজন নিয়ে গৌরনদীতে একটি দোকানে মহড়া দিয়ে এসেছেন। ওই দোকানের মালিক এবং সাংবাদিক মিজান সস্প্রতি রোকনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার জেরে এই মহড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বরিশাল-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সস্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। তিনি হুমকির কথা শিকার করে জানান, রোকন স্থনীয় সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছে। স্বপন ভাই যোগাযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফোন দিয়ে তাঁকে বলেছেন, ‘আমি তোমাকে ডাকব।’
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।’ মেজবাহ বলেন, এই আসনে যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, সেই প্রার্থী কোনো খোঁজ নেননি তাঁর।
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল হোসেন। তবে মনোনয়নপ্রত্যাশী নজরুল ইসলাম রাজন বলেন, ‘আমি অভিনন্দন জানিয়েছি ফেসবুকে। কিন্তু আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’
এসব বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সস্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘আসলে এটা নেতাদের মনমানসিকতার বিষয়। কষ্ট যখন পায়, সান্ত্বনা তখনই দরকার হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছেন, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তিনি না পাওয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুকে টেনে নেবেন। এখানে সব আসনে প্রার্থীরা চেয়ারম্যানের নির্দেশ মানেননি। বরিশাল মহানগর বিএনপি সরোয়ারকে অভিনন্দন জানালেও তিনি (সরোয়ার) নির্লিপ্ত। আশা করি, প্রার্থীদের ঘুম ভাঙবে।’

সব হত্যার বিচার চান উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার ২০ জনকে হত্যা করেছে, বিচার পাই নাই। আমার পারভেজ ও মাকসুদকে কারা হত্যা করেছে সেটা আমি জানতে চাইব। তাই বলব, অত বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। যাতে জনগণ ক্ষেপে না যায়।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল নিজেই এখন ‘রোগী’। ধারণক্ষমতার তিন গুণ রোগীর চাপ, চরম অপরিষ্কার পরিবেশ আর জনবল-সংকটে এই সেবাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে। শয্যার অভাবে গুরুতর রোগী ও শিশুদের এখন গাছের নিচে রিকশাভ্যানে শুয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে।
৪৪ মিনিট আগে
ভোলা-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর ভোলা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের ছোট ভাই। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন গোলাম নবী আলমগীর। স্থানীয় পর্যায়ে তাঁর জনপ্রিয়তা ও
২ ঘণ্টা আগে
বরগুনার পাথরঘাটায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে চোখে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে পাথরঘাটা বাজারের একই পরিবারের তিন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমড়াতলা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেসাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল নিজেই এখন ‘রোগী’। ধারণক্ষমতার তিন গুণ রোগীর চাপ, চরম অপরিষ্কার পরিবেশ আর জনবল-সংকটে এই সেবাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে। শয্যার অভাবে গুরুতর রোগী ও শিশুদের এখন গাছের নিচে রিকশাভ্যানে শুয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডে ঠাঁই না পেয়ে গাছের নিচে রিকশাভ্যানে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে এক শিশু। তার নানি লিপি বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘ভেতরে এত দুর্গন্ধ যে নাক চেপেও থাকা যায় না। নাতি কান্না করায় ওয়ার্ড ছেড়ে বাইরে এসে চিকিৎসা নিচ্ছি।’
সদর উপজেলার সুলতানা, বীরগঞ্জ উপজেলার জরিনা বেগমসহ অন্য রোগী ও স্বজনদের একই অভিযোগ—নোংরা পরিবেশ, শয্যার অভাব এবং হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও পরীক্ষার সুযোগ না পাওয়ায় তাঁদের বাইরে ছুটতে হচ্ছে।
হাসপাতালের করিডর, বাথরুম, এমনকি ওয়ার্ডেও বিরাজ করছে চরম অপরিষ্কার পরিবেশ। শিশু ওয়ার্ডে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা রানী জানান, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাবে দুর্গন্ধে তাঁদের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। ৪৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে বর্তমানে ভর্তি রয়েছে প্রায় ১৬০ জন শিশু, যাদের অধিকাংশই শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৬৭ শিশু, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণও দেখা যায়। রোগী ও স্বজনেরা অভিযোগ করছেন, নোংরা পরিবেশে সুস্থ হতে এসে উল্টো অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
গুরুতর অব্যবস্থাপনার কারণে হাসপাতালের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র), ডায়ালাইসিস ইউনিট, পিসিআর ল্যাবের জন্য স্থান প্রস্তুত থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবলের অভাবে সেগুলো তালাবদ্ধ। দুটি লিফটের মধ্যে একটি নষ্ট থাকায় গুরুতর রোগী ও বয়স্কদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ হাসপাতালটি শুধু ঠাকুরগাঁওয়ের নয়, পঞ্চগড়, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, কাহারোলসহ ১২ উপজেলার মানুষের একমাত্র ভরসা। কিন্তু অতিরিক্ত রোগীর চাপ আর জনবল-সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে। হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, মোট অনুমোদিত পদ ২২১টি, যার মধ্যে ৫৬টিই শূন্য। ৫৯ জন প্রথম শ্রেণির চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত মাত্র ৪০ জন। ২৫০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘রোগীর চাপ আমাদের সক্ষমতার অনেক বেশি। এক শিফটে ২০-২৫ জন নার্স দিয়ে ৬০০-৭০০ রোগীর সেবা দেওয়া অসম্ভব। তবু আমরা সাধ্য অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি।’

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল নিজেই এখন ‘রোগী’। ধারণক্ষমতার তিন গুণ রোগীর চাপ, চরম অপরিষ্কার পরিবেশ আর জনবল-সংকটে এই সেবাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে। শয্যার অভাবে গুরুতর রোগী ও শিশুদের এখন গাছের নিচে রিকশাভ্যানে শুয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডে ঠাঁই না পেয়ে গাছের নিচে রিকশাভ্যানে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে এক শিশু। তার নানি লিপি বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘ভেতরে এত দুর্গন্ধ যে নাক চেপেও থাকা যায় না। নাতি কান্না করায় ওয়ার্ড ছেড়ে বাইরে এসে চিকিৎসা নিচ্ছি।’
সদর উপজেলার সুলতানা, বীরগঞ্জ উপজেলার জরিনা বেগমসহ অন্য রোগী ও স্বজনদের একই অভিযোগ—নোংরা পরিবেশ, শয্যার অভাব এবং হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও পরীক্ষার সুযোগ না পাওয়ায় তাঁদের বাইরে ছুটতে হচ্ছে।
হাসপাতালের করিডর, বাথরুম, এমনকি ওয়ার্ডেও বিরাজ করছে চরম অপরিষ্কার পরিবেশ। শিশু ওয়ার্ডে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা রানী জানান, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাবে দুর্গন্ধে তাঁদের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। ৪৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে বর্তমানে ভর্তি রয়েছে প্রায় ১৬০ জন শিশু, যাদের অধিকাংশই শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৬৭ শিশু, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণও দেখা যায়। রোগী ও স্বজনেরা অভিযোগ করছেন, নোংরা পরিবেশে সুস্থ হতে এসে উল্টো অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
গুরুতর অব্যবস্থাপনার কারণে হাসপাতালের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র), ডায়ালাইসিস ইউনিট, পিসিআর ল্যাবের জন্য স্থান প্রস্তুত থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবলের অভাবে সেগুলো তালাবদ্ধ। দুটি লিফটের মধ্যে একটি নষ্ট থাকায় গুরুতর রোগী ও বয়স্কদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ হাসপাতালটি শুধু ঠাকুরগাঁওয়ের নয়, পঞ্চগড়, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, কাহারোলসহ ১২ উপজেলার মানুষের একমাত্র ভরসা। কিন্তু অতিরিক্ত রোগীর চাপ আর জনবল-সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে। হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, মোট অনুমোদিত পদ ২২১টি, যার মধ্যে ৫৬টিই শূন্য। ৫৯ জন প্রথম শ্রেণির চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত মাত্র ৪০ জন। ২৫০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘রোগীর চাপ আমাদের সক্ষমতার অনেক বেশি। এক শিফটে ২০-২৫ জন নার্স দিয়ে ৬০০-৭০০ রোগীর সেবা দেওয়া অসম্ভব। তবু আমরা সাধ্য অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি।’

সব হত্যার বিচার চান উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার ২০ জনকে হত্যা করেছে, বিচার পাই নাই। আমার পারভেজ ও মাকসুদকে কারা হত্যা করেছে সেটা আমি জানতে চাইব। তাই বলব, অত বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। যাতে জনগণ ক্ষেপে না যায়।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা সত্ত্বেও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত মনোনয়ন না পাওয়াদের কোনো খোঁজখবর নেননি। উল্টো প্রার্থীদের অনুসারীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করায় মনোনয়ন না পাওয়াদের সমর্থকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জেলার পাঁচটি আসনে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনে দলীয়
৩৮ মিনিট আগে
ভোলা-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর ভোলা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের ছোট ভাই। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন গোলাম নবী আলমগীর। স্থানীয় পর্যায়ে তাঁর জনপ্রিয়তা ও
২ ঘণ্টা আগে
বরগুনার পাথরঘাটায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে চোখে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে পাথরঘাটা বাজারের একই পরিবারের তিন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমড়াতলা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেশিমুল চৌধুরী, ভোলা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোলার চারটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভোলার চারটি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী ভোলা-১ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম নবী আলমগীর। ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. হাফিজ ইব্রাহীম। তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই। বিগত ২০০১ সালের জোট সরকারের আগে তাঁকে দল থেকে প্রথম মনোনয়ন দেওয়া হয়। ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)। তিনি ভোলা-৩ আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মেজর হাফিজ বিএনপির একজন অভিজ্ঞ ও হেভিওয়েট নেতা। ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন।
দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ভোলা-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর ভোলা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের ছোট ভাই। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন গোলাম নবী আলমগীর। স্থানীয় পর্যায়ে তাঁর জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা বিবেচনায় তাঁকে এবার প্রার্থী করেছে দলটি। এই আসনে গোলাম নবী আলমগীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এই প্রথম মনোনয়ন পান।
এর আগে ২০০১ সালে চারদলীয় জোট থেকে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয় ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান। তাঁকে এবার এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে নতুন মুখ হিসেবে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন নুরুল ইসলাম নয়ন। এই আসনে এর আগে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিমউদ্দিন আলম। তিনি দলের একজন হেভিওয়েট নেতা। তিনি এবার দলের মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর মঙ্গলবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বড় ভাই মোশারেফ হোসেন শাহজাহান এই আসনে এমপি ছিলেন। তিনি ভোলার জন্য অনেক কাজ করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। আমিও দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে ভোলার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। এটা আমার প্রত্যাশা।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যে অসহযোগিতা, মারামারি-হানাহানি এবং বৈরী ভাব দেখা গেছে, সেটা কমিয়ে এনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করা যায় কি না সেই চেষ্টা করব।’
ভোলা-৪ আসনে নাজিমউদ্দিন আলম বাদ পড়ার বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। নাজিমউদ্দিন আলম তিনবারের এমপি ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় কাজ করেছেন। কিন্তু নতুন নেতৃত্বকেও জায়গা করে দিতে হবে। হয়তো সে জন্যই তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এমনও হতে পারে তাঁকে অন্য জায়গায় স্থান করে দেবে।’
এ বিষয়ে মতামত জানতে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ও বিএনপি নেতা নাজিমউদ্দিন আলমকে মঙ্গলবার সকালে মোবাইলে কল দিলেও তাঁরা ধরেননি।
এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিজেপি ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম রতন। তিনি মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি।’
এদিকে ভোলার চারটি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় জেলার রাজনীতিতে নতুন গতি এনেছে বলে মনে করছেন দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রস্তুতি, গণসংযোগ ও প্রচারণায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোলার চারটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভোলার চারটি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী ভোলা-১ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম নবী আলমগীর। ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. হাফিজ ইব্রাহীম। তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই। বিগত ২০০১ সালের জোট সরকারের আগে তাঁকে দল থেকে প্রথম মনোনয়ন দেওয়া হয়। ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)। তিনি ভোলা-৩ আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মেজর হাফিজ বিএনপির একজন অভিজ্ঞ ও হেভিওয়েট নেতা। ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন।
দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ভোলা-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর ভোলা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের ছোট ভাই। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন গোলাম নবী আলমগীর। স্থানীয় পর্যায়ে তাঁর জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা বিবেচনায় তাঁকে এবার প্রার্থী করেছে দলটি। এই আসনে গোলাম নবী আলমগীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এই প্রথম মনোনয়ন পান।
এর আগে ২০০১ সালে চারদলীয় জোট থেকে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয় ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান। তাঁকে এবার এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে নতুন মুখ হিসেবে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন নুরুল ইসলাম নয়ন। এই আসনে এর আগে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিমউদ্দিন আলম। তিনি দলের একজন হেভিওয়েট নেতা। তিনি এবার দলের মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর মঙ্গলবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বড় ভাই মোশারেফ হোসেন শাহজাহান এই আসনে এমপি ছিলেন। তিনি ভোলার জন্য অনেক কাজ করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। আমিও দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে ভোলার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। এটা আমার প্রত্যাশা।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যে অসহযোগিতা, মারামারি-হানাহানি এবং বৈরী ভাব দেখা গেছে, সেটা কমিয়ে এনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করা যায় কি না সেই চেষ্টা করব।’
ভোলা-৪ আসনে নাজিমউদ্দিন আলম বাদ পড়ার বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। নাজিমউদ্দিন আলম তিনবারের এমপি ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় কাজ করেছেন। কিন্তু নতুন নেতৃত্বকেও জায়গা করে দিতে হবে। হয়তো সে জন্যই তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এমনও হতে পারে তাঁকে অন্য জায়গায় স্থান করে দেবে।’
এ বিষয়ে মতামত জানতে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ও বিএনপি নেতা নাজিমউদ্দিন আলমকে মঙ্গলবার সকালে মোবাইলে কল দিলেও তাঁরা ধরেননি।
এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিজেপি ভোলা জেলা শাখার সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম রতন। তিনি মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি।’
এদিকে ভোলার চারটি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় জেলার রাজনীতিতে নতুন গতি এনেছে বলে মনে করছেন দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রস্তুতি, গণসংযোগ ও প্রচারণায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

সব হত্যার বিচার চান উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার ২০ জনকে হত্যা করেছে, বিচার পাই নাই। আমার পারভেজ ও মাকসুদকে কারা হত্যা করেছে সেটা আমি জানতে চাইব। তাই বলব, অত বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। যাতে জনগণ ক্ষেপে না যায়।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা সত্ত্বেও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত মনোনয়ন না পাওয়াদের কোনো খোঁজখবর নেননি। উল্টো প্রার্থীদের অনুসারীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করায় মনোনয়ন না পাওয়াদের সমর্থকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জেলার পাঁচটি আসনে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনে দলীয়
৩৮ মিনিট আগে
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল নিজেই এখন ‘রোগী’। ধারণক্ষমতার তিন গুণ রোগীর চাপ, চরম অপরিষ্কার পরিবেশ আর জনবল-সংকটে এই সেবাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে। শয্যার অভাবে গুরুতর রোগী ও শিশুদের এখন গাছের নিচে রিকশাভ্যানে শুয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে।
৪৪ মিনিট আগে
বরগুনার পাথরঘাটায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে চোখে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে পাথরঘাটা বাজারের একই পরিবারের তিন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমড়াতলা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেপাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার পাথরঘাটায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে চোখে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে পাথরঘাটা বাজারের একই পরিবারের তিন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমড়াতলা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পাথরঘাটা বাজারের চৌধুরী ফ্যাশন-১-এর স্বত্বাধিকারী শাহ আলম চৌধুরী (৫৫) এবং তাঁর দুই ছেলে চৌধুরী ফ্যাশন-২-এর স্বত্বাধিকারী রাজিব চৌধুরী (৩০) ও সজিব চৌধুরী (২৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
আহত রাজিব চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে আমার বাবা ও ছোট ভাইকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলাম। আমড়াতলা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন লোক এসে আমাদের পথরোধ করে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। এ সময় আমরা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাই। তখন আমাদের সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চাইলে তা না দিলে আমাদের বেধড়ক মারধর করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে পাথরঘাটা হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনাস্থলটি তুলনামূলকভাবে নির্জন হওয়ায় দুর্বৃত্তরা সহজে হামলার সুযোগ পেয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদ বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করি। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। ছিনতাইকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’

বরগুনার পাথরঘাটায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে চোখে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে পাথরঘাটা বাজারের একই পরিবারের তিন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমড়াতলা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পাথরঘাটা বাজারের চৌধুরী ফ্যাশন-১-এর স্বত্বাধিকারী শাহ আলম চৌধুরী (৫৫) এবং তাঁর দুই ছেলে চৌধুরী ফ্যাশন-২-এর স্বত্বাধিকারী রাজিব চৌধুরী (৩০) ও সজিব চৌধুরী (২৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
আহত রাজিব চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে আমার বাবা ও ছোট ভাইকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলাম। আমড়াতলা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন লোক এসে আমাদের পথরোধ করে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। এ সময় আমরা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাই। তখন আমাদের সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চাইলে তা না দিলে আমাদের বেধড়ক মারধর করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে পাথরঘাটা হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনাস্থলটি তুলনামূলকভাবে নির্জন হওয়ায় দুর্বৃত্তরা সহজে হামলার সুযোগ পেয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদ বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করি। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। ছিনতাইকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’

সব হত্যার বিচার চান উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার ২০ জনকে হত্যা করেছে, বিচার পাই নাই। আমার পারভেজ ও মাকসুদকে কারা হত্যা করেছে সেটা আমি জানতে চাইব। তাই বলব, অত বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। যাতে জনগণ ক্ষেপে না যায়।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা সত্ত্বেও মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত মনোনয়ন না পাওয়াদের কোনো খোঁজখবর নেননি। উল্টো প্রার্থীদের অনুসারীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ফুর্তি করায় মনোনয়ন না পাওয়াদের সমর্থকেরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জেলার পাঁচটি আসনে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। নির্বাচনে দলীয়
৩৮ মিনিট আগে
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল নিজেই এখন ‘রোগী’। ধারণক্ষমতার তিন গুণ রোগীর চাপ, চরম অপরিষ্কার পরিবেশ আর জনবল-সংকটে এই সেবাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে। শয্যার অভাবে গুরুতর রোগী ও শিশুদের এখন গাছের নিচে রিকশাভ্যানে শুয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে।
৪৪ মিনিট আগে
ভোলা-১ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর ভোলা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের ছোট ভাই। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন গোলাম নবী আলমগীর। স্থানীয় পর্যায়ে তাঁর জনপ্রিয়তা ও
২ ঘণ্টা আগে